এদেশে অনেক মানুষ আছেন যারা আওয়ামীলীগ করেন না কিন্তু শেখ মুজিবকে পছন্দ করেন। আবার শেখ মুজিবকে পছন্দ করলেও শেখ হাসিনাকে করেন না। আমিও তেমন। শেখ হাসিনাকে আমি শেখ মুজিবের অযোগ্য কন্যা বলে মনে করি। রাজনীতির প্রধান দুটো উপাদান হলো বাকপটুতা এবং ক্যারিশমা। দুটোর একটাও হাসিনার নেই। শেখ মুজিবের অনেক দুর্বলতা থাকলেও এই দুটি গুনের কারনেই সারা বাংলাদেশের অবিসংবাদী নেতা হতে পেরেছিলেন।
এদেশে আওয়ামী লীগের বিপরীতে যদি মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ একটি দল বিএনপির মতো দাড়িয়ে যেতো, আমি খুশী হতাম। এমনকি বিএনপি যদি ১৯৮১ সালের বিএনপি হতো, তাও চলতো। কিন্তু ২০০৮ সালে আমরা যে বিএনপিকে দেখি তা বিএনপি’র খোলসে জামায়াতে ইসলামী।
তাই আমার মতো যারা তারা রাজনীতি শূন্যতায় বেশী স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। এটা রাজনীতির বিপরীত স্বার্থপরতা। আমি এখন সেই স্বার্থপরতার জগতে বাস করছি। টেলিভিশন খুললেই যেসব মুখের বাকোয়াজগিরি শুনতে হয় তাদের অনেকের ব্যক্তিগত অসততার কথা আমি জানি। এও জানি তারা যা বলছে তারা সেটা বিশ্বাস করে না। দিনের বেলা বনানীতে যে কথা বলেন রাতের বেলা উত্তরা ক্লাবে অন্য কথা, অন্য ধান্ধা। এসব দেখতে অস্বস্তি লাগে বলে টিভিতে হাসির নাটক বা কমেডি মুভি বাদে কিছু দেখতে ইচ্ছে হয় না। তাই ১/১১-ডে এই সরকার যখন রাজনীতির উপর ডান্ডা মেরে ক্ষমতায় আসলো, দারুন পুলকিত হয়েছিলাম আমি। ভেবেছিলাম - এই এসেছে ওরা, যাদের পথ চেয়ে বসে ছিলাম দিশা হারা। কিন্তু হায় যেই লাউ সেই কদু। সবই ফরমুলার খেলা। আমগো আমজনতার কুন রোল নাই সেই খেলায়।
No comments:
Post a Comment