১৯৫৯ সাল। দার্জিলিং এর হোটেল উইণ্ডামেয়ারের আলো ঝলমল সান্ধ্য
আসরে হাস্যোজ্জ্বল হিমালয় দেখতে আসা উনিশ বছর বয়সী আমেরিকান তরুণী হোপ কুক
বান্ধবীকে নিয়ে পান ভোজনে উচ্ছ্বসিত। কাঞ্চনজংঘা দেখার বহুদিনের এক লালিত স্বপ্ন
পূর্ণ হতে যাচ্ছে আগামী দিন ভোরে। টাইগার হিল থেকে সূর্যোদয় দেখার আয়োজন হয়েছে।
লবির
অন্য পাশে বিষন্ন এক রাজকুমার কাঁচের গেলাসে রঙিন সুধাপানে মগ্ন। সদ্য বিপত্নীক এই
রাজকুমারের নাম পালডেন থনডুপ নামগিয়াল। রাজ্যের নাম সিকিম। গ্যাংটকের রাজপ্রাসাদে
বসবাস। দেরাদুন থেকে শিক্ষাজীবন শেষ করে বিশেষ সামরিক প্রশিক্ষণ নেয়া চৌকস তরুণ
সিকিমের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী। বয়স ৩৫ হলেও এখনো তারুণ্যে উজ্জ্বল।
আমেরিকান
তরুণীর দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলো রাজকুমার। একবার নয়, বারবার। এতবার দেখেও
তৃষ্ণা মিটছে না। অসাধারণ ধারালো চোখের অধিকারিনী এই নারী কে? কোথা থেকে এসেছে সে?
আমেরিকান
তরুণীও ফিরতি চাহনিতে মুগ্ধতা প্রকাশ করলো। চোখে চোখে কী কথা হলো কেউ জানে না।
তারপর দুজন দুজনের ঘরে গিয়ে দরোজা দিয়ে একজন কবিতার বই খুলে বসলো, অন্যজন রেকর্ড প্লেয়ারে
পুরোনো দিনের গান শুনতে বসলো।
এর
কয়েকদিন পর হোটেল উইণ্ডামেয়ারের বাসিন্দা এবং দার্জিলিং এর পাহাড় জেনে গেল পৃথিবীর
দুই প্রান্তের দুই বাসিন্দা একটি জগতের সুতোয় বাঁধা পড়ে গেছে।
মোনাকোর
মত এত সহজে ঘটতে পারলো না সিকিমে। এখানে বাধ সাধলো পশ্চিমের প্রতি রক্ষণশীল
সিকিমের ভুটিয়া সমাজের চিরকালীন অবিশ্বাস। তাছাড়া আমেরিকান নাগরিকত্ব নিয়ে সিকিমের
রাণী হওয়া অসম্ভব। কিন্তু প্রেমের কাছে কোন বাধাই বড় নয়। কুক আমেরিকা ফিরে
নাগরিকত্ব ত্যাগ করে আবারো সিকিম ফিরে এলো ১৯৬১ সালে। তারপর কোন বাধা ছাড়াই আরেকটি রূপকথার প্রেমের
মধুরতম পরিণতি পেলো হিমালয়ের কোলে, গ্যাংটকের পাহাড়ে।
১৯৬৫
সালে সিকিমের রাজার মৃত্যু হলে পালডেন সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হলেন আর রাণীর আসনে হোপ
কুক। হিমালয় পর্বতের নিরিবিলি রাজ্যটি ঐতিহাসিকভাবে সবসময় বিপদমুক্ত ছিল না।
বিদেশী শক্তি বারবার লোভের থাবা বাড়িয়েছে। নিজের দেশকে নিজের মতো করে কখনোই শাসন
করতে পারেনি এই রাজ্যের রাজা মহারাজারা। প্রতিবেশী রাজ্যের আক্রমণ থেকে বারবার
আত্মরক্ষায় ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। সর্বশেষ ছিল বৃটিশ শক্তি, যাদের কাছে দার্জিলিং
আপোষে দিয়ে দিতে হয়েছিল ১৮৩৫ সালে। এরপর গ্যাংটকেও তাদের আসন গাড়া ছিল। তবু
খবরদারিত্ব ছিল না বলে স্বস্তিতেই কাটছিল।
১৯৪৭
সালে দেশভাগের পর সিকিমকে স্বতন্ত্র একটি রাজ্যের মর্যাদা দেয়া হলেও ভারতের
নেপালের কুনজর পড়ে বৌদ্ধ অধ্যুষিত দেশটির দিকে। নেপাল থেকে প্রচুর লোকের অনুপ্রবেশ
ঘটছিল একশো বছর ধরে। সিকিমের দুর্বল শাসনব্যবস্থা, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার
অভাব ইত্যাদির কারণে অসম্ভব ছিল অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা। সত্তর দশকে এসে
দেখা গেল বৌদ্ধ শাসিত অঞ্চলটির হিন্দু জনসংখ্যা শতকরা আশি ভাগের কাছাকাছি। ভারতের
চাপে গনভোট অনুষ্ঠিত হলে দেখা গেল অধিকাংশ জনগণ ভারতের সাথে মিশে যেতে চায়।
কিন্তু
গ্যাংটকের রাজপ্রাসাদ ও ভুটিয়া জনগোষ্ঠি স্বাধীন রাজ্য হিসেবে বেঁচে চাইলেও ভারতের
হুমকিতে তা সম্ভব ছিল না। গণভোটের দিন দুই লাখ জনগোষ্ঠির দেশটির চারপাশে ভারত এক
লাখ সৈন্যের সমাবেশ ঘটায়। ১৪এপ্রিল ১৯৭৫ রাজাকে জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে
গৃহবন্দী করা হয়। তারপর ১৫ মে ১৯৭৫ সালে এক নীরব অভ্যূত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হলো
তিনশো বছরের পুরোনো শাসক
এবং শাসনব্যবস্থা। সিকিম ভারতের অধীনস্থ একটি রাজ্যে পরিণত হলো। এর
আগেই নিরাপত্তার জন্য হোপ কুক তাদের দুই সন্তান Prince Palden Gyurmed
Namgyal এবং Princess Hope Leezum Namgyal Tobden কে নিয়ে আমেরিকায় চলে যায়। জুন মাসে সিনেটে বিশেষ বিল পাশের মাধ্যমে
তাঁর নাগরিকত্ব পূনর্বহাল করা হয়।
ক্ষমতাচ্যুত
হবার পর কুক আর পালডেনের বিচ্ছিন্ন হওয়া পরিবার সংসার ইত্যাদি নিয়ে তৈরী হতে থাকে দূরত্ব। অবশেষে ১৯৮০ সালে তাদের ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনের অবসান
ঘটে।
আর
বছর দুই পরে ১৯৮২ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে রাজা পালডেন নামগিয়েলও নিউইয়র্কের Memorial Sloan Kettering Cancer
Center হাসপাতালে মারা যান।
শাসক
হিসেবে নামগিয়েল কতোটা সফল ছিলেন? উত্তরে একটা তথ্য দেই কেবল তাতেই কিছুটা বোঝা যাবে হয়তো। তিনি একটি আধুনিক এশিয়ান রাষ্ট্র গড়তে
চেয়েছিলেন। তাঁর আমলে সিকিমের শিক্ষার হার ও মাথাপিছু আয় প্রতিবেশী দেশগুলোর
দ্বিগুন হয়ে গিয়েছিল।
জীবনের
এইসব বৈচিত্র্যময় ঘটনাবলী নিয়ে ১৯৮১ সালে হোপ কুক তাঁর আত্মজীবনী লিখেছিলেন TIME CHANGE An Autobiography নামে। বইটি
প্রকাশিত হবার পর তাঁদের জীবন এবং বইটির রিভিউ হিসেবে নিউইয়র্ক টাইমস একটি প্রতিবেদন ছাপিয়েছিল। আগ্রহীদের
জন্য তার কপি দেয়া গেল নীচে-
THE FAIRY TALE THAT TURNED NIGHTMARE
By FRANCINE DU PLESSIX GRAY (March 8, 1981)
WHEN New York socialite
Hope Cooke married Crown Prince Palden Thondup Namgyal of Sikkim in 1963, the
American press was enraptured. Although Sikkim's snowcapped Himalayas were less
lucrative than Monaco's baccarat tables, the setting was much more the stuff of
fairy tales. Former debutante Hope Cooke was about to become the queen of
Asia's smallest kingdom, a mountain paradise with emerald green hills, pandas
and snow lions, 500 varieties of wild orchids and the world's largest crop of
cardamon.
For years Queen Hope,
dressed in the traditional ankle-length Sikkimese kho looked out at us from
many a magazine page, her freckled, fine-boned face smiling wistfully. Vogue
asked her what kind of skin moisturizer she used to preserve her prettiness in
the 20,000-foot altitude of her capital, Gangtok. The New Yorker followed the
royal couple as they made one of their yearly trips to America. Queen Hope's
throaty whispers, her nearly inaudible repetitions, were widely quoted. ''The
second time we met ... he proposed to me ... I said 'yes yes yes' ... I just
fell in love with his sad sad eyes.''
The disparity between
public dream and private reality is beautifully recorded in Hope Cooke's
autobiography. And it is told not in a whisper, but in an intense, assertive
monologue that instantly lets us know we are in the presence of a writer of
intelligence and natural talent.
Hope Cooke begins with an
account of her orphaned, wealthy childhood in New York City, and I've seldom
read a more sensory rendering of a child's early years. Hope's Irish father was
a ne'erdo-well flight instructor who had left his wife shortly after his
daughter's birth in 1940. Hope's mother was killed shortly afterward when she
took off in her Piper Cub with a nearly empty gas tank and crashed: ''I didn't
and don't know whether they found any parts of her body or, if so, where she is
buried. When I was a child this lack of information prevented me from feeling
the finality of her death as strongly as I felt her permanent suspension away
from the earth and myself.''
Hope Cooke's earliest
memories are of the days she spends in the company of her half-sister Harriet
and a succession of governesses in a New York apartment bought by her maternal
grandparents, who live across the hall. The grandparents are well-meaning but
aloof and starchy people who spend their evenings reading or doing crossword
puzzles after punctually imbibing two oldfashioneds. During the day, ''My
grandfather does his writing in the library at a desk covered with red leather.
Around the room are shelves full of red and browny-gold leather volumes. They
are very important. They are classics, he tells me. It is a long time before I
realize the things on the shelves are books.''
A succession of sadistic
nannies drifts in and out.
One beats Hope with a
coat hanger when she doesn't remember the Lord's Prayer; another ties her hands
to the bedposts at night to keep her from masturbating. Her grandparents refuse
to talk to her about her mother; they disapproved of her marriage and felt her
death was irresponsible, perhaps intentional. Hope will suffer forever from the
emotional dislocation of a child who is not told the details of a parent's life
and death.
Seldom has a WASP
girlhood in the 1940's been rendered with such immediacy. She describes the
starched smocks and bloomers and kneehigh woolen socks of the Chapin School uniform:
''Only nouveaux riches and Jews,'' one nanny tells Hope, wear the white ankle
socks she craves. Grandfather, after his nightly drinks, badgers his 5-year-old
ward to memorize Churchill's ''We Shall fight Them on the Beaches'' speech.
Hope's Chapin class is shocked when two students vote for Truman in their
school mock election of 1948. There are ceremonious expeditions in July to the
grandparents' summer home in Seal Harbor, Maine, with Granny holding stacks of
lavender Bergdorf-Goodman hatboxes and caged canaries on her lap. Hope suffers
the torment of dancing classes at the Colony Club, where she yearns ''for the
floor to swallow me up'' and all the parents want their daughters to dance with
Arthur MacArthur, the general's son: ''He has black pomaded hair, slicked back,
and a large turquoise ring.... I don't want to dance with Arthur MacArthur. I
could go to the bathroom and sit there, pulling the chain.''
These first chapters, a
remarkably vivid and candid portrait of a young girl, lend credibility to the
much weaker, latter portions of the book. The child Hope Cooke describes has
the spiritual fervor, born of feeling isolated and outcast, that will lead her
to crave submersion in the mysticism of India. By age 10, she is already
something of a mystic. Her favorite time of day in Maine is the moment when she
and her governess (a rare kindly one) walk to the church to water flowers from
china pitchers: ''In the dark piney evening, watching the water wash channels
around the geraniums, I feel virtuous, which I confuse with feeling holy. In
the church, whose door is open, I sit in the piney pews looking out the windows
at the forest, wanting a revelation.''
Hope's loneliness and
confusion grow over the years, and so does her spiritual quest. Grandfather
dies when she's 12, Granny dies three years later. She goes to live with her
aunt and uncle, Mary and Selden Chapin, then the ambassador to Iran, and finishes
high school there. One summer in her late teens she travels to India: ''I've
never been so happy ... India! My heart explodes ... The East is my home ... I
must stay near India somehow ...''
Hope Cooke is majoring
in Asian studies at Sarah Lawrence when she meets the recently widowed Crown
Prince of Sikkim in Darjeeling (where, with typical eccentricity, she is taking
a course in typing). Two years later they are engaged. The writer immediately
hints at the complex pragmatism of this alliance: Her impulse toward him may be
inspired by her fascination with Indian spirituality and her desire for some
kind of rootedness; his impulse toward her is in part prompted by his need to
find a mother for his children. Both are also driven toward each other by the similar
isolation of their childhoods. ''Even more than me,'' Hope muses about the
Prince's ''Chaplinesque loneliness,'' ''when he was small he had a rather sad
life.''
Hope Cooke is an
exceptionally chaste adventuress who seeks the tamer shores of security rather
than the wilder shores of love. She's perhaps more infatuated with the prospect
of nesting in her little Oriental palace than she is with the moody king. ''I
want a family so much. I want to fill this nest, make it a real home.'' One of
the most touching aspects of this story is her delight in recapturing childhood
through her affection for her three stepchildren, whom she seems to love quite
as much as she will later love her own son and daughter. She exults when her
modest (five-bedroom) palace explodes with offspring and the family consumes 12
dozen eggs a week. She has made a fierce resolution to reverse the karma that
had saddened her childhood and her husband's.''These children will be happy.
The wheel of unhappiness that both my husband and I grew up on will not go to
this generation.''
But the monsters lurking
in Hope's fairy tale appear soon after her marriage. The Crown Prince may well
have been one of the Far East's most enlightened rulers, as both the author and
the historical record confirm: He shaped a model Asian state whose literacy
rate and per capita income were twice as high as the neighboring countries of
Nepal, Bhutan and India; he retained a measure of independence for a tiny
country threatened on two sides, by an India intent on annexation and an
equally aggressive Communist-dominated Tibet. Yet, as Hope Cooke describes him,
he was also a heavy-drinking philanderer with an odious streak of macho sexism.
Notwithstanding his strained finances, the Crown Prince managed to maintain a
love affair with a married woman in Belgium before and during his marriage to
Hope; he even flew to visit her a few weeks before Hope's first child was born.
The lover wrote letters to the Prince on ''crisp rustling paper'' that Hope
could hear crinkling in her husband's bathrobe when he hugged her at night. If
a letter dropped to the floor, she read it while he went to the altar to
perform his Buddhist prayers.
When Sikkim's
independence was endangered by the death of Nehru, who had carefully preserved
Sikkim's autonomy under the terms of a protectorate, the Crown Prince began to
drink more and throw temper tantrums. During one such tantrum, he tosses Hope's
record player, her ''lifeline to the West,'' out the window. Fairy tale turns
to nightmare as Indira Gandhi conspires to deprive Sikkim of the little
independence it has. While Hope entertains visiting reporters interested in
''My Thirty Ways of Preparing Yak,'' she is secretly tippling beer in the
morning, living on whisky, Valium and cigarettes from noon on. She begins to
realize that the manic fervor with which she'd developed Sikkim's cottage
industries and helped her husband fight Indian domination is a substitute for a
love that barely exists, if it ever existed. On one of her yearly trips to New
York, she has an affair with a man who had been a friend during her lonely
adolescence, and the memory of this affair haunts her for the rest of her stay
in the Far East. She lies in bed more dazed than ever by whisky and Valium,
listening to Joan Baez sing freedom songs.
When India finally
closes in on Sikkim, Hope packs up to return to the United States, where she
brings the four youngest royal offspring to spare them the house arrest about
to be imposed on their father. There is little emotion in the final parting of
the royal couple: ''I embrace Chogyal a final time and the children touch their
foreheads to his.''
A few days later she is
back in the United States, putting on a short dress for the first time in 11
years. Her children are embarrassed. They have never seen her legs before. She
has been the formal, impeccable spouse of an Asian potentate. While trying to
make a new nest for her brood in New York, she sits in the back of buses
dressed in dowdy clothes, chewing gum in ''a vulgar, slack-jawed manner'' to
avoid being recognized.
Out of fidelity to the
beleaguered husband she has left behind, she cuts short the affair she'd
started with her American lover. Her acute need for him (''I want this man so
badly I have to go out running to keep from going crazy'') makes one admire her
self-denial. Despite her celebrity she seems like many people in middle age, groping
for identity as painfully as they did as adolescents, picking up the pieces
after leaving a marriage that was the product of personal delusions, buried
miseries, childhood pains.
There are two distinct
flaws to this often wonderful book: the concentration on Sikkimese politics at
the expense of Sikkimese culture, and the decision to leave a sometimes
gushing, girlish style in its natural state. The author's mini-history of
Sikkim , which could be gleaned with greater clarity from back issues of Newsweek,
is rendered in a breathless tone that can unwittingly verge on the comic. One
misses a deeper view of rituals that are merely mentioned. There are several
references to the white scarf ceremony in Sikkimese Buddhism, for instance, but
the symbolism is never disclosed. (I had to go to an encyclopedia to find that
the white scarf is a symbol of ''pure thoughts.'')
As for Hope Cooke's
often impetuous style, it works splendidly in the childhood chapters, where it
is appropriate to the material. But it can be disastrous for expressing adult
sentiments. A passage such as ''My leaving is too painful to bear. I lie, my
guts molten in a cast ... My brain and heart burning in this prison'' is not
worthy of Hope Cooke's talent. Such infelicities recur much too often for this
reader's comfort, and the strength of the author's personality seems all the
more remarkable for emerging despite these flaws. Her autobiography is in most
parts engrossing and engaging; the test of quality in this kind of book is an
unstinting candor about the self; and Hope Cooke has enough of that for twelve
authors - or princesses.
সবশেষে বলি, সত্যজিত রায়ের 'সিকিম' যারা দেখেছেন, তারা যদি এই লেখা পড়ে আবারো দেখেন, তাহলে অবশ্যই নতুন করে সিকিমের শেষ রাজ পরিবারকে আবিষ্কারের আনন্দ পাবেন, সেই সাথে স্বাধীনতা হারানো একটি রাজ্যের জন্য বেদনার্ত হবেন। সত্যজিত রায় 'সিকিম' তৈরী করেছিলেন ১৯৭১ সালে। সেই সিনেমাটি তৈরীর পেছনে সর্বোতভাবে সহযোগিতা ও পৃষ্টপোষকতা করেছিলেন রাজা পালডেন নামগিয়াল এবং রাণী হোপ কুক। তাদের দুর্লভ ভিডিও ফুটেজগুলো ধরে রেখেছে এই সিনেমাটি। সত্যজিত রায় নিজের কন্ঠে পুরো সিনেমাটির ধারাবিবরণী বলে গেছেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সিনেমাটি ভারতে কখনোই সত্যিকার অর্থে কখনোই মুক্তি পায়নি বারবার নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে। ২০১০ সালে কোলকাতায় ্ একদিন প্রদর্শিত হবার পর আবারো নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছিল। সত্যজিত রায় সিকিমের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখার অবস্থান নিয়ে ডকুমেন্টারিটি তৈরী করেছিলেন। কিন্তু তার পাঁচ বছর পরেই সিকিমের স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়ে গিয়েছিল।
সত্যজিত নির্মিত 'সিকিম' এর ইউটিউব লিংকটা যুক্ত করে দেয়া হলো-
https://www.youtube.com/watch?v=-AEhw3zcJzM
সত্যজিত নির্মিত 'সিকিম' এর ইউটিউব লিংকটা যুক্ত করে দেয়া হলো-
https://www.youtube.com/watch?v=-AEhw3zcJzM
_______________________________________________________________
তথ্যসুত্র:
১. "Sikkim: A Requiem For Himalayan Kingdom" - by Andrew Duff
২. "Time Change"- by Hope Cooke
তথ্যসুত্র:
১. "Sikkim: A Requiem For Himalayan Kingdom" - by Andrew Duff
২. "Time Change"- by Hope Cooke
৩. "Where There's Hope", TIME, March 29, 1963
৪. "The Fairy Tale That Turned Nightmare?". New York Times. March 8, 1981
৫. Photo: Family Album -Princess Hope Leezum Namgyal Tobden
৬. সত্যজিতের সিকিম : ইউটিউব
৪. "The Fairy Tale That Turned Nightmare?". New York Times. March 8, 1981
৫. Photo: Family Album -Princess Hope Leezum Namgyal Tobden
৬. সত্যজিতের সিকিম : ইউটিউব
No comments:
Post a Comment