উদ্ভিদের হৃদয় নেই, শুধু শিরা উপশিরায় বহমান প্রাণ। প্রতিটি উদ্ভিদের শিরা উপশিরার বৈশিষ্ঠ্য আলাদা, আকার, চেহারা, বর্ণ সব আলাদা। এটা আমরা সবাই জানি। ভূমি থেকে ৭০ ফুট উপরে কংক্রিট বান্ধব পরিবেশেও এই দুটো লতানো উদ্ভিদ তাদের পাতাগুলো হেমন্তের রোদে মেলে দিয়েছে, যেমন দিত খোলা হাওয়ায় মেতে থাকা শ্যামল মাটির উঠোন জুড়ে। হৃদয়হীন উদ্ভিদ কখনো সৌন্দর্য বিলাতে, আনন্দ ছড়াতে কার্পন্য করে না। যে কোন পরিবেশে এরা নিজেদের চরিত্র অক্ষুন্ন রাখে। বিরূপ অবস্থাতেও এরা অক্সিজেন আর কার্বন ডাই অক্সাইডের ভারসাম্য ঠিক রাখে। এদের হাতে বৈশ্বিক সকল সৌন্দর্য নিরাপদ, নিষ্কলুষ। এরাই তথাকথিত প্রকৃতি, এদের নিয়েই আমাদের পরিবেশ। এই এক গুচ্ছ সজীব পাতাতেও খুঁজে পাওয়া যায় নির্মল আনন্দ। অদ্য প্রভাতে চক্ষু মেলিয়া দেখা হয়ে গেল টুকরো সৌন্দর্যের প্রতিফলিত আলোটি।
তবে বিষয়টি আমার পক্ষে সৌন্দর্য উপভোগের হলেও উদ্ভিদের পক্ষে বেঁচে থাকার অতি জরুরী সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া, যা দিয়ে উদ্ভিদ সূর্যের আলোর সাহায্যে বেঁচে থাকার মতো খাবার তৈরী করে।
No comments:
Post a Comment