পাঁচবেলা খাবার সামর্থ্য যাদের আছে তাদেরই পোষায় আটরকমের ওষুধ খেয়ে, তিন জনের সেবা যত্ন নিয়ে, বিছানায় অলস ঘুমিয়ে দেশ উদ্ধারের চিন্তা করা ৷ তারাই ভাবে অনাগত কোন দুরারোগ্য ব্যাধি এসে শিকার করে নেবে তাদের মূল্যবান প্রাণ৷
রেডিও অফিসের ক্যাজুয়াল টাইপিস্ট মনোয়ার সারাদিন খেটেখুটে আড়াই বেলা খেয়ে একচালা ঘরে ফিরে তক্তপোষে নিঃসঙ্গ শুয়ে থাকে বুকে পেটে চারখানা ওষুধবিহীন পোষ্য ব্যাধি নিয়ে৷ দেশ কিংবা যমদুত কোনটাই তাকে ভাবায় না৷ তাকে শুধু ভাবায়, ডাক্তারের কাছে গেলে ওষুধ, পরীক্ষা, পথ্যের যোগাডের পর তাকে দেড়বেলা খেয়ে বাঁচতে হবে৷ অফেরতযোগ্য ধারের সংখ্যাটা বাড়াতে চায় না সে আর৷
মনোয়ার আমাদের আরেকজন পরাজিত বন্ধু৷ মধ্য বয়সে অসম লড়াইয়ে এখনো টিকে আছে৷ ডাক্তারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এখনো ফুকফুক করে সিগারেট খেয়ে যায় লুকিয়ে৷
যদি কেউ বলে - এসব ছাইপাশ টেনে টেনে মরবি নাকি !
সে নির্বিকার হেসে ইংরেজিতে জবাব দেয় - লাইফ ইজ ক্রুশিয়ালি এক্সপেনসিভ !!
No comments:
Post a Comment