Sunday, December 29, 2013

[চলমান ইতিহাস সংরক্ষণ] এবং.. এবং ডেমোক্রেসি ফর রোড মার্চ

পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। আজকে মিথ্যাবাদী সরকার… সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে… মা বোনদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে।

দেশের প্রতি, জনগণের প্রতি দরদ আছে আমাদের, মায়া আছে। সেই জন্য আমরা জনগণকে গুলি করে হত্যা করতে পারি না। কিন্তু আপনারা যেভাবে হত্যা করছেন, তার জবাব আপনাদের দিতে হবে।

…প্রতিদিন আপনারা আসবেন, বসে থাকবেন গেইটের সামনে। ঠিক আছে।  প্রতিদিন আমিও এরকম বের হব। চলুক, কতো দিন চলে।

কি মনে করেছেন কি? দেশটা কি আপনাদের একলার? পৈত্রিক সম্পত্তি হয়ে গেছে আওয়ামী লীগের, যে গুণ্ডা বাহিনী দিয়ে আমাদের প্রোগ্রাম বন্ধ করতে চান? পুলিশ বাহিনী দিয়ে প্রোগ্রাম বন্ধ করতে চান?

যদি সাহস থাকে, কাউন্টার প্রোগ্রাম করে দেখাতেন। সাহস নেই, দশটা লোকও আসে না। ভাড়াটিয়া লোক ভাড়া করে ডিসি এসপিদের দিয়ে লোক আনায়। বুঝি এটা। না হলে এ রকম করুণ পরিণতি হয়? ১৫৪টা সিট আনকনটেস্টেড হয়ে যায়? আর বাকি রয়েছে কি? বাকিগুলোও করে ফেলবে।

…ওটা কোনো ইলেকশন নয়, এটা যে সিলেকশন হয়েছে, ভাগাভাগির নির্বাচন হয়েছে- এইটা আজকে জাতির কাছে পরিষ্কার। দেশের মানুষের কাছে পরিষ্কার।   

তাই মানুষ আজকে ধিক্কার দিচ্ছে। ধিক্কার দিই আমরা এই সরকারকে। এই সরকারকে ধিক্কার দিই।

আজকে কি করছেন? আপনাদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। আপনারা দায়িত্ব পালন করছেন, কিন্তু আমি মনে করি, দায়িত্বটা সুন্দরভাবে পালন করেন। সম্মানের সঙ্গে যাতে আমরাও কাজ করতে পারি, আপনারাও কাজ করতে পারেন- সেভাবে আপনারা দায়িত্ব পালন করেন। আপনাদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই।

পুলিশ বাহিনী, কিন্তু এটাতো ঠিক নয়- যে আমাকে আমার বাড়ি থেকে বের হতে দেবেন না। এটা তো ঠিক নয়। এটা তো ঠিক না।

আপনাদের যে অফিসার ছিল, সে গেল কোথায়? তার সাথেই তো আমি কথা বলতে চেয়েছি; কেন আমার পথ আটকিয়েছে? কিন্তু সে কোথায়? কেন সে আসছে না এখন সামনে?

এতোক্ষণ তো অনেক কথা বললেন। আপনি কে? এখন মুখটা বন্ধ কেন? এই যে মহিলা, আপনার মুখটা এখন বন্ধ কেন? বলেন তো কি বলছিলেন এতাক্ষণ ধরে?

মুখটা বন্ধ কেন এখন? দেশ কোথায়, গোপালী? গোপালগঞ্জ জেলার নামই বদলিয়ে দেব বুচ্ছেন, গোপালগঞ্জ আর থাকবে না।

আল্লাহর গজব পড়বে- আপনারা যা শুরু করে দিয়েছেন।  কতোগুলা আলেমকে হত্যা করেছেন, এতিমকে হত্যা করেছেন।  কতোগুলা বিডিআর অফিসারকে হত্যা করেছেন।  সেদিন কোথায় ছিল হাসিনা? সেদিন হাসিনা কোথায় ছিল?

এতোগুলা অফিসার যে মারল, ৫৭ জন অফিসারকে হত্যা করল, সেদিন হাসিনার এই ফোর্স কোথায় ছিল? কেন সে ফোর্স পাঠায় নাই।  আসলে সে নিজেই জড়িত ছিল এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে…  সেজন্যই।

আজকে তো এমন অনেক আননোন চেহারা দেখা যায়, যাদেরকে চেনা যায় না যে তারা আসলেই বাংলাদেশি কি না। বাংলাদেশের আজকের যে কর্মসূচি ছিল, আপনারা যদি আসলেই দেশকে ভালবাসতেন, তাহলে আজকে ছিল আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং.. এবং ডেমোক্রেসি ফর রোড মার্চ।  ডেমোক্রেসি ফর মার্চ ছিল আমাদের কর্মসূচি

গণতন্ত্রও চাবেন না, দেশ রক্ষা করতেও চাবেন না। গোলামী করবেন? দালালি করবেন? এই গোলামী তো রাখবে না। লেন্দুপ দর্জির (সিকিমের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী) ইতিহাসটা পড়ে দেখেন। সেও কিন্তু টেকে নাই বেশি দিন। তাকেও বিদায় দিয়েছে। দালালি করে… দেশ বিক্রি করে…। কাজেই এই দেশ বিক্রি চলবে না হাসিনার।

দেশ রক্ষা হবেই ইনশাল্লাহ। দালালি বন্ধ করতে বলেন। আর হাসিনার দালালি করে লাভ হবে না। বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে থাকেন। জনগণের সঙ্গে থাকেন। দেশের মানুষের সঙ্গে থাকেন। তবেই কাজে দেবে। দেশ বাঁচবে, মানুষ বাঁচবে।

আজকে সকলের দায়িত্ব হয়ে গেছে- দেশ বাঁচানো, মানুষ বাঁচানো। আর আপনারা ঘরে ঘরে ঢুকে এখন মানুষ হত্যা করছেন। মনে করে যে এগুলোর হিসাব নেই… এই মা বোনোর কান্না, এই আলেম এতিমের কান্না, এই বিডিআরের অফিসারদের ওয়াইফদের কান্না… এগুলো কি বৃথা যাবে? এগুলো কোনো দিনও বৃথা যাবে না।

আজকে যারা এই জুলুম নির্যাতন করছেন, তাদেরকেও এদের মতো একদিন চোখের পানি ফেলতে ফেলতে বা মুছতে মুছতে চোখ অন্ধ হয়ে যাবে।

এখনো সময় আছে। ধাক্কাধাক্কি বন্ধ করেন। আমরা কেউ ধাক্কাধাক্কি করতে আসিনি। আমরা কোনো ধাক্কাধাক্কি করতে আসিনি। আমি বলছি আপনারা চাকরি করেন, আপনারা করবেন।  কিন্তু এ রকম আমাদের গায়ের ওপর উঠে পড়বেন না।

দূরে থাকেন। দূরে থাকেন।  আপনাদের জায়গা যেখানে সেখানে থাকেন।  আপনাদের রাস্তাতে থাকার কথা। আপনারা বাড়ির মধ্যে এসে যাচ্ছেন কেন?   

কি, আপনাদের মেয়েরা এতো ঝগড়া করে কেন?

এই মেয়েরা- চোপ কর। কয়দিনের চাকরি হয়েছে যে  এতো কথা বল?

কিসের জন্য এতো কথা বল? চোপ থাক। বেয়াদব কোথাকার।

আপনাদের অফিসার কোথায় গেল? আসলো না? তাকে বলবেন, আমার সঙ্গে দেখা করতে, আমি তার সঙ্গে কথা বলতে চাই।  

বুঝেছেন? কি বোঝেননি কথাটা? এটা তো বাংলা ভাষা? নাকি অন্য কোনো ভাষায় বলতে হবে আপনাদেরকে?

বুঝেছেন? সেই অফিসার কোথায়? তাকে বলেন আমার সঙ্গে দেখা করতে।

[বেগম খালেদা জিয়া, নিজ বাসভবনের গেটে]

নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি যে কোনো মূল্যে নয়া পল্টনে সমাবেশ করার ঘোষণা দিলেও পুলিশের বাধায় বাড়ি থেকে বের হতে পারেননি দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।   

রওনা হওয়ার জন্য বেশ কিছু সময় গাড়িতে উঠে বসে থাকলেও রওনা হতে না পেরে নেমে এসে প্রথমে পুলিশের সঙ্গে এবং পরে মই ও পাইপ বেয়ে দেয়াল টপকে ভেতরে ঢোকা গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে মিনিট দশেক কথা বলেন তিনি। এরপর কর্মসূচি অব্যাহত রাখার কথা জানিয়ে বাসার ভেতরে চলে যান।

ডিসেম্বর ২৯, ২০১৩ বিকেল

No comments: