১.
এখন দিনগুলো স্বাভাবিক না। গত দেড় মাস যাবত অস্বাভাবিক রুটিনে দিনযাপন করছি। বিশেষ করে অফিসে আসা আর যাওয়া। অফিস বাসা এই দুই গন্তব্যের বাইরে আর কোথাও যাই না। যাতায়াত ব্যবস্থা দুর্বিসহ হয়ে গেছে হরতাল অবরোধে। আরো দীর্ঘসময় চলতে পারে এরকম অচলাবস্থা। এর চেয়ে আরো খারাপ অবস্থারও আশংকা করা যায়।
আমরা এখনো ভাগ্যবান, বড় কোন ঝামেলায় পড়িনি। কিন্তু যে কেউ যে কোন সময় পড়ে যেতে পারে। বোমা গুলি ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ এখনো সরাসরি স্পর্শ করেনি। বাড়ি ফিরতে গিয়ে পথের মাঝে আটকে থাকিনি দুদিন। অনাহারে অর্ধাহারে পথে পথে ঘুরিনি। আমার বাসাটা শহরের ভেতরে। আমার সব স্বজনেরা এখানেই। আমাকে কাজের প্রয়োজনে কিংবা স্বজনের প্রয়োজনে ঢাকা চট্টগ্রাম করতে হচ্ছে না। অথবা ভিন্ন ভিন্ন জেলায়ও ছুটতে হচ্ছে না। যাদের প্রিয়জন ভিন্ন জেলায়, যারা ভিন্ন শহরে চাকরী করছে, তারা কেউ বাড়ি ফিরতে পারছে না নিরাপদে। প্রত্যেকের জীবন অনিরাপদ হয়ে গেছে।
দেশের কিছু আনাচে কানাচে পাকিস্তান আফগানিস্তানের দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। সেই দুর্গন্ধ বিকট আকার ধারণ করলে এই দেশে বাস করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। এই গুমোট অশান্তি কবে কাটবে আমরা এখনো জানি না। দেশটা অশুভ শক্তির ছায়ার নীচে বাস করছে। এখানে সবচেয়ে বড় ভয় হলো কোন কিছু না জেনে, কোন কিছুতে জড়িত না থেকে খামাকা ক্রসফায়ারে পড়ে যাওয়া। বিনা কারণে মৃত্যুবরণ করাটাও বিব্রতকর।
২.এখন দিনগুলো স্বাভাবিক না। গত দেড় মাস যাবত অস্বাভাবিক রুটিনে দিনযাপন করছি। বিশেষ করে অফিসে আসা আর যাওয়া। অফিস বাসা এই দুই গন্তব্যের বাইরে আর কোথাও যাই না। যাতায়াত ব্যবস্থা দুর্বিসহ হয়ে গেছে হরতাল অবরোধে। আরো দীর্ঘসময় চলতে পারে এরকম অচলাবস্থা। এর চেয়ে আরো খারাপ অবস্থারও আশংকা করা যায়।
আমরা এখনো ভাগ্যবান, বড় কোন ঝামেলায় পড়িনি। কিন্তু যে কেউ যে কোন সময় পড়ে যেতে পারে। বোমা গুলি ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ এখনো সরাসরি স্পর্শ করেনি। বাড়ি ফিরতে গিয়ে পথের মাঝে আটকে থাকিনি দুদিন। অনাহারে অর্ধাহারে পথে পথে ঘুরিনি। আমার বাসাটা শহরের ভেতরে। আমার সব স্বজনেরা এখানেই। আমাকে কাজের প্রয়োজনে কিংবা স্বজনের প্রয়োজনে ঢাকা চট্টগ্রাম করতে হচ্ছে না। অথবা ভিন্ন ভিন্ন জেলায়ও ছুটতে হচ্ছে না। যাদের প্রিয়জন ভিন্ন জেলায়, যারা ভিন্ন শহরে চাকরী করছে, তারা কেউ বাড়ি ফিরতে পারছে না নিরাপদে। প্রত্যেকের জীবন অনিরাপদ হয়ে গেছে।
দেশের কিছু আনাচে কানাচে পাকিস্তান আফগানিস্তানের দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। সেই দুর্গন্ধ বিকট আকার ধারণ করলে এই দেশে বাস করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। এই গুমোট অশান্তি কবে কাটবে আমরা এখনো জানি না। দেশটা অশুভ শক্তির ছায়ার নীচে বাস করছে। এখানে সবচেয়ে বড় ভয় হলো কোন কিছু না জেনে, কোন কিছুতে জড়িত না থেকে খামাকা ক্রসফায়ারে পড়ে যাওয়া। বিনা কারণে মৃত্যুবরণ করাটাও বিব্রতকর।
No comments:
Post a Comment