ভিনগ্রহবাসীর আক্রমনে ঘুমটা ভেঙ্গে গেল।
মুহুর্মুহু আক্রমন হঠাৎ করে। কোন আগাম সতর্কবানী নেই, কোন বিপদাংশকা ছিল না আগে থেকে। বিকেল থেকেই আকাশটা লালনীল রঙের মেঘে ভরপুর ছিল। তেরঙ্গা ঘুড্ডির মতো মেঘগুলো উড়ে উড়ে উত্তরের পানে ছুটছিল। সেই মেঘগুলোর ফাঁক দিয়ে হঠাৎ ঝিকিমিকি তারকা দেখে বিস্ময়ে হা হয়ে তাকিয়েই ছিলাম অনেকক্ষন। কিন্তু সেই তারাগুলো যখন মেঘ ছুঁয়ে আরো নীচে নেমে আসতে লাগলো তখন ভাবনায় খেললো না এই সময়ে ওগুলোর নেমে আসার কথা কিনা। কিংবা ওই বস্তুসমূহ কি?
ভাবতে ভাবতে অদুরের ভবনের উপর যখন সেই তারকাটা পতন ঘটলো, তখন দুনিয়া কাঁপানো বিষ্ফোরনে কেপে উঠলো চারপাশ। অতঃপর হুশ হলো ওগুলো বোমা কিংবা আকাশ থেকে নেমে আসা গজব। পালানো কথা মনে এলেও কোথায় পালাবো তার কোন দিশে করতে না পেরে দিশেহারা ছুটলাম রাস্তায় রাস্তায় আরো অনেক মানুষের সাথে। সবাই ছুটছে। সেই তারকার পর আরো তারকা পতন ঘটতে লাগলো। কোন একটা তারকা কান ফুটো করে বেরিয়েও গেল আমার। আশ্চর্য কানে একটু গরম অনুভুতি হলেও দিব্যি বেঁচে রইলাম। গোলার মধ্যে ছুটছি কোথায় নিরাপদ আশ্রয়। আকাশ ছেয়ে গেছে তারকা গজবে। কমলা রঙের নক্ষত্রের মতো সুন্দর বস্তুগুলি ছেয়ে ফেলেছে শহরের আকাশ। নগরটা কয়েক মিনিটের মধ্যেই নরকে পরিনত হল।
আমার দম বন্ধ হয়ে গেল ছুটতে ছুটতে। হঠাৎ পায়ের গোড়ালীতে শেলের আঘাত পেয়ে চোখ মেললাম আবছা আলোতে। দেখি পায়ের কড়ে আঙুলটা ধরে টেনে ছিঁড়ে ফেলতে চাইছে সুলতা। বিরক্তস্বরে বলছে, "সাড়ে ছটা বেজে গেছে লোকটা এখনো ঘুমায়!"
বলে কী? আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না আমি চিমটা খেয়ে জেগে উঠেছি। পায়ের গোড়ালীতে তখনো ভিনগ্রহীদের শেলের আঘাত পিনপিন করছে। বুকের ভেতর ভয়ের কাঁপুনি। সত্যই ভয় খাইছিলাম মারাত্মক!!
ভাগ্যিস জেগে উঠছিলাম, নইলে......।।
No comments:
Post a Comment