Thursday, June 19, 2014

অসমদুপুরসন্ধ্যারাত্রি

ডায়াল করতেই বহুবার শোনা বাক্যটি আবারো শোনা গেল - 'এই নাম্বারটি বর্তমানে খালি আছে, অনুগ্রহপূর্বক..........'। আমি জানি নাম্বারটা এখন খালি থাকারই কথা। ওই নাম্বারটি আর কেউ নেয়নি। মোবাইল কোম্পানীর এত কোটি নাম্বারের মধ্যে সামান্য একটা নাম্বার খালি থাকলে কারো কিছু এসে যায় না।

সংবাদটা আমাকে কে দিয়েছিল মনে পড়ছে না। দিনটা খুব গরম ছিল মনে আছে। আমি সংবাদটা পেয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে শুরু করেছিলাম। অতদূর অচেনাতে আগে কখনো যাইনি। তবু আমি পৌঁছে গিয়েছিলাম ঠিকঠাক। পৌঁছে তোর অপেক্ষায় ছিলাম। সেই প্রথম আমি তোর প্রতীক্ষায় কোথাও দাঁড়িয়ে ছিলাম। তুই এসেছিস সময়ের একটু পরে। অইটুকু সামান্য বিলম্বে কীই বা এসে যায়। আমি কিছু মনে করিনি।

অতদূর থেকে আরো দূর যাত্রার উদ্দেশ্যে তুই আসলি তবু তোর সাথে দেখা হলো না। কেন দেখা হলো না সেটা তুই ভালো করে জানিস। জানে আরো দশজনা।

বাঁশবাগানের মাথার উপর রূপোলী এক চাঁদ উঠেছিল সেদিন। তবু স্নিগ্ধতা ছিল না তাতে। দিনের মতো রাতটুকুও উষ্ণতা ছড়িয়ে যাচ্ছিল। বাঁশবনের ছায়া আমাকে আড়াল করে রাখলেও তোর উপর জ্বলজ্বলে নিটোল পূর্নিমা। অজর আঁধারের গালিচা সরিয়ে তুই কি দেখতে পেয়েছিলি তোর জন্য রাখা এক ফোঁটা জল? তোকে জিজ্ঞেস করা হবে না কোনদিন।

আজ সেই একটা বছর ছুঁয়ে দেবার দিন। তোকে আর কখনো দেখতে যাবো না আমি। আর কখনো তোর প্রতীক্ষায় থাকবো না। আমাদের সবার মধ্যে তুই প্রথম হয়ে গেলি বলে আমরা তোকে হিংসে করি? জানি না। তবে এটা জানি এবার তোর প্রতীক্ষার পালা। এরপর আমরাও আসতে থাকবো একে একে। কোন এক বর্ষণমূখর অথবা বর্ষণহীন রাতে। তখন হয়তো হবে দেখা। অন্য কোন ভূবনে।

১৯শে জুন ২০১৪

No comments: