মানুষের জীবনে বারবার এক্সিট প্ল্যান দরকার হয়। কতবারই যে কত জায়গা থেকে এক্সিট করতে হয় এক জীবনে। বারবার এক্সিট প্ল্যান করলেও মানুষ চুড়ান্ত এক্সিট প্ল্যানের ব্যাপারে অসহায় থাকে। ওই প্ল্যানে মানুষের কোন হাত নেই। একেক দেশের একেক সিস্টেম। কোন কোন দেশ আছে যেখানে প্রতিবার ঘর থেকে বের হবার জন্য এক্সিট প্ল্যান দরকার হয়। কারণ সে ফিরে নাও আসতে পারে। একবার বাইরে যাওয়া হয়তো চিরতরে না ফেরার দেশে চলে যাওয়া। এমনও দেশ আছে। আমাদের দেশটাও আস্তে আস্তে সেরকম দেশে পরিণত হচ্ছে। এখানেও প্রতিদিন এক্সিট প্ল্যান দরকার হয়। প্রতিদিন ঘর থেকে বের হয়ে যাবার সময় ভালো করে প্রিয়মুখগুলো দেখে বের হই। মশারির ভেতর ঘুমন্ত দুই সন্তানের কপাল ছুঁয়ে আসি চোখ দিয়ে। হাত দিয়ে ধরলে যদি ঘুম ভেঙ্গে যায়। তখন বলবে, বাবা তোমার আজ চাকরীতে যাওয়া লাগবে না। আমার তখন কোথাও যেতে ইচ্ছে করে না।
সুখের অসুখ হয় কখনো কখনো? হয় বোধহয়। জয় গোস্বামী পড়তে পড়তে মাথায় কয়েকটা শব্দ ঘুরপাক খাচ্ছিল সকাল থেকে। ছিল, নেই। মাত্র দুটি শব্দ না? মাত্র একটা কমার ব্যবধান। কিন্তু বাস্তবে কি এত ছোট্ট পার্থক্য? একজন মানুষের কিংবা একটা অস্তিত্বের থাকা না থাকার ব্যাপার মাত্র দুটি শব্দে বলে দেয়া যায়। যা নেই, তা একসময় হয়তো বলতো আছি আছি থাকবো থাকবো। কিন্তু সে টেরই পায় না কখন সে নেই হয়ে যায়। আমার গুরুত্ব ছিল মেঘে
প্রাণচিহ্নময় জনপদে
আমার গুরুত্ব ছিল…
গা ভরা নতুন শস্য নিয়ে
রাস্তার দুপশ থেকে চেয়ে থাকা আদিগন্ত ক্ষেতে আর
মাঠে
আমার গুরুত্ব ছিল…
আজ
আমার গুরুত্ব শুধু রক্তস্নানরত
হাড়িকাঠে!
না শুধু এটা না। আরো আছে। এই যে কোমল রশ্মির অশ্রুপাতের বিকেল, সেই বিকেলের কথাও-
অপূর্ব বিকেল নামছে
রোদ্দুর নরম হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সারা মাঠে
রোদ্দুর, আমগাছের ফাঁক দিয়ে নেমেছে দাওয়ায়
শোকাহত বাড়িটিতে
শুধু এক কাক এসে বসে
ডাকতে সাহস হয় না তারও|
অনেক কান্নার পর পুত্রহারা মা বুঝি এক্ষুনি
ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন
যদি ঘুম ভেঙ্গে যায় তাঁর!
অপূর্ব বিকেল নামছে
রোদ্দুর নরম হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সারা মাঠে
রোদ্দুর, আমগাছের ফাঁক দিয়ে নেমেছে দাওয়ায়
শোকাহত বাড়িটিতে
শুধু এক কাক এসে বসে
ডাকতে সাহস হয় না তারও|
অনেক কান্নার পর পুত্রহারা মা বুঝি এক্ষুনি
ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন
যদি ঘুম ভেঙ্গে যায় তাঁর!
সমুদ্র নদী রোদ বৃষ্টি মেঘ মাখা অনেক কথাই তখন ধুলিচিহ্নিত হয়ে মুছে যাবে। এই তো হবার কথা, নয়? ছিল, কিন্তু নেই। এবার কিন্তু একটা কিন্তু বসে গেছে ঠেসে। কিন্তুকে তখন মোটেও চিন্তিত মনে হয় না। কারণ সে জানে, এ অনিবার্য শমন। বানানটা ভুল করলাম না তো আবার?
No comments:
Post a Comment