ঘুরাঘুরির প্রয়োজনীয়তা কি। মানুষ অযথা বিনা কাজে একস্থান থেকে অন্যস্থানে ছুটে বেড়িয়ে জলের মতো পয়সা নষ্ট করে তার নাম দেয় ভ্রমণ। বাস্তবিকই এটা একটা নেশা। যাদের খেয়েদেয়ে কাজ নেই তারা যদি ঘুরাঘুরিতে সময় নষ্ট করে তাহলে পুষিয়ে যায়। কিন্তু যারা কামলা খাটে, নিরন্তর গোলামী করে, তারা যদি গোলামির শেকল অমান্য করে দুনিয়াদারী দেখতে বের হয় সেটা কিন যৌক্তিক?
মোটেও না। তবু তবু বুঝে শুনেই আমরা কয়েক বন্ধু মিলিত হয়েছি এরকম একটা অযৌক্তিক ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। ঢাকা চট্টগ্রাম মিলিয়ে জনা সাতেক বন্ধু এই মর্মে একমত হলো যে আজ রাত একটার সময় তাহারা বাংলাদেশের দক্ষিণ দিকে রওনা দেবে। ঠিক দক্ষিণে যেখানে বাংলাদেশের সীমানা থমকে গেছে মগরাজ্যের কাছে গিয়ে, সেখানে একটা মুক্তোর দ্বীপ আছে। নাম তার নারিকেল জিঞ্জিরা কিংবা সেন্টমার্টিন।
যদিও এই দ্বীপে সর্বপ্রথম পদার্পনের স্মৃতিটাই আমাদের সবচেয়ে মধুর হয়ে থাকাতে এবার গিয়ে হতাশাগ্রস্থ হবার সমূহ সম্ভাবনা আছে। কিন্তু এবার যাবার উদ্দেশ্য যতটা না দ্বীপ দেখা, তার চেয়ে বেশী দূর গন্তব্যে বন্ধু সম্মেলন। অথবা যে বন্ধুটি এই দ্বীপে আগে আসেনি, তাকে দ্বীপের সৌন্দর্যে মোহিত করন। যদিও জানি সব সৌন্দর্যে সকলে মোহিত হয় না। তবু নিজের মুগ্ধতাকে অন্যের মগজে ঢুকিয়ে দেবার এই মানব প্রবৃত্তিকে কি করে অস্বীকার করি।
মানুষ মাত্রেই অবাধ্য হতে পছন্দ করে। ঘরের অবাধ্য হয়ে, চাকরীকে গুগলি মেরে, পথের আশংকা অগ্রাহ্য করে ছুটে চলার জন্য প্রয়োজন তারুণ্যের উদ্দামতা। পড়ন্ত বেলায় এসেও বন্ধু সংসর্গে মনে হয় আছে সেই প্রাণ, আছে সেই আলো, সেই উদ্দামতা। এখনো জ্বলতে পারে দুরন্ত মশাল, এখনো উড়তে পারে ঝড়ের পাখি।
দলের মধ্যে প্রথমে ৯ জন, তারপর কমে ৭ জন, শেষ পর্যন্ত রাতের বেলা কতজন অবশিষ্ট থাকবে জানি না। শীতের রাতে উপস্থির হেরফের হলে মেনে নিতেই হয়। ১৯৯৪ সালে অবশ্য তেমন হয়নি। আমাদের প্রথম সেন্টমার্টিন অভিযানে ছিল ৬ জন। এবারো সেই সংখ্যাই দাঁড়িয়ে যাবে কিনা। এখনো ঝোলা তৈরী বাকী। সাথে ক্যামেরা যাচ্ছে না মোবাইল আছে বলে, গানের যন্ত্র লাগছে না মোবাইল আছে বলে, ম্যাপ জিপিএস কিছুই লাগছে না মোবাইল আছে বলে। এই শতকের সবচেয়ে কর্মট আবিষ্কার মনে হয় মোবাইল যন্ত্রটি। এই যন্ত্রটি আমি বিশেষ ব্যবহার করি না, কিন্তু এই যন্ত্রটি না থাকলে হাত খালি খালি লাগে। যতনা মোবাইলে কথা বলার জন্য তার চেয়ে বেশি ইন্টারনেটের দরকার। ইন্টারনেট মানে জিমেল, গুগল, ফেসবুক, ব্যস। আর কিছু লাগে না। ওরকম একটা দ্বীপে গিয়ে এসব লাগার কথা না। তবু প্রাণের একটা সংযোগ আজকাল প্রযুক্তি মাধ্যমেই ঢুকে গেছে, ফলে ওটা না থাকার অভাব ক্ষণে ক্ষণে খোঁচাখুচি করে।
রাত্রি মধ্য গগন ছুঁয়ে দিলেই যাত্রা শুরু হবে।মোটেও না। তবু তবু বুঝে শুনেই আমরা কয়েক বন্ধু মিলিত হয়েছি এরকম একটা অযৌক্তিক ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। ঢাকা চট্টগ্রাম মিলিয়ে জনা সাতেক বন্ধু এই মর্মে একমত হলো যে আজ রাত একটার সময় তাহারা বাংলাদেশের দক্ষিণ দিকে রওনা দেবে। ঠিক দক্ষিণে যেখানে বাংলাদেশের সীমানা থমকে গেছে মগরাজ্যের কাছে গিয়ে, সেখানে একটা মুক্তোর দ্বীপ আছে। নাম তার নারিকেল জিঞ্জিরা কিংবা সেন্টমার্টিন।
যদিও এই দ্বীপে সর্বপ্রথম পদার্পনের স্মৃতিটাই আমাদের সবচেয়ে মধুর হয়ে থাকাতে এবার গিয়ে হতাশাগ্রস্থ হবার সমূহ সম্ভাবনা আছে। কিন্তু এবার যাবার উদ্দেশ্য যতটা না দ্বীপ দেখা, তার চেয়ে বেশী দূর গন্তব্যে বন্ধু সম্মেলন। অথবা যে বন্ধুটি এই দ্বীপে আগে আসেনি, তাকে দ্বীপের সৌন্দর্যে মোহিত করন। যদিও জানি সব সৌন্দর্যে সকলে মোহিত হয় না। তবু নিজের মুগ্ধতাকে অন্যের মগজে ঢুকিয়ে দেবার এই মানব প্রবৃত্তিকে কি করে অস্বীকার করি।
মানুষ মাত্রেই অবাধ্য হতে পছন্দ করে। ঘরের অবাধ্য হয়ে, চাকরীকে গুগলি মেরে, পথের আশংকা অগ্রাহ্য করে ছুটে চলার জন্য প্রয়োজন তারুণ্যের উদ্দামতা। পড়ন্ত বেলায় এসেও বন্ধু সংসর্গে মনে হয় আছে সেই প্রাণ, আছে সেই আলো, সেই উদ্দামতা। এখনো জ্বলতে পারে দুরন্ত মশাল, এখনো উড়তে পারে ঝড়ের পাখি।
দলের মধ্যে প্রথমে ৯ জন, তারপর কমে ৭ জন, শেষ পর্যন্ত রাতের বেলা কতজন অবশিষ্ট থাকবে জানি না। শীতের রাতে উপস্থির হেরফের হলে মেনে নিতেই হয়। ১৯৯৪ সালে অবশ্য তেমন হয়নি। আমাদের প্রথম সেন্টমার্টিন অভিযানে ছিল ৬ জন। এবারো সেই সংখ্যাই দাঁড়িয়ে যাবে কিনা। এখনো ঝোলা তৈরী বাকী। সাথে ক্যামেরা যাচ্ছে না মোবাইল আছে বলে, গানের যন্ত্র লাগছে না মোবাইল আছে বলে, ম্যাপ জিপিএস কিছুই লাগছে না মোবাইল আছে বলে। এই শতকের সবচেয়ে কর্মট আবিষ্কার মনে হয় মোবাইল যন্ত্রটি। এই যন্ত্রটি আমি বিশেষ ব্যবহার করি না, কিন্তু এই যন্ত্রটি না থাকলে হাত খালি খালি লাগে। যতনা মোবাইলে কথা বলার জন্য তার চেয়ে বেশি ইন্টারনেটের দরকার। ইন্টারনেট মানে জিমেল, গুগল, ফেসবুক, ব্যস। আর কিছু লাগে না। ওরকম একটা দ্বীপে গিয়ে এসব লাগার কথা না। তবু প্রাণের একটা সংযোগ আজকাল প্রযুক্তি মাধ্যমেই ঢুকে গেছে, ফলে ওটা না থাকার অভাব ক্ষণে ক্ষণে খোঁচাখুচি করে।
No comments:
Post a Comment