Saturday, February 22, 2014

শিশুদের সাথে আনন্দ গ্রামে(ছবিব্লগ)

শহর থেকে খুব দূরে নয়। গাড়িতে খুব বেশী হলে এক ঘন্টা। কিন্তু যানজটের ভয়ংকর চাপ খেয়ে ফেললো আস্ত তিনটা ঘন্টা। আমরা ত্রিশ নাকি পয়ত্রিশ জন? গুনিনি। এক মিনিবাস আমরা সাথে শিশু পাঁচজন শুধু এটুকু নিশ্চিত।

যাত্রাপথের বিশ্রী যন্ত্রণায় ত্যক্ত বিরক্ত শিশুকূলের দিকে তাকিয়ে খারাপ লাগছিল। কেউ বমি করছে, কেউ করবে যে কোন সময়। কতদূর আর কতদূর।

অবশেষে গন্তব্যের দেখা মিললো। শান্তি। সবুজ শান্তিময় একটা গ্রাম। ধূ ধূ প্রান্তরে ফসল কাটা হয়ে গেছে  কবেই। মাঝে মাঝে শুধু শীতকালীন সবজি অবশিষ্ট। চমৎকার গ্রামটি দেখে মুহুর্তে পথের বিরক্তি উধাও।

গ্রামে নেমেই বদলে গেল শিশুরাও। ত্যক্ত বিরক্ত ঘর্মাক্ত চেহারায় হাসতে শুরু করলো আলো। কিছু খেয়ে না খেয়েই শুরু হলো গ্রামময় ছোটাছুটি, বন্যতা, মাঠে ঘাটে দাপাদাপি। স্বাধীনতার আনন্দ উচ্ছ্বাস।

অনেক কায়দা করে ক্যামেরা বিমুখ শিশুদের কয়েকটা ফ্রেমে আবদ্ধ করা গেছে। ধুলোবালি মেখে বিকেলের শেষ রোদ গায়ে চড়িয়ে আবারো গাড়িতে চড়া, আবারো শহুরে বন্দীশালায়।



স্থানঃ আনোয়ারা, চট্টগ্রাম
তারিখঃ ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৪

সময়ঃ সারাদিন


                                     আমিই তো বাবাকে বলে তোমাদের আনলাম এখানে


আমি এখানে সব চিনি, সব চিনি, তুমি আসো আমার সাথে

                                ব্যাটা এত চিনলো আমি চিনলাম না কেন? চাপা নাকি?
                                  ঐ শোন, এরপরই কিন্তু আমরা ছুট লাগাবো

                                    ওরা গেছে যাক, আমি এদিকে ছুট লাগাই

তাড়াতাড়ি করো, ছবি তুলে সময় নষ্ট করা যাবে না

                                                 আয় তবে সহচরী হাতে হাতে ধরি ধরি                                 

                                      আমি পায়ে ব্যথা পেয়েছি ওষুধ না দিয়ে তুমি ছবি তোলো??                   
             

আই নো হাউ টু মেক এ উইশ, কিন্তু বলবো না কি উইশ

আজ আমাদের ছুটি ও ভাই আজ আমাদের ছুটি





আমি ফারিস। ঢাকার উত্তরায় থাকি। তোমাদের সব্বাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ নিমন্ত্রণ রক্ষা করে আমাদের গ্রামে বেড়াতে আসার জন্য। এরপর তোমরা শহরে চলে যাবে, আমিও দুদিন বাদে ঢাকার জেলখানায়। তবে আবার আসবো আমি। তখন তোমরাও এসো, কেমন?

No comments: