-আই ওয়াজ শকড
-কেন শকড হবার কি ছিল তাতে
-শকড হবার মতো বিষয়বস্তু নয়। কিন্তু বিষয়ের যে ফ্রেমটা সেই ফ্রেমটা আমাকে শকড করেছিল।
-কেন বিষয়বস্তু যদি দোষের না হয় ফ্রেমটা কেন দোষের হলো।
-ফ্রেমটা দোষের বলিনি, ফ্রেমটা দেখে আমি শকড বললাম।
-কিন্তু কেন, খুলে বলো তো
-ওরকম একটা ফ্রেমওয়ার্ক করা আছে আমি জানতাম না। আ্মাকে ভুল ধারণা দেয়া হয়েছিল। ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে একটা বিষয় ছিল যেটা আমার পূর্বধারণাকে আহত করেছে। মানুষ অযৌক্তিক প্রাণী হলেও মগজের মধ্যে সবকিছুর মধ্যে একটা যুক্তি খাড়া করে অগ্রসর হয়। সেই যুক্তির সৃষ্টি হয়েছিল ধারণা থেকে। সেই ধারণাকে যে অবস্থা প্রেরণা দিয়ে তৈরী করেছিল সেই অবস্থার জনক দ্বৈত ভূমিকায় অবতীর্ন হবার কারণেই ফ্রেমওয়ার্কটা সম্পর্কে ভুল ধারণার সৃষ্টি হয় যা আমাকে শকড করেছিল।
-কিন্তু ফ্রেম যখন আছে ফ্রেমওয়ার্কটা থাকবে এটাই স্বাভাবিক নয় কি?
-হ্যাঁ সেটাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু ফ্রেমওয়ার্কটা যখন নষ্ট হয়ে যায় আমি একটা নতুন কোয়ান্টাম থিওরি দাড় করিয়ে ফ্রেমটাকে পুননির্মান করার জন্য কাজ করছিলাম। তখনই আঘাতটা এলো পুরোনো ফ্রেমওয়ার্ক থেকে। আমার মোটেও কোন প্রস্তুতি ছিল না সেই ব্যাপারে।
-এখন তুমি কি মানতে পারছো না সেই ফ্রেমওয়ার্কের অস্তিত্ব?
-আমি মেনে নিয়েছি। আমি জানি ওই ফ্রেমওয়ার্ক একটা বস্তুর অবিচ্ছেদ্য একটা অংশ। আমাকে ওটা মেনে নিয়েই নতুন থিউরিকে স্থাপন করতে হবে। এতে নিখুত কোন নির্মান হবে না জানি। কিন্তু এ ছাড়া উপায়ও নেই।
-তুমি যতটা এগিয়েছো তাতে তোমার পিছিয়ে যাবার কোন উপায় নেই
-আমি পিছাবো না। কিন্তু যদি নতুন ফ্রেমওয়ার্ক কাজ না করে তাহলে আমাকে পুরো ব্যাপারটা পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে হবে।
-এরকম একটা পর্যায়ে পরিত্যক্ত ঘোষণার ফল কি তুমি কি তা জানো?
-আমি জানি এখানে আরেকটা বিপর্যয় ঘটবে। কিন্তু সেটা অনিবার্য এমনিতেই। কারণ দুই থিউরির সংঘর্ষে একটা সময় এমনিতেই এটার ধ্বংস ডেকে আনবে। তবু আমার একটা শান্ত্বনা থাকবে আমি চেষ্টা করেছিলাম ফ্রেমওয়ার্কটিকে আন্তরিকভাবে পুনরুদ্ধার করতে।
-তুমি সফল হও আপাতত এই ই্চ্ছা পোষণ করছি।
-এছাড়া তোমারও উপায় নেই। তুমি মহাজাগতিকভাবেই অসহায়। তোমাকেও মেনে নিতে হয়। মনে না নিলেও।
-তুমি সৃষ্টির আদিতত্ত্বের বিরুদ্ধাচরণ করছো কিনা ভেবে দেখেছো?
-আমি পুরো সিস্টেমেই একটা গলদ দেখতে পেয়েছি। সেই গলদ গোড়াতেই আঘাত হেনে বসেছে
[সংগৃহীত]
No comments:
Post a Comment