১.
বছরের শুরু হলো রাজনৈতিক অস্থিরতা দিয়ে। বিরোধী দলের অনির্দিষ্টকালের অবরোধ চলছে। অবরোধে শহরের কোন কোন জায়গায় গাড়ির জ্যাম লেগে যায় রীতিমত। মানুষ বিরক্ত। কেউ সরকারের উপর। কেউ বিরোধী দলের উপর। কেউ দুই পক্ষের উপরই বিরক্ত। আমি বিরক্ত হতে হতে ক্লান্ত হয়ে গেছি বলে বিরক্ত হওয়া ছেড়ে দিয়েছি। কাজ করি, খাই, ঘুমাই, আর ভাবতে চেষ্টা করি এই মৃত্য উপত্যকা আমার দেশ না। আমি যেন বিদেশে বাস করছি। কাজে আসা যাওয়ার পথে কোনদিন পুড়েও যেতে পারি, বিচিত্র কিছু না। পথে সেনাবাহিনী নেমেছে কদিন ধরে। তবু গতকাল বাসার সামনে শিবিরের তাণ্ডব চলেছে, ককটেল মেরেছে, গাড়ি ভেঙ্গেছে। বাড়ি ফেরার পথে রাস্তার কালো পিচের উপর গাড়ির কাঁচের গুড়া ছড়ানো দেখলাম। এই সবই স্বাভাবিক হয়ে গেছে এখন। বোমাবাজি শেষ হবার আধাঘন্টার মধ্যে পরিস্থিতি 'যেন কিছুই ঘটেনি' হয়ে গেছে। একসময় দারিদ্র ছিল আমাদের আইকন। সামনে হয়তো নৈরাজ্যই আমাদের আইকন হয়ে যাবে।
বছরের শুরু হলো রাজনৈতিক অস্থিরতা দিয়ে। বিরোধী দলের অনির্দিষ্টকালের অবরোধ চলছে। অবরোধে শহরের কোন কোন জায়গায় গাড়ির জ্যাম লেগে যায় রীতিমত। মানুষ বিরক্ত। কেউ সরকারের উপর। কেউ বিরোধী দলের উপর। কেউ দুই পক্ষের উপরই বিরক্ত। আমি বিরক্ত হতে হতে ক্লান্ত হয়ে গেছি বলে বিরক্ত হওয়া ছেড়ে দিয়েছি। কাজ করি, খাই, ঘুমাই, আর ভাবতে চেষ্টা করি এই মৃত্য উপত্যকা আমার দেশ না। আমি যেন বিদেশে বাস করছি। কাজে আসা যাওয়ার পথে কোনদিন পুড়েও যেতে পারি, বিচিত্র কিছু না। পথে সেনাবাহিনী নেমেছে কদিন ধরে। তবু গতকাল বাসার সামনে শিবিরের তাণ্ডব চলেছে, ককটেল মেরেছে, গাড়ি ভেঙ্গেছে। বাড়ি ফেরার পথে রাস্তার কালো পিচের উপর গাড়ির কাঁচের গুড়া ছড়ানো দেখলাম। এই সবই স্বাভাবিক হয়ে গেছে এখন। বোমাবাজি শেষ হবার আধাঘন্টার মধ্যে পরিস্থিতি 'যেন কিছুই ঘটেনি' হয়ে গেছে। একসময় দারিদ্র ছিল আমাদের আইকন। সামনে হয়তো নৈরাজ্যই আমাদের আইকন হয়ে যাবে।
২.
নতুন বছর নিয়ে একটা ভালো লেখা লিখবো ভেবেছিলাম। কিন্তু নৈরাজ্যের আগুন লেখালেখিকেও গ্রাস করেছে। অনেকদিন একটা ভালো লেখা তৈরী করতে পারছি না। 'সাইলেন্স অব প্যালেস' দেখলাম কালকে। তিউনিসিয়ার সিনেমার সাথে পরিচিত হচ্ছি কিছুদিন ধরে। এই ছবিটার সাবটাইটেল ছিল না। তবু ছবির নামটা কেমন টানলো। ছবিটা দেখলাম। গুগল ঘেটে কাহিনী পড়লাম। আবারো দেখলাম। সাব না থাকলে আমার এই করেই মুভি বুঝতে হয়। উপায় নাই। পৃথিবীতে অ-ইংরেজী ছবির সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। আজকাল খুঁজে খুঁজে অ-ইংরেজ, অকূলীন সমাজের ছবি দেখছি। আফ্রিকার বেশ কিছু ছবি জমে আছে দেখার অপেক্ষায়। সাবটাইটেল নেই একটারও। এভাবে ছবি দেখার অন্যতম একটা উদ্দেশ্য হলো ওই দেশের সংস্কৃতিকে বোঝা। সবসময় কাহিনী বোঝার, সংলাপ বোঝার দরকার নেই। গত শতকে নির্বাক ছবি যেভাবে দেখতো লোকে, আমি সবাক ছবিও সেভাবে দেখতে শুরু করেছি। আফ্রিকার এরকম দুয়েকটা ছবি দেখে মনে হয়েছে ওরা আমাদের চেনা জগতের বাইরের বাসিন্দা। আমরা চিন্তাও করতে পারি না ওই জীবন। সেরকম জীবনের নজির হলিউড বা ইউরোপীয় ছবিতে নেই।
No comments:
Post a Comment