অভিজাত এলাকার এক ধনকুবের গেছেন নগরের সবচেয়ে বড় বইয়ের দোকানে। দোকানটা বিশাল একটা হলরুম যেন। প্রথমে ঢুকতে মনে হয় না বইয়ের দোকান, মনে হয় কোন প্রাচীন মিউজিয়াম।
শহরে বইপত্র বেচার এমন একটা জায়গা আছে তিনি কল্পনাই করেননি। নিউইয়র্কের বার্নস এণ্ড নোবলে একবার ঢুকেছিলেন। এক কাপ কফি খেয়ে বেরিয়ে এসেছিলেন ইতালীর বন্ধুর সাথে।
এটার সাথে নিউইয়র্কের সেই দোকানের কেমন একটা মিল। ওটার একপাশেও বেশ বড় একটা কাফে ছিল, এটার এক কোনেও নেসলের একটা কফি মেশিন দেখা যাচ্ছে। পাশে কয়েকটা টুল পাতা। পড়ুয়ারা চুকচুক করে কফি খাচ্ছে বইয়ে চোখ বুলাতে বুলাতে।
এই দোকানটার কেমন একটা জাহাজি আমেজ বা ঘ্রাণ আছে, জাহাজের মতো গোলাকার জানালা দেয়াল জুড়ে, সেই জানালা দিয়ে বাইরের সবুজ দেখা যাচ্ছে। এমনকি দোকানের মধ্যিখানে সটান দাঁড়ানো একটা আস্ত বাতিঘর। সেই বাতিঘরের ফাঁকফোকর জুড়েও বই আর বই।
মেঝেতে প্রাচীন কোন অচেনা কাঠের কারুকাজ। সমস্ত ঘর জুড়ে অপূর্ব সব শিল্পকর্মের মনোমুগ্ধকর প্রদর্শনী। চমৎকৃত হলেন ভদ্রলোক, হতেই হবে। শুধু চমৎকৃত নন, গর্বিতও হলেন গরীব দেশের এই ছোট্ট শহরেও এমন একটা বইয়ের দোকানের জন্য।
দোকানে ঢোকার পর থেকে ভদ্রলোক কোন কথা বলেননি। শুধু বইয়ের তাকের দিকে নজর বুলিয়ে যাচ্ছেন। বোধহয় স্থির করতে পারছেন না কোন বই কিনবেন। কিংবা আজ কিনবেন নাকি কাল। অনেকে প্রথমে দেখতে আসে, পরে অর্ডার করে।
এই ভদ্রলোক এর আগে আসা সবার চেয়ে কেমন যেন আলাদা। কিন্তু কী আলাদা সেটা বোঝা যাচ্ছে না। দোকানের সেলস ম্যানেজার চশমার ফাঁক দিয়ে মেপে নিতে চাইছেন কতটাকার বই কিনবেন এই ভদ্রলোক।
এরকম প্রকৃতির লোকজন কমপক্ষে দু তিন হাজার বই কিনে নিয়ে যায় একসাথে। এরা পড়ে কম, কিনে বেশী। আবার অতি পড়ুয়াদের পকেট থাকে গড়ের মাঠ। কেউ কেউ দুঘন্টা ঘাটাঘাটি করে বড় জোর দেড়শো টাকার একটা পাতি উপন্যাস কিনে বিমর্ষমুখে বেরিয়ে যায়। এই ভদ্রলোক প্রথম দলের নিশ্চিত, তবু কি যেন একটা পরিষ্কার তফাত। এই চাহনি আগে দেখেনি সেলস ম্যানেজার।
ভদ্রলোক দোকানের এপাশ ওপাশ কয়েকবার চক্কর দিলেন। সমস্ত ঘর হেঁটে হেঁটে কি যেন একটা অনুমান করার চেষ্টা করছেন।
সেলস ম্যানেজার খেয়াল করলেন তাঁর চোখ কি যেন খুঁজছে।
দুর্লভ কোন বই? মুভি? গান? অ্যালবাম? সব আছে সব।
কাউন্টারে একবার জিজ্ঞেস করলেই কম্পিউটারে দুটো বাটন চেপে বলে দিতে পারেন তিনি।
হ্যাঁ, এবার আসছেন তার কৌতুহল নিবৃত করতে। কাউন্টারে এসে জিজ্ঞেস করলেন-
-সাইজ কত?
-মানে?
-এই দোকানের সাইজ। দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা।
সেলস ম্যানেজার হতবাক। এই প্রশ্ন মোটেও আশা করেননি তিনি। সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত প্রশ্ন পেয়ে উত্তর দিতে দেরী হচ্ছিল।
-কী হলো? জানা নেই?
-জী স্যার, আছে। এটা হলো এটা.......মানে দৈর্ঘে দেড়শো ফুট, আর প্রস্থে ......এই ধরেন আশি ফুট।
-হুম। তার মানে বারো হাজার
-বারো হাজার মানে?
-বর্গফুট
-জী, তাই হবে।
-আমারটা একটু ছোট হবে। চলবে তবু।
-আপনারও দোকান আছে বুঝি?
-না, আমার দোকান নাই। আচ্ছা, এটার দাম কত?
-কিসের
-এই দোকানের ?
-এটার তো দাম নেই
-মানে?
-এটা সরকারী দালান। আমরা ভাড়া নিয়েছি।
-ও আই সি। দালান বাদ দিলে দোকানের সবকিছুর দাম কত?
-সবকিছু মানে?
-মানে দেয়ালগুলো বাদ দিয়ে যা আছে। বইপত্র, র্যাকট্যাক, বাতিটাতি যা আছে সব।
-সেটা.....সেটা তো কখনো হিসেব করিনি.......
প্রশ্ন শুনে ভিরমি খেলেন সেলস ম্যানেজার। আমতা আমতা করে জবাব দিলেন। লোকটা উন্মাদ নাকি? দেখেশুনে তো সুস্থ মনে হচ্ছে। কথাবার্তার এই ছিরি কেন? দোকানের দাম দিয়ে কী করবেন তিনি?
ভদ্রলোক মনে হয় বুঝতে পারলেন সেল ম্যানেজারের কথা।
-ভাবছেন দোকানের দাম জেনে কি করবো?
-জী, আসলে ঠিক তা না......
-আসলে ভাবার কথাই। কিন্তু দোকানটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে। যেটা খুব পছন্দ হয় আমি তার দাম জানতে ইচ্ছে করে। আপনি তো বলতে পারলেন না, পারার কথাও না। যাই হোক। এ তো হবারও কথা নয়। তবু স্রেফ কৌতুহল।
-জী স্যার
-আপনাদের ইনটেরিয়র আমার খুব পছন্দ হয়েছে। আমার ড্রইংরুমের সাইজটা এরকমই হবে প্রায়। আমি আমার বাড়ির ড্রইংরুমের ডিজাইনটা এরকমই করতে চাই। তাই দামটা জানতে চেয়েছিলাম। সে যাকগে। আসল কথায় আসি। কিছু বই লাগবে আমার।
-কি বই?
-সে আপনারা ঠিক করবেন।
-আমরা? কি বলছেন স্যার! আমরা কি করে জানবো কি বই কিনবেন আপনি?
-জী। আপনাদেরই করতে হবে। এই মাপের একটা ড্রইংরুমের সবগুলো দেয়াল বই দিয়ে সাজাতে কত টাকা লাগবে সেটা আপনারা ঠিক করে আমাকে একটা হিসেব দেবেন। আমি খুবই ব্যস্ত। আমার হাতে সময় নেই। আমি শুধু চেকটা লিখে দিয়ে যাই আজ। আপনারা বই পরে পাঠিয়ে দেবেন।
সেলস ম্যানেজারের মাথা ঘুরাতে শুরু করে। এসব কি বলছে লোকটা। জন্মেও শোনেনি কেউ এভাবে বই কিনতে পারে। নির্বাক চাউনিতে তাকিয়ে থাকে কয়েক সেকেণ্ড। তারপর কোনমতে একটা জবাব তৈরী করে বলে-
-স্যার আপনি ভাববেন না। আপনার বাসার ঠিকানাটা দেন। আমরা লোক পাঠিয়ে মাপ নিয়ে আসবো। তারপর বইগুলো পাঠিয়ে দেবো।
-ঠিক আছে। আপাততঃ দশ লাখ টাকার চেক রাখেন। বেশী কম যা হয় পরে এডজাস্ট করে নেবেন।
ভদ্রলোক চেক আর ঠিকানা লেখা কার্ড দিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে গিয়ে গাড়িতে উঠলেন।
গাড়ি চলতে চলতে ভাবছেন, শেষবার বই কিনেছিলেন পয়ত্রিশ বছর আগে মেট্রিক পরীক্ষার টেষ্ট পেপার। পয়ত্রিশ বছর পর আবারো বইয়ের খোঁজে নেমেছেন ইন্টেরিয়র ডেকোরেটরের অনুরোধে। অনেক বছর পর বইয়ের জন্য আবারো নৈকট্য বোধ করছেন তিনি। বইয়ের ঘ্রাণসমেত একটা ড্রইংরুমের স্বপ্নে তার ঘুম চলে আসছিল।
জরুরী কথাটা তখনই মনে পড়লো।
পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে দোকানের নাম্বার টিপতে শুরু করলেন। দোকানে ফোন করে বলে দিতে হবে অর্ধেকের বেশী যেন ইংরেজী বা দুর্বোধ্য ভাষার বই হয়। যাতে হাবিজাবি লোক এসে বইপত্র হাপিস করে দিতে না পারে।
বই পড়তে কাউকে বারণ করা চরম অভদ্রতা। কিন্তু এটাও তো মানতে হবে- বইপত্র শুধু কিনলেই হয় না, বইপত্র রক্ষা করতেও জানতে হয়। স্কুলে পড়া স্বাধীনতার ভাবসম্প্রসারণটির কথা মনে পড়লো তাঁর।
শহরে বইপত্র বেচার এমন একটা জায়গা আছে তিনি কল্পনাই করেননি। নিউইয়র্কের বার্নস এণ্ড নোবলে একবার ঢুকেছিলেন। এক কাপ কফি খেয়ে বেরিয়ে এসেছিলেন ইতালীর বন্ধুর সাথে।
এটার সাথে নিউইয়র্কের সেই দোকানের কেমন একটা মিল। ওটার একপাশেও বেশ বড় একটা কাফে ছিল, এটার এক কোনেও নেসলের একটা কফি মেশিন দেখা যাচ্ছে। পাশে কয়েকটা টুল পাতা। পড়ুয়ারা চুকচুক করে কফি খাচ্ছে বইয়ে চোখ বুলাতে বুলাতে।
এই দোকানটার কেমন একটা জাহাজি আমেজ বা ঘ্রাণ আছে, জাহাজের মতো গোলাকার জানালা দেয়াল জুড়ে, সেই জানালা দিয়ে বাইরের সবুজ দেখা যাচ্ছে। এমনকি দোকানের মধ্যিখানে সটান দাঁড়ানো একটা আস্ত বাতিঘর। সেই বাতিঘরের ফাঁকফোকর জুড়েও বই আর বই।
মেঝেতে প্রাচীন কোন অচেনা কাঠের কারুকাজ। সমস্ত ঘর জুড়ে অপূর্ব সব শিল্পকর্মের মনোমুগ্ধকর প্রদর্শনী। চমৎকৃত হলেন ভদ্রলোক, হতেই হবে। শুধু চমৎকৃত নন, গর্বিতও হলেন গরীব দেশের এই ছোট্ট শহরেও এমন একটা বইয়ের দোকানের জন্য।
দোকানে ঢোকার পর থেকে ভদ্রলোক কোন কথা বলেননি। শুধু বইয়ের তাকের দিকে নজর বুলিয়ে যাচ্ছেন। বোধহয় স্থির করতে পারছেন না কোন বই কিনবেন। কিংবা আজ কিনবেন নাকি কাল। অনেকে প্রথমে দেখতে আসে, পরে অর্ডার করে।
এই ভদ্রলোক এর আগে আসা সবার চেয়ে কেমন যেন আলাদা। কিন্তু কী আলাদা সেটা বোঝা যাচ্ছে না। দোকানের সেলস ম্যানেজার চশমার ফাঁক দিয়ে মেপে নিতে চাইছেন কতটাকার বই কিনবেন এই ভদ্রলোক।
এরকম প্রকৃতির লোকজন কমপক্ষে দু তিন হাজার বই কিনে নিয়ে যায় একসাথে। এরা পড়ে কম, কিনে বেশী। আবার অতি পড়ুয়াদের পকেট থাকে গড়ের মাঠ। কেউ কেউ দুঘন্টা ঘাটাঘাটি করে বড় জোর দেড়শো টাকার একটা পাতি উপন্যাস কিনে বিমর্ষমুখে বেরিয়ে যায়। এই ভদ্রলোক প্রথম দলের নিশ্চিত, তবু কি যেন একটা পরিষ্কার তফাত। এই চাহনি আগে দেখেনি সেলস ম্যানেজার।
ভদ্রলোক দোকানের এপাশ ওপাশ কয়েকবার চক্কর দিলেন। সমস্ত ঘর হেঁটে হেঁটে কি যেন একটা অনুমান করার চেষ্টা করছেন।
সেলস ম্যানেজার খেয়াল করলেন তাঁর চোখ কি যেন খুঁজছে।
দুর্লভ কোন বই? মুভি? গান? অ্যালবাম? সব আছে সব।
কাউন্টারে একবার জিজ্ঞেস করলেই কম্পিউটারে দুটো বাটন চেপে বলে দিতে পারেন তিনি।
হ্যাঁ, এবার আসছেন তার কৌতুহল নিবৃত করতে। কাউন্টারে এসে জিজ্ঞেস করলেন-
-সাইজ কত?
-মানে?
-এই দোকানের সাইজ। দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা।
সেলস ম্যানেজার হতবাক। এই প্রশ্ন মোটেও আশা করেননি তিনি। সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত প্রশ্ন পেয়ে উত্তর দিতে দেরী হচ্ছিল।
-কী হলো? জানা নেই?
-জী স্যার, আছে। এটা হলো এটা.......মানে দৈর্ঘে দেড়শো ফুট, আর প্রস্থে ......এই ধরেন আশি ফুট।
-হুম। তার মানে বারো হাজার
-বারো হাজার মানে?
-বর্গফুট
-জী, তাই হবে।
-আমারটা একটু ছোট হবে। চলবে তবু।
-আপনারও দোকান আছে বুঝি?
-না, আমার দোকান নাই। আচ্ছা, এটার দাম কত?
-কিসের
-এই দোকানের ?
-এটার তো দাম নেই
-মানে?
-এটা সরকারী দালান। আমরা ভাড়া নিয়েছি।
-ও আই সি। দালান বাদ দিলে দোকানের সবকিছুর দাম কত?
-সবকিছু মানে?
-মানে দেয়ালগুলো বাদ দিয়ে যা আছে। বইপত্র, র্যাকট্যাক, বাতিটাতি যা আছে সব।
-সেটা.....সেটা তো কখনো হিসেব করিনি.......
প্রশ্ন শুনে ভিরমি খেলেন সেলস ম্যানেজার। আমতা আমতা করে জবাব দিলেন। লোকটা উন্মাদ নাকি? দেখেশুনে তো সুস্থ মনে হচ্ছে। কথাবার্তার এই ছিরি কেন? দোকানের দাম দিয়ে কী করবেন তিনি?
ভদ্রলোক মনে হয় বুঝতে পারলেন সেল ম্যানেজারের কথা।
-ভাবছেন দোকানের দাম জেনে কি করবো?
-জী, আসলে ঠিক তা না......
-আসলে ভাবার কথাই। কিন্তু দোকানটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে। যেটা খুব পছন্দ হয় আমি তার দাম জানতে ইচ্ছে করে। আপনি তো বলতে পারলেন না, পারার কথাও না। যাই হোক। এ তো হবারও কথা নয়। তবু স্রেফ কৌতুহল।
-জী স্যার
-আপনাদের ইনটেরিয়র আমার খুব পছন্দ হয়েছে। আমার ড্রইংরুমের সাইজটা এরকমই হবে প্রায়। আমি আমার বাড়ির ড্রইংরুমের ডিজাইনটা এরকমই করতে চাই। তাই দামটা জানতে চেয়েছিলাম। সে যাকগে। আসল কথায় আসি। কিছু বই লাগবে আমার।
-কি বই?
-সে আপনারা ঠিক করবেন।
-আমরা? কি বলছেন স্যার! আমরা কি করে জানবো কি বই কিনবেন আপনি?
-জী। আপনাদেরই করতে হবে। এই মাপের একটা ড্রইংরুমের সবগুলো দেয়াল বই দিয়ে সাজাতে কত টাকা লাগবে সেটা আপনারা ঠিক করে আমাকে একটা হিসেব দেবেন। আমি খুবই ব্যস্ত। আমার হাতে সময় নেই। আমি শুধু চেকটা লিখে দিয়ে যাই আজ। আপনারা বই পরে পাঠিয়ে দেবেন।
সেলস ম্যানেজারের মাথা ঘুরাতে শুরু করে। এসব কি বলছে লোকটা। জন্মেও শোনেনি কেউ এভাবে বই কিনতে পারে। নির্বাক চাউনিতে তাকিয়ে থাকে কয়েক সেকেণ্ড। তারপর কোনমতে একটা জবাব তৈরী করে বলে-
-স্যার আপনি ভাববেন না। আপনার বাসার ঠিকানাটা দেন। আমরা লোক পাঠিয়ে মাপ নিয়ে আসবো। তারপর বইগুলো পাঠিয়ে দেবো।
-ঠিক আছে। আপাততঃ দশ লাখ টাকার চেক রাখেন। বেশী কম যা হয় পরে এডজাস্ট করে নেবেন।
ভদ্রলোক চেক আর ঠিকানা লেখা কার্ড দিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে গিয়ে গাড়িতে উঠলেন।
গাড়ি চলতে চলতে ভাবছেন, শেষবার বই কিনেছিলেন পয়ত্রিশ বছর আগে মেট্রিক পরীক্ষার টেষ্ট পেপার। পয়ত্রিশ বছর পর আবারো বইয়ের খোঁজে নেমেছেন ইন্টেরিয়র ডেকোরেটরের অনুরোধে। অনেক বছর পর বইয়ের জন্য আবারো নৈকট্য বোধ করছেন তিনি। বইয়ের ঘ্রাণসমেত একটা ড্রইংরুমের স্বপ্নে তার ঘুম চলে আসছিল।
জরুরী কথাটা তখনই মনে পড়লো।
পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে দোকানের নাম্বার টিপতে শুরু করলেন। দোকানে ফোন করে বলে দিতে হবে অর্ধেকের বেশী যেন ইংরেজী বা দুর্বোধ্য ভাষার বই হয়। যাতে হাবিজাবি লোক এসে বইপত্র হাপিস করে দিতে না পারে।
বই পড়তে কাউকে বারণ করা চরম অভদ্রতা। কিন্তু এটাও তো মানতে হবে- বইপত্র শুধু কিনলেই হয় না, বইপত্র রক্ষা করতেও জানতে হয়। স্কুলে পড়া স্বাধীনতার ভাবসম্প্রসারণটির কথা মনে পড়লো তাঁর।
No comments:
Post a Comment