বিশ্বাস করা কঠিন, অবিশ্বাস করা সহজ। তবে না জেনে বিশ্বাসও সহজ, কিন্তু জেনে বিশ্বাস কঠিন কাজ। বিশ্বাসীরা যদি প্রমান করে বিশ্বাস করতে চায়, তাঁকে বহুদুর হাঁটতে হবে। অতদুর হাঁটার শক্তি থাকে না সবার। তবু অনেকে হাঁটতে চায়, যখন শক্তি ফুরিয়ে যায়, ধৈর্য ফুরিয়ে যায়, তখন মাঝপথে বসে পড়ে। সামনে তার দুটি পথ খোলা থাকে। এক- অন্ধ বিশ্বাসে ভর করে ফিরে আসা, দুই- ফিরে যাওয়া অবিশ্বাসের রাস্তায়।
অবিশ্বাসে কোন প্রমান লাগে না। অবিশ্বাস সহজ। তবু অবিশ্বাসীর চেয়ে বিশ্বাসীর সংখ্যা বেশী কেন বিশ্বে? কারন অবিশ্বাস করা সহজ হলেও অবিশ্বাসী হতে সাহস লাগে। বিশাল দুঃসাহস। দুঃসাহসী মানুষের সংখ্যা বরাবরই কম। অধিকাংশ মানুষ ঝুঁকিবিহীন পথ বেছে নেয়। প্রমান অপ্রমানের পরিশ্রমের রাস্তায় না গিয়ে, ঝুঁকিবিহীন অন্ধ বিশ্বাসের পথে যাওয়াটাই শ্রেয় মনে করে বেশীরভাগ মানুষ। দুঃসাহস দেখাতে গিয়ে স্বর্গের সুধাবঞ্চিত হবার কোন মানে হয় না। তাই বিশ্বাসীরা সংখ্যাগুরু, অবিশ্বাসীরা সংখ্যালঘু।
তবে বিশ্বাসের প্রমান পাওয়া পর্যন্ত দীর্ঘ পথ যারা পাড়ি দিতে পেরেছে তারাই যুগে যুগে সাধক-মহামানব।
আর যারা ততটা পথ হাঁটতে পারেনি, মাঝপথে ক্লান্ত-শ্রান্ত-বিভ্রান্ত হয়েছে, যাত্রা পথের কন্টকময় খন্ডিত বিবরনই মিলবে কেবল এদের কাছে। এরা কারা?
No comments:
Post a Comment