পৃথিবীটা কতোটা বড় কিংবা কতোখানি গোল তা জানার আগেই সেটাকে দুই ভাগে বিভক্ত করে মালিকানা চুক্তি করে ফেলেছিল স্পেন আর পর্তুগাল। চুক্তিটার নাম Treaty of Tordesillas স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৪৯৪ সালে। তখনো সবগুলো মহাদেশ আবিষ্কৃত হয়নি, সবগুলো দেশে প্রতিষ্ঠিত শাসক ক্ষমতায় বসেনি।
ওই চুক্তি অনুযায়ী আটলান্টিকের পূর্বদিকের সকল আবিষ্কৃত ভূমির মালিকানা পর্তুগালের আর আটলান্টিকের পশ্চিমের সকল আবিষ্কৃত ভূমির মালিকানা স্পেনের। ১৪৯২ সালে কলম্বাস আমেরিকার নতুন ভূমি আবিষ্কার করেছিল ভারত মনে করে, আর ১৪৯৮ সালে ভাস্কো দা গামা আফ্রিকার দক্ষিণপ্রান্ত দিয়ে ভারতে যাবার জলপথ খুঁজে পেয়েছিল। মাঝখানের সময়ে ১৪৯৪ সালে সমুদ্রে নতুন কোন অভিযান চালাবার অধিকার এভাবেই ভাগ হয়ে যায় দুই দেশের মধ্যে।
ওই চুক্তি অনুযায়ী আটলান্টিকের পূর্বদিকের সকল আবিষ্কৃত ভূমির মালিকানা পর্তুগালের আর আটলান্টিকের পশ্চিমের সকল আবিষ্কৃত ভূমির মালিকানা স্পেনের। ১৪৯২ সালে কলম্বাস আমেরিকার নতুন ভূমি আবিষ্কার করেছিল ভারত মনে করে, আর ১৪৯৮ সালে ভাস্কো দা গামা আফ্রিকার দক্ষিণপ্রান্ত দিয়ে ভারতে যাবার জলপথ খুঁজে পেয়েছিল। মাঝখানের সময়ে ১৪৯৪ সালে সমুদ্রে নতুন কোন অভিযান চালাবার অধিকার এভাবেই ভাগ হয়ে যায় দুই দেশের মধ্যে।
Tordesillas চুক্তির বিভক্ত পৃথিবী
ইতিমধ্যে ভাস্কো দা মার পথ বেয়ে পর্তুগাল ভারতে নিজেদের উপনিবেশ স্থাপনের পথে এগিয়ে গেলে স্পেনের জন্য মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়ায় বিকল্প একটি পথের সন্ধান করা। সবকিছুর মূল ছিল এশিয়ার মশলা বাণিজ্য হস্তগত করা। ভারত মশলা বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু। ইউরোপে মশলা বাণিজ্যের একচেটিয়া কারবার করছিল ভেনিসের এক বণিক। অটোমান সাম্রাজ্যের উপর দিয়ে ইউরোপের বাণিজ্য করার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে বিকল্প একটা পথের সন্ধানে পর্তুগীজ ও স্পেনিশ শক্তি মরিয়া হয়ে উঠেছিল। তার ফলশ্রুতি এই রকম সব চুক্তি ও নতুন পথের সমুদ্র অভিযান।
কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের পর Treaty of Tordesillas স্পেনের জন্য যতখানি সৌভাগ্য মনে হয়েছিল ভাস্কো দা গামা ভারতের জলপথ আবিষ্কার করার পর তা স্পেনের জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। ওই পথে স্পেনিশদের কোন অভিযান চালানো সম্ভব ছিল না।
ইতিমধ্যে বালবোয়া নামে এক স্পেনিশ ১৫১৩ সালে পানামার পশ্চিম প্রান্তে গিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরের সন্ধান পেলেও ধারণা করা যায়নি তার বিশাল বিপুল আয়তন সম্পর্কে। ওই প্রান্তে কোন নৌযান ছিল না যাতে দূরবর্তী অনুসন্ধান সম্ভবপর হয়। তবু সেই স্বল্প ধারণার ভিত্তিতে স্পেনের রাজা আটলান্টিকের পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে নতুন পথ আবিষ্কারে ফার্ডিন্যাণ্ড ম্যাগেলানের মতো এক পর্তূগীজ নাবিকের উপর দায়িত্ব অর্পন করে।
স্পেনের রাজার পর্তুগীজ নাবিকের উপর নির্ভরতার ব্যাপারটা একটু অস্বাভাবিক লাগলেও ঘটনা হলো ম্যাগেলানের তখন খারাপ সম্পর্ক যাচ্ছিল পর্তুগীজ রাজার সাথে। ম্যাগেলান প্রস্তাবিত একটি নতুন অভিযানের জন্য পর্তুগীজ রাজা সাহায্য করতে রাজী ছিল না বলে স্পেনের রাজার দিকে ঝুঁকেছিলেন তিনি।
স্পেনিশ রাজার পক্ষে ম্যাগেলানকে পছন্দ করার আরেকটি কারণ ছিল ম্যাগেলান ১৫০৫ সাল থেকেই ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াতে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ছিলেন। এমনকি ইন্দোনেশিয়ার একটি মশলাসমৃদ্ধ দ্বীপরাজ্যে রাজার উপদেষ্টা ছিলেন। ১৫১৭ সালে ম্যাগেলানের অভিযানের পরিকল্পনা শুরু হলেও যাত্রা শুরু হয় ১৫২০ সালের সেপ্টেম্বরে ৫টি জাহাজ এবং ২৭০জন নাবিককে দিয়ে।
১৫২১ সালে ম্যাগেলান দক্ষিণ আমেরিকার শেষ প্রান্ত দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে যাবার পথ আবিষ্কার করেন। যা এখন ম্যাগেলান প্রণালী বলে পরিচিত। প্রশান্ত মহাসাগরের শান্ত চেহারা দেখে তিনিই নামকরণ করেছিলেন তার। ফার্ডিন্যাণ্ড ম্যাগেলান প্রথম বিশ্বপরিভ্রমণকারী হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি ভ্রমণ সম্পন্ন করার শেষার্ধে ফিলিপাইনের কাছে আদিবাসীদের সাথে সংঘর্ষে নিহত হয়েছিলেন। তবু তাঁকে এই কৃতিত্ব দেবার কারণ হলো তাঁর অধীনস্থ বহরের একাংশ এই অভিযান সমাপ্ত করতে পেরেছিলেন।ইতিমধ্যে বালবোয়া নামে এক স্পেনিশ ১৫১৩ সালে পানামার পশ্চিম প্রান্তে গিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরের সন্ধান পেলেও ধারণা করা যায়নি তার বিশাল বিপুল আয়তন সম্পর্কে। ওই প্রান্তে কোন নৌযান ছিল না যাতে দূরবর্তী অনুসন্ধান সম্ভবপর হয়। তবু সেই স্বল্প ধারণার ভিত্তিতে স্পেনের রাজা আটলান্টিকের পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে নতুন পথ আবিষ্কারে ফার্ডিন্যাণ্ড ম্যাগেলানের মতো এক পর্তূগীজ নাবিকের উপর দায়িত্ব অর্পন করে।
স্পেনের রাজার পর্তুগীজ নাবিকের উপর নির্ভরতার ব্যাপারটা একটু অস্বাভাবিক লাগলেও ঘটনা হলো ম্যাগেলানের তখন খারাপ সম্পর্ক যাচ্ছিল পর্তুগীজ রাজার সাথে। ম্যাগেলান প্রস্তাবিত একটি নতুন অভিযানের জন্য পর্তুগীজ রাজা সাহায্য করতে রাজী ছিল না বলে স্পেনের রাজার দিকে ঝুঁকেছিলেন তিনি।
স্পেনিশ রাজার পক্ষে ম্যাগেলানকে পছন্দ করার আরেকটি কারণ ছিল ম্যাগেলান ১৫০৫ সাল থেকেই ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াতে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ছিলেন। এমনকি ইন্দোনেশিয়ার একটি মশলাসমৃদ্ধ দ্বীপরাজ্যে রাজার উপদেষ্টা ছিলেন। ১৫১৭ সালে ম্যাগেলানের অভিযানের পরিকল্পনা শুরু হলেও যাত্রা শুরু হয় ১৫২০ সালের সেপ্টেম্বরে ৫টি জাহাজ এবং ২৭০জন নাবিককে দিয়ে।
ম্যাগেলানের যাত্রাপথ
আজকের সমৃদ্ধ পৃথিবীটা সর্বোতভাবে ইউরোপ কিংবা ইউরোপীয়ান বংশোদ্ভুত জাতিদের করায়ত্ত হবার মূল সুত্রপাত ছিল এই তিনজনের হাতে। কলম্বাস, ভাস্কো দা গামা এবং ফার্ডিন্যাণ্ড ম্যাগেলান।
No comments:
Post a Comment