অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী। তবু মাঝে মাঝে সেই ভয়ংকরের চর্চা করতে হয় নতুন জ্ঞান উন্মোচনের স্বার্থে।
টুকরো টুকরো পাঠাভ্যাসের পাশাপাশি যেসব চিন্তা তাৎক্ষণিকভাবে ঘুরপাক খায় তা পরবর্তী অধ্যায়ে গিয়ে হারিয়ে যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেই হারিয়ে যাওয়া ভাবনাগুলো ফিরে আসে না। টুকরো টুকরো চিন্তাগুলোকে লন্ড্রির স্লিপের মতো গেঁথে রাখার জন্য মাঝে মাঝে হাতের কাছে কাগজ কলম নিয়ে পড়তে বসা হয়। মানবজাতির উপকারে আসবে না এসব তুচ্ছজ্ঞান। শুধু নিজেকে শোনাবার জন্য এই অল্পবিদ্যাগুলো সুতোয় গেঁথে রাখা।
জাতীয়তাবাদী দানব
মানুষের জাতীয়তাবাদের ধারণাটা আপেক্ষিক। জাতীয়তাবাদী ঐক্যের মূল উৎস হলো নিজ গোত্রের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বন্ধন। এই ঐক্যের পরিধিও নিজ নিজ স্বার্থের উপর নির্ভরশীল। গ্রামপ্রীতি, জেলাপ্রীতি, দেশপ্রীতি, ভাষাপ্রীতি, ধর্মপ্রীতি, গোত্রপ্রীতি সব একই সামাজিক সুত্রে গ্রোথিত। আরো বৃহত্তর অর্থে মহাদেশপ্রীতি কিংবা সমস্ত পৃথিবীকে একটি ইউনিট ধরে গ্রহপ্রীতিও হতে পারে। যদি সূর্যকে কেন্দ্রবিন্দু ধরি তাহলে সৌরজগত প্রীতি, ছায়াপথকে আমাদের অংশ ধরে গ্যালাক্সিপ্রীতিও একই অর্থে ব্যবহৃত হতে পারে।
আমরা জানি না মহাবিশ্বে আরো কতগুলো সভ্যতা আছে, সমাজ আছে। যদি জানা যেতো তাহলে এই বৃহত্তর জাতীয়তাবোধ নিয়ে আরো বিশদ ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করা যেতো। আবার জাতীয়তাবোধকে কোন কোন ক্ষেত্রে সংকীর্ণতা বলা যায়। যখন সে জাতীয়তা অপরাপর জাতি বা গোত্রের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। জার্মানীতে নাৎসী জাতীয়তাবোধ একটি উদাহরণ হতে পারে। সেরকম মতবাদ ভিত্তিক জাতীয়তাবোধ পৃথিবীর জন্য অনেক ক্ষেত্রেই ধ্বংস ডেকে এনেছে। অতীতের ধর্মযুদ্ধগুলো এবং বর্তমানে জঙ্গীবাদী সন্ত্রাসবাদ সেই একই সুত্রে গাঁথা। এই ধরনের ভাবনাগুলোর জন্য বিশেষ কোন গ্রন্থের প্রয়োজন হয় না, একটি সুস্থ চিন্তার ক্ষমতা সম্পন্ন যৌক্তিক মস্তিষ্ক হলেই চলে।
ছিল অধিবাসী, হয়ে গেল আদিবাসী
মাত্র কয়েকশো বছর আগে কেমন ছিল মানব জাতি? ইউরোপ তখন মাত্র অন্ধকার কাটিয়ে আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে। নৌ প্রযুক্তির সহায়তায় মহাসাগর পাড়ি দেবার সাহস অর্জন করে প্রথমবারের মতো। বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে পাল তোলে দূর দেশে। সারা পৃথিবী আবিষ্কারের জন্য বের হয়নি ওরা। বের হয়েছিল ভারতে যাবার বাণিজ্য পথ আবিষ্কার করতে। সেই চেষ্টার প্রথম ফল কলম্বাসের হাতে আমেরিকা 'আবিষ্কার'। তারপর ভাস্কো দা গামার হাতে ভারতে পৌঁছানোর জলপথ আবিষ্কার। মূলতঃ এই দুজনের হাত ধরে সমস্ত ইউরোপের বৃহৎ শক্তিগুলো আটলান্টিক ও ভারত মহাসাগর পাড়ি দিয়ে একের পর এক উপনিবেশ গড়ে তুলেছে বিশ্বজুড়ে। দখল করেছে একেকটি মহাদেশ। এশিয়া দখল করতে না পারলেও কলোনী নামের দাসত্ব শৃংখল পরিয়ে দিয়েছে।
কিন্তু আটলান্টিক মহাসাগরের পশ্চিম প্রান্তের দুটো মহাদেশ থেকে বিদ্যমান সকল সভ্য রাজ্যকে শক্তি বলে উচ্ছেদ করে একেবারে নিজেদের দেশ বলে দখল করে নিয়েছে। কয়েক কোটি মানুষকে হত্যা করেছে যার ওই দেশগুলোর আদি অধিবাসী ছিল। যদিও তাদের তথাকথিত আবিষ্কারের আগেই ওখানে সভ্যতা হাজার বছর ধরে বিরাজ করছিল, তবু শত শত বছর ধরে নির্লজ্জের মতো প্রচার করে গেছে ইউরোপীয়ান আবিষ্কারের বীরত্বগাঁথা যেটা ছিল মূলতঃ আগ্রাসন এবং দস্যুতা। সভ্যতার দাবীদার ইউরোপীয়ান শক্তিগুলো একবারও দুঃখপ্রকাশ করেনি এই আগ্রাসনের জন্য। স্বীকার করেনি কতগুলো প্রাচীন সভ্যতা ধ্বংস করে দিয়েছে সেই তথাকথিত আবিষ্কারের মাধ্যমে।
ভারত মহাসাগর পেরিয়ে এশিয়াতে পৌঁছেও তাই করতো যদি ভারতে প্রতিষ্ঠিত কোন সাম্রাজ্য না থাকতো। তবু কী কামড় দেয়নি? দিয়েছে, অন্যভাবে। এশিয়ার রাষ্ট্রগুলোতে প্রতিষ্ঠিত সাম্রাজ্য থাকা সত্ত্বেও ভারতবর্ষের ক্ষমতাসীন রাজা বাদশাদের দ্বিধাবিভক্তি আর অন্তর্কোন্দলের সুযোগ নিয়ে ইউরোপীয়ানরা তাদের সাম্রাজ্যবাদী হাত বিস্তার করার প্রতিযোগীতা করে গেছে।
সারাবিশ্ব জুড়ে ইউরোপীয় সাম্রাজ্য বিস্তারের জয়জয়কারের যুগে উত্তর আর দক্ষিণ আমেরিকায় বিজয়ী হয়েছিল পর্তুগীজ স্পেনিশরা এবং উত্তর আমেরিকায় বিজয়ী হয়েছিল ইংরেজ। এশিয়ায় অপরাপর ইউরোপীয় শক্তি পরিপূর্ণ সফলতা অর্জন না করলেও ইংরেজ ব্যর্থ হয়নি। সফলতা অর্জন করেছিল সুক্ষ্ণ রাজনৈতিক বুদ্ধি প্রয়োগ করে। এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে তৈরী হয়েছিল দীর্ঘমেয়াদী বৃটিশ উপনিবেশ।
এই গ্রহটিকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভোগ দখল করে গেছে ইউরোপ। এশিয়া, আমেরিকা(উত্তর-দক্ষিণ) এবং আফ্রিকা। ওরা এশিয়াকে বানিয়েছিল বাণিজ্য শোষণ কেন্দ্র, আফ্রিকা ছিল খনিজ সম্পদ আর দাস সরবরাহ কেন্দ্র, আর আমেরিকার দুটি মহাদেশেই কোটি কোটি জনগোষ্ঠিকে মেরে কেটে নিঃশেষ করে নিজেদের নামে লিখে নিয়েছিল। বাড়িওয়ালাদের ভাড়াটে বানিয়ে রাখাও এর চেয়ে অনেক কম নিষ্ঠুরতা হতো। বেঁচে থাকতেই দেয়নি কাউকে।
Norte Chico: একটি অচেনা প্রাচীন সভ্যতা
দক্ষিণ আমেরিকার নর্তে চিকো(Norte Chico) নামে লুপ্ত হয়ে যাওয়া একটি সভ্যতার আবিষ্কার হয়েছে বেশ কিছু কাল আগে। এই সভ্যতা পৃথিবীর প্রাচীন সভ্যতাগুলোর একটি। এটি প্রায় ৯০০০ বছর পুরোনো। এখানে যে পিরামিড আবিষ্কৃত হয়েছে তার বয়স ৫০০০ বছরের কম নয়। মিশরের পিরামিড আর এই পিরামিডের সময়কাল কাছাকাছি। পেরুর কারাল নগরীতে এই সভ্যতার সন্ধান পাওয়া গেছে। এটি অতি শুষ্ক একটি মরু অঞ্চল। যেখানে জীবনধারণ করার মতো যথেষ্ট উপকরণ বিদ্যমান নেই সেখানে এমন একটি সভ্যতা গড়ে ওঠা আ্শ্চর্যজনক। হয়তো সবসময় এরকম ছিল না পরিবেশ, পৃথিবী অনেক বদলে গেছে কয়েক হাজার বছরে। কারাল-সুপে অঞ্চলে গড়ে ওঠা এই সভ্যতাও ধ্বংস হয়ে যায়। কিন্তু কেন ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল এখনো জানা যায়নি। এই সভ্যতার সাথে ইনকা সভ্যতার কোন যোগ সুত্র ছিল কিনা তাও জানে না কেউ।
একেকটা সভ্যতা কেন ধ্বংস হয়ে যায় তার সব সুত্র কী ইতিহাসে রেখে যায়? একটা সভ্যতা থেকে আরেকটা সভ্যতার দূরত্ব কয়েক হাজার বছর হয়ে যায়। ফলে মাঝখানে অনেক সুত্র হারিয়ে যায়। আমরা এখন যে সভ্যতা যাপন করছি তার আয়ু আর কতো বছর আমরা কেউ জানি? কোন সভ্যতা যত শক্তিশালীই হোক না কেন তা অবিনশ্বর থেকে যাবে চিরকাল, এটা কেউ বলতে পারবে না। মহাজাগতিক বিবর্তনে তো বটেই, এমনকি এই গ্রহের ভৌগলিক বিবর্তনের পারিপার্শ্বিক বিচারেও আমাদের সভ্যতা অনেকটা নাজুক। মাত্র ৫০ মিটার জলোচ্ছ্বাস কিংবা ১০ মাত্রার ভূমিকম্পেও পৃথিবীর অধিকাংশ জনগোষ্ঠি নাই হয়ে যেতে পারে। এই সভ্যতা সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা ছিল না অর্ধশতক আগেও। ইউরোপীয়ানদের লেশমাত্র ধারণা ছিল না তাদের মহাদেশ আবিষ্কারের আরো কয়েক হাজার বছর আগে সেখানে বিদ্যমান ছিল আধুনিক একটি সভ্যতা।
মাপুচে: এখনো নিঃশেষিত হয়নি যে আদিবাসী জাতি
দক্ষিণ আমেরিকায় ইউরোপীয়ান আগ্রাসনের পরেও সর্বশেষ টিকে থাকা আদিবাসী জাতি মাপুচে(Mapuche)। মাপুচে এমন এক দুর্দমনীয় জাতি, যাদেরকে ইনকা থেকে স্পেনিয়ার্ড শক্তি কেউ পুরোপুরি করায়ত্ত করতে পারেনি। ধ্বংস হতে হতেও এরা বারবার উঠে দাড়িয়েছে। সর্বশেষ হিসেবে মাপুচে জনগোষ্ঠী চিলির মোট জনসংখ্যার প্রায় দশ ভাগ। তাদের নিজস্ব ভাষা সংস্কৃতি ইত্যাদি টিকিয়ে রাখার জন্য এখনো অবিরাম আন্দোলন করে যাচ্ছে। সমগ্র আমেরিন্দিয়ান জাতিগোষ্ঠির মধ্যে মাপুচে একমাত্র জাতি যারা নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছে প্রবল প্রতিকূল আগ্রাসন সত্ত্বেও। স্পেনিশরা চিলি দখল করার পরও মাপুচেদের পরাস্ত করতে পারেনি। সান্টিয়াগোর দক্ষিণে চিলির যে আংশটা মাপুচেদের দখলে ছিল সেটা নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ চলেছে মাপুচেদের সাথে। ষোড়শ শতক থেকে উনিশ শতকব্যাপী সাড়ে তিনশো বছরের যুদ্ধ। পৃথিবীর ইতিহাসে এত দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের নজির আর একটিও নেই। সর্বশক্তি হারিয়ে শেষমেষ পরাজয় মেনে নেয় উনিশ শতকে এসে। পরাজয় মেনে নিলেও এখনো ভাষার অধিকারের জন্য সংগ্রাম করছে চিলি সরকারের সাথে। ভাষার অধিকারের পাশাপাশি স্বাধীন সার্বভৌম একটি রাষ্ট্রের স্বপ্নও মাথাচাড়া দিয়েছে দুই মিলিয়ন জনগোষ্ঠির এই জাতির মধ্যে। একদিন এই দেশটি ওদেরই ছিল। মাপুচে স্বপ্ন এখনো পাহাড়ে পাহাড়ে খুঁজে বেড়ায় লোটারো (Lautaro) নামের প্রাচীন বীর যোদ্ধাকে। যে তার জীবন দিয়ে স্পেনিশদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে গেছে কয়েকশো বছর আগে।
তবুও সভ্যতা যেখানে আংশিক সভ্য হয়েছে
সভ্যতার বিবর্তনের সাথে মানুষের অন্ততঃ একটা উন্নতি হয়েছে। পাঁচশো বছর আগে একটা জাহাজে করে নতুন কোন ভূখণ্ডে নেমে প্রথম চিন্তাটি ছিল কিভাবে ভূখণ্ডটি কব্জা করা যায়। ওখানে যারা বাস করে তাদের কিভাবে উৎখাত করা যায়। কিন্তু এই মানসিকতা সার্বজনীন ছিল না। অল্প কিছু জাতিগোষ্ঠী যাদের বাহুবলের সাথে প্রযুক্তিবল যুক্ত হতে শুরু করেছিল সেই ইউরোপের কয়েকটি দেশ সারা পৃথিবীতে আধিপত্য বিস্তারের যে হাত ছড়িয়ে দিয়েছিল। তাদের হাতে প্রায় সমস্ত পৃথিবী পদানত হয়েছিল। পৃথিবীর যে কোন অঞ্চলে পদার্পন করে একই বর্বর মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে। সে জনগোষ্ঠী যত উন্নত যত সভ্যই হোক না কেন, গায়ের জোরে পরাজিত করতে পারলেই সেই ভূখণ্ডের উপর অধিকার জন্মে যেতো তাদের। বিশ শতকে এসে ওই জাতিগুলো অন্তত এতটুকু সভ্য হয়েছে যে তারা কোন দেশে প্রবেশ করার সময় পাসপোর্ট ভিসা নিয়ে প্রবেশ করে। বিশ্বজুড়ে শক্তিমানদের সামরিক বা অর্থনৈতিক যেসব আগ্রাসন এখনো বিদ্যমান তাতে অন্ততঃ কিছু খোঁড়া অজুহাত যুক্ত থাকে। সেই খোঁড়া অজুহাতগুলোকে বৈধতা দেবার জন্য জাতিসংঘের মতো প্রতিষ্ঠান কার্যকরী হাতুড়ি নিয়ে সদাপ্রস্তুত।
মহাকালের শ্যাওলা যখন গর্বিত মানব সভ্যতা
এই গ্রহের মধ্যে মানুষ নামের প্রাণীটার সভ্যতার বয়স এক লাখ বছরও গড়ায়নি। এক কোটি বছরের মধ্যে কয়েকটি প্রাণী সভ্যতার সৃষ্টি ও বিনাশ খুব সম্ভব। কিন্তু ডায়নোসরদের হিসেবটা আমলে আনলে কোটি বছরও খুব বেশী না। তারা প্রায় বিশ কোটি বছর আগে পৃথিবী দাপিয়ে বেড়িয়েছে এবং ধ্বংস হয়েছে সাড়ে ছয় কোটি বছর আগে। মাত্র দশ কিলোমিটার প্রস্থের অখ্যাত একটা উল্কার আঘাতে। সে আঘাতের পর তাবৎপ্রাণীকূলের ৭৫ ভাগ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। ডায়নোসরকূল ধ্বংস হবার পর পৃথিবীটা কতো শতবার রূপ আর প্রকৃতি বদল দেখেছে সেটা মহাকাল বাদে কেউ জানে না। সুতরাং মাত্র কয়েকশো বছর বয়সী এইসব আধুনিক সভ্যতার ইতিহাসে কেউ যদি মানবজাতির আস্ফালন দেখে হেসে ফেলে তাকে দোষ দেয়া যায় না। টিকে থাকার গর্ব যদি কেউ করতে পারে সেটা ডায়নোসর সমাজ। সমগ্র মানবজাতির ইতিহাসের যোগফল এক কোটি বছর দূরে থাক, এক লাখ বছরও দীর্ঘায়িত করতে পারবে না কেউ। যেটুকু সময়কে আমরা মানব সভ্যতার বয়স বলে থাকি, সেই সময়টা মহাকালের এক টুকরো নগন্য শ্যাওলা মাত্র। সারা জনম ধরে মতলব আর মতবাদের দাঙ্গাবাজি না করে মানুষের সাড়ে সত্তুর বছরের আয়ুটা একটু শান্তিতে কাটাতে দিলে হয় না?
অনিবার্য পাদটীকা:
মানুষের অর্জিত জ্ঞানের পরিধি এখনো খুব সীমিত। সময়ের সাথে ক্রমাগত উন্মোচিত হচ্ছে নতুন নতুন সত্য। একশো বছর আগের জ্ঞানের সাথে একশো বছর পরের জ্ঞানের পার্থক্য যোজন যোজন। চুড়ান্ত উপসংহারে পৌঁছে যাবার মতো পরিপূর্ণ তথ্য এখনো করায়ত্ত হয়নি মানুষের। প্রতিষ্ঠিত লব্ধ বিশ্বাস হুমড়ি খেয়ে পড়ার মতো সত্যের মুখোমুখি হবার অনেক সম্ভাবনা অনাগত ভবিষ্যতে অপেক্ষমান।
No comments:
Post a Comment