চোখের সামনে পড়ে থাকা আসল সমস্যাগুলোর সমাধানে অক্ষম হয়ে নকল সমস্যায় বুঁদ হয়ে থাকাটা জীবন থেকে পালিয়ে থাকারই নামান্তর। সেই পলাতক জীবনকে মানসিক আশ্রয় বলি সুবিধাভোগীতা যার আসল চরিত্র। খুব ভালো করে জানি প্রতিনিয়ত যেসব বিপন্ন বন্ধু কিংবা ঘনিষ্ট স্বজনের দুঃসময়ের গল্প শুনি সেইসব দুঃসময় একদিন আমাকেও ঘিরে ধরতে পারে। তাই আসল সমস্যায় আক্রান্ত মানুষ দেখলেই আজকাল ভয় পাই, বুকের ভেতর অস্বস্তি কাঁপতে থাকে।
ভয়ানক সমস্যায় আক্রান্ত কোন মানুষ যখন আমার উপর ভরসা করে কোন একটি আশ্বাসের স্বস্তি চায় তখন তাঁকে মিথ্যে অভয় দিতে গেলে হৃদপিণ্ডে যে শক্তি দরকার তা আমার নেই বলে পালিয়ে থাকাই শ্রেয় বলে মেনে নেই। এই শাঁখের করাতে দুটোই শঠতার অপরাধ।
আর্থিক সামর্থ্যের সীমাবদ্ধতা না থাকলে হয়তো এতটা অসহায়বোধ করতাম না। যতটা আয় ততটাই ব্যয় যাদের, তাদের হাতে আর্তমানবতার সুযোগ খুব বেশী থাকে না। নিজে অর্ধভুক্ত থেকে অন্য কারো ভোজনের ব্যবস্থা করার যে মহত্ব সেটা এখন আমার জন্য দূরতিক্রম্য। সীমিত যেটুকু করি সেটা নিজে পরিপূর্ণ ভোজনের পর বাড়তি অংশ মাত্র। তাই এটাতে কেউ যখন মহত্বের প্রশংসা করে তখন বিব্রত হতে হয়। কেবল ইচ্ছেটুকু সম্বল করে কেউ মহৎ হতে পারে না। অসাধুতার নজির যেখানে চামড়ার নীচে পরতে পরতে লুকোনো।
ভয়ানক সমস্যায় আক্রান্ত কোন মানুষ যখন আমার উপর ভরসা করে কোন একটি আশ্বাসের স্বস্তি চায় তখন তাঁকে মিথ্যে অভয় দিতে গেলে হৃদপিণ্ডে যে শক্তি দরকার তা আমার নেই বলে পালিয়ে থাকাই শ্রেয় বলে মেনে নেই। এই শাঁখের করাতে দুটোই শঠতার অপরাধ।
আর্থিক সামর্থ্যের সীমাবদ্ধতা না থাকলে হয়তো এতটা অসহায়বোধ করতাম না। যতটা আয় ততটাই ব্যয় যাদের, তাদের হাতে আর্তমানবতার সুযোগ খুব বেশী থাকে না। নিজে অর্ধভুক্ত থেকে অন্য কারো ভোজনের ব্যবস্থা করার যে মহত্ব সেটা এখন আমার জন্য দূরতিক্রম্য। সীমিত যেটুকু করি সেটা নিজে পরিপূর্ণ ভোজনের পর বাড়তি অংশ মাত্র। তাই এটাতে কেউ যখন মহত্বের প্রশংসা করে তখন বিব্রত হতে হয়। কেবল ইচ্ছেটুকু সম্বল করে কেউ মহৎ হতে পারে না। অসাধুতার নজির যেখানে চামড়ার নীচে পরতে পরতে লুকোনো।
No comments:
Post a Comment