আজকের সকালটা বৈশাখের খরতাপ জর্জরিত নয়। কুয়াশা ভেজা ফুরফুরে হাওয়া। রিকশা নিয়ে নিয়ে রেলস্টেশন থেকে ফিরে আসার পথে ভ্যানগাড়ি থেকে তাজা সবুজ সবজি হাতে বাড়ি ফিরলাম। নাস্তা সেরে ল্যাপটপ খুলে বসেছি। হাতের কাজ ধরার আগে ফেসবুকে ক্লিক করে এলাম কয়েক মিনিটে। সে ভালো আছে, আমি ভালো আছি, আজ খুব ভালো আছি।
এমন আনন্দমুহূর্তে আচমকা একটা টেলিফোন এসে সবকিছু থমকে দিল। অসহায় করে দেয় তেমন একটা সংবাদ। তবু কি দিন থেমে থাকে? গরম চায়ের কাপ হাতে নিয়ে চুমুক দিতে দিতে নিজেকে বোঝালাম, শক্ত হও, শক্ত হও। তুমি তো স্বার্থপর মানুষ, আরো স্বার্থপর হও। আত্মরক্ষার জন্য স্বার্থপরতার বিকল্প নেই। যেখানে তুমি হাত বাড়ানোর সক্ষমতা অর্জন করোনি, সেটা নিয়ে আক্ষেপ কোরো না।
আমার প্রতিদিনের স্বস্তিদেবী আমাকে বহুদিন ধরে সব অযাচিত দুঃখবেদনাবোধ থেকে রক্ষা করে আসছে। এখন তার কাছেও বিব্রত হই সবটুকু সত্য বলতে। আলোটুকু দেখিয়ে অন্ধকার নিজের কাছে লুকিয়ে রাখি। সে নিজেই ভারাক্রান্ত, তাকে নতুন করে ভারাক্রান্ত করার মানে হয় না। আমরা সবাই তো একেকটা চক্রে বন্দী হয়ে আছি।এমন আনন্দমুহূর্তে আচমকা একটা টেলিফোন এসে সবকিছু থমকে দিল। অসহায় করে দেয় তেমন একটা সংবাদ। তবু কি দিন থেমে থাকে? গরম চায়ের কাপ হাতে নিয়ে চুমুক দিতে দিতে নিজেকে বোঝালাম, শক্ত হও, শক্ত হও। তুমি তো স্বার্থপর মানুষ, আরো স্বার্থপর হও। আত্মরক্ষার জন্য স্বার্থপরতার বিকল্প নেই। যেখানে তুমি হাত বাড়ানোর সক্ষমতা অর্জন করোনি, সেটা নিয়ে আক্ষেপ কোরো না।
অক্ষমতাও একটা গ্লানি। সেই গ্লানির আগুনে পুড়ছে কতো মানুষ।
আমি ভালো আছি, ভাবতে একটা অপরাধবোধ জাগে। সবাইকে নিয়ে ভাবতে গেলে আমি ভালো থাকি কী করে? কাউকে কাউকে বাদ দিয়েই আমরা ভালো থাকি।
No comments:
Post a Comment