শোনা যায়, আগামী এক লক্ষ বছর এই পৃথিবীটা টিকবে না। জমে বরফ হয়ে যাবে নাকি গরমে টগবগ করে ফুটবে আমি জানি না। পৃথিবীতে মানুষ আছে লক্ষ বছর ধরে অথচ এদের ইতিহাস জানা যায় মাত্র ছ হাজার বছরের। কারণ ছ হাজার বছর ধরে মানুষ সভ্য হচ্ছিল। দশ হাজার বছর আগে যা ছিল তাকে ঠিক সভ্যতা বলা যায় না। আর এক লাখ বছর আগে মানুষ নেহায়েতই আদিম পশু। এখন বলছি মানুষ সভ্যতার শীর্ষে উঠে বসে আছে। প্রযুক্তির সর্বোচ্চ উৎকর্ষতা ঘটে গেছে। মানুষের হাতে সভ্যতা বিধ্বংসী অস্ত্র চলে এসেছে। পৃথিবী ধ্বংস হতে আর বেশী দেরী নাই।
হয়তো যেদিন মানুষ প্রথম আগুন আবিষ্কার করেছিল পাথর ঘষে, সেদিনও তার সেরকম অনুভুতি হয়েছিল। মানুষ সূর্যের মতো গরম জিনিস পৃথিবীতে নামিয়ে এনেছে। মানুষের ক্ষমতা বিধাতার মতো হয়ে গেছে। বিশ্বজগত হয়তো একদিন এই আগুনেই পুড়ে যাবে। আদিম মানুষ সেদিন আগুনের আবিষ্কার করে নিজকে নিশ্চয়ই বিজ্ঞানের শীর্ষগুরু ভেবেছিল।
দশ হাজার বছর পরের মানব প্রজন্মের তুলনায় আমরাও সেরকম আদিম। আমাদের আবিষ্কারের কতোকিছু বাকী রয়ে গেছে। আমরা এখনো জানি না। আমাদের কল্পনা খুবই সীমিত। পাথরঘষা আদিম মানুষ যেমন মোবাইল ফোনের কথা কল্পনা করতে পারতো না, আমরাও তেমনি জানি না দশ হাজার বছর পরের প্রযুক্তি কি? দশ হাজার নয়, এক হাজার বছরও আমাদের কল্পনায় আসে না। দুশো বছর কল্পনা করতে বাঘা বাঘা বিজ্ঞানীদেরও ঘাম ছুটে যাবে।
মনে হচ্ছে আগামী এক লক্ষ বছর পর এই গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকবে না। শুক্র কিংবা বুধের মতো মৃত গ্রহ হয়ে থাকবে অনন্তকাল। গ্রহ থাকবে কিন্তু মানুষ থাকবে না। ধার্মিকরা বলবেন ততদিনে কেয়ামত হয়ে যাবে, গোটা বিশ্বের অস্তিত্বই নড়ে যাবে। সেটা কোন একদিন ঘটবে, কিন্তু আগামী এক লাখ বছর পর সেরকম কিছু ঘটার কথা না। শোনা কথাটা তাই বিশ্বাস করলাম না। আমার বিশ্বাস চুড়ান্ত কেয়ামতের বাকী আছে আরো কয়েকশো কোটি বছর। বিলিভ ইট অর নট!!
আরো এক লক্ষ বছর পরে তোমার ফসিলের কার্বনেও কী লুকোনো থাকবে এই ভালোবাসা? তাহলে তোমার ঝলমল হাসিটা আরো একবার হাসো আমার জন্য।হয়তো যেদিন মানুষ প্রথম আগুন আবিষ্কার করেছিল পাথর ঘষে, সেদিনও তার সেরকম অনুভুতি হয়েছিল। মানুষ সূর্যের মতো গরম জিনিস পৃথিবীতে নামিয়ে এনেছে। মানুষের ক্ষমতা বিধাতার মতো হয়ে গেছে। বিশ্বজগত হয়তো একদিন এই আগুনেই পুড়ে যাবে। আদিম মানুষ সেদিন আগুনের আবিষ্কার করে নিজকে নিশ্চয়ই বিজ্ঞানের শীর্ষগুরু ভেবেছিল।
দশ হাজার বছর পরের মানব প্রজন্মের তুলনায় আমরাও সেরকম আদিম। আমাদের আবিষ্কারের কতোকিছু বাকী রয়ে গেছে। আমরা এখনো জানি না। আমাদের কল্পনা খুবই সীমিত। পাথরঘষা আদিম মানুষ যেমন মোবাইল ফোনের কথা কল্পনা করতে পারতো না, আমরাও তেমনি জানি না দশ হাজার বছর পরের প্রযুক্তি কি? দশ হাজার নয়, এক হাজার বছরও আমাদের কল্পনায় আসে না। দুশো বছর কল্পনা করতে বাঘা বাঘা বিজ্ঞানীদেরও ঘাম ছুটে যাবে।
মনে হচ্ছে আগামী এক লক্ষ বছর পর এই গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকবে না। শুক্র কিংবা বুধের মতো মৃত গ্রহ হয়ে থাকবে অনন্তকাল। গ্রহ থাকবে কিন্তু মানুষ থাকবে না। ধার্মিকরা বলবেন ততদিনে কেয়ামত হয়ে যাবে, গোটা বিশ্বের অস্তিত্বই নড়ে যাবে। সেটা কোন একদিন ঘটবে, কিন্তু আগামী এক লাখ বছর পর সেরকম কিছু ঘটার কথা না। শোনা কথাটা তাই বিশ্বাস করলাম না। আমার বিশ্বাস চুড়ান্ত কেয়ামতের বাকী আছে আরো কয়েকশো কোটি বছর। বিলিভ ইট অর নট!!
No comments:
Post a Comment