একটি সাধারণ্যে প্রায় অনুল্লেখযোগ্য ব্যক্তিগত ঘটনা। ঘটনাটি শুধু আমার একার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের মতো আমিও চকোলেট পছন্দ করি। তাই বিদেশ থেকে কেউ আমাকে কোন উপহার পাঠাবে বললে আমি শুধু চকোলেটের আবদার করি।
Delafaille নামের বিশ্বখ্যাত চকোলেটটি কখনো আমি চোখেও দেখতাম না যদি ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত না হতাম। এই চকোলেট তৈরী হয়েছে বেলজিয়ামে। বেলজিয়াম থেকে প্যাকেটজাত হয়ে রপ্তানীর জাহাজে চড়ে পৌঁছে যায় আমেরিকার কোন বিখ্যাত শহরের সুপারস্টোরে। সেখান থেকে শপিং ব্যাগে চড়ে একটি বাড়িতে যায় ডেলাফেলি। সেই বাড়িতে আরেক দফা মোড়কে আবৃত হয়। সেই মোড়কটি একটি সুটকেসে প্রবেশ করার কয়েকদিন পর আবারো তাকে গাড়িতে চড়তে হয়। গাড়িটি এয়ারপোর্টে যাবার পর লাগেজটি এয়ারপোর্টের ব্যাগেজ সেকশানে হস্তান্তরিত হয়। তারপর তাকে মস্ত বড় একটি উড়োজাহাজের পেটের ভেতর চালান করে দেয়া হবার পর চারদিক সুনসান নীরব। দীর্ঘ যাত্রা শেষে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্য পেরিয়ে উড়োজাহাজটি নেমে আসে ঢাকা এয়ারপোর্টে। ঢাকায় নামার পর তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না। তখনই শুরু হয় তোলপাড়। দীর্ঘ দেড় সপ্তাহের তোলপাড় শেষে যখন তাকে পাওয়া যায় তখনো সে অক্ষত। অবশেষে গন্তব্যে পৌঁছে হাঁপ ছেড়ে বাঁচে।
কিন্তু তখনো তার যাত্রা বাকী ছিল। আরো দুইশো মাইল পাড়ি দিতে হয় একটি মালবাহী গাড়িতে। তারপর তাকে নেবার জন্য উপস্থিত হয় কাংখিত ব্যক্তিটি। তার হাত ধরে একটি বিশেষ দিবসে সে আমার হাতে এসে পৌঁছায়। আমি এত সুন্দর মোড়কের চকোলেট কখনো চোখেও দেখিনি, খাওয়া তো দূরে থাক। আমি চকেলেটের দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকি। তারপর যত্ন করে ফ্রিজের ঠাণ্ডা কেবিনেটে রেখে দেই। এমন চমৎকার রূপোলী ফিতা ছিড়ে চকোলেটের বাক্সটি বের করতে ইচ্ছে করছিল না। থাকুক আরো কিছুকাল। এই সুন্দর অক্ষয় থাকুক, তারপর শীত কেটে যখন বসন্তের হাওয়া দিতে শুরু করলো, তখন আমি তাকে বের করে হাতে নিলাম। ডেলাফেলির সাথে আমার সাক্ষাতটা প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু এতটা আনন্দদায়ক তা বুঝিনি আগে।
আমি বারবার তাই প্রযুক্তি, ইন্টারনেট এসবের কাছে কৃতজ্ঞ হই। আমাকে জীবনে নতুন নতুন আনন্দের সাথে যুক্ত করেছে প্রযুক্তির ব্যবহার। আমি যে কটি বছর সুখী নিরুপদ্রপ যাপন করতে পেরেছিলাম, সে বছরগুলো আমার জীবনে এসেছিল প্রযুক্তির কারণেই। একটা মানুষ ৬০ বছর আয়ুর মধ্যে যদি ১০ বছরও সুখী থাকে, সেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিদেশ থেকে চকোলেট উড়ে আসার মতো ঘটনা সব মানুষের জীবনে ঘটে না এই দরিদ্র দেশে। বিশেষ দিনে তো নয়ই। তাই ঘটনাটি বিশেষ গুরুত্ব পেয়ে গেল এক অভাজনের কাছে।
Delafaille নামের বিশ্বখ্যাত চকোলেটটি কখনো আমি চোখেও দেখতাম না যদি ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত না হতাম। এই চকোলেট তৈরী হয়েছে বেলজিয়ামে। বেলজিয়াম থেকে প্যাকেটজাত হয়ে রপ্তানীর জাহাজে চড়ে পৌঁছে যায় আমেরিকার কোন বিখ্যাত শহরের সুপারস্টোরে। সেখান থেকে শপিং ব্যাগে চড়ে একটি বাড়িতে যায় ডেলাফেলি। সেই বাড়িতে আরেক দফা মোড়কে আবৃত হয়। সেই মোড়কটি একটি সুটকেসে প্রবেশ করার কয়েকদিন পর আবারো তাকে গাড়িতে চড়তে হয়। গাড়িটি এয়ারপোর্টে যাবার পর লাগেজটি এয়ারপোর্টের ব্যাগেজ সেকশানে হস্তান্তরিত হয়। তারপর তাকে মস্ত বড় একটি উড়োজাহাজের পেটের ভেতর চালান করে দেয়া হবার পর চারদিক সুনসান নীরব। দীর্ঘ যাত্রা শেষে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্য পেরিয়ে উড়োজাহাজটি নেমে আসে ঢাকা এয়ারপোর্টে। ঢাকায় নামার পর তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না। তখনই শুরু হয় তোলপাড়। দীর্ঘ দেড় সপ্তাহের তোলপাড় শেষে যখন তাকে পাওয়া যায় তখনো সে অক্ষত। অবশেষে গন্তব্যে পৌঁছে হাঁপ ছেড়ে বাঁচে।
কিন্তু তখনো তার যাত্রা বাকী ছিল। আরো দুইশো মাইল পাড়ি দিতে হয় একটি মালবাহী গাড়িতে। তারপর তাকে নেবার জন্য উপস্থিত হয় কাংখিত ব্যক্তিটি। তার হাত ধরে একটি বিশেষ দিবসে সে আমার হাতে এসে পৌঁছায়। আমি এত সুন্দর মোড়কের চকোলেট কখনো চোখেও দেখিনি, খাওয়া তো দূরে থাক। আমি চকেলেটের দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকি। তারপর যত্ন করে ফ্রিজের ঠাণ্ডা কেবিনেটে রেখে দেই। এমন চমৎকার রূপোলী ফিতা ছিড়ে চকোলেটের বাক্সটি বের করতে ইচ্ছে করছিল না। থাকুক আরো কিছুকাল। এই সুন্দর অক্ষয় থাকুক, তারপর শীত কেটে যখন বসন্তের হাওয়া দিতে শুরু করলো, তখন আমি তাকে বের করে হাতে নিলাম। ডেলাফেলির সাথে আমার সাক্ষাতটা প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু এতটা আনন্দদায়ক তা বুঝিনি আগে।
আমি বারবার তাই প্রযুক্তি, ইন্টারনেট এসবের কাছে কৃতজ্ঞ হই। আমাকে জীবনে নতুন নতুন আনন্দের সাথে যুক্ত করেছে প্রযুক্তির ব্যবহার। আমি যে কটি বছর সুখী নিরুপদ্রপ যাপন করতে পেরেছিলাম, সে বছরগুলো আমার জীবনে এসেছিল প্রযুক্তির কারণেই। একটা মানুষ ৬০ বছর আয়ুর মধ্যে যদি ১০ বছরও সুখী থাকে, সেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিদেশ থেকে চকোলেট উড়ে আসার মতো ঘটনা সব মানুষের জীবনে ঘটে না এই দরিদ্র দেশে। বিশেষ দিনে তো নয়ই। তাই ঘটনাটি বিশেষ গুরুত্ব পেয়ে গেল এক অভাজনের কাছে।
তাই যদি কখনো সব পাখি ঘরে নাও আসে, সব নদী এ জীবনের সব লেনদেন নাও চুকায়, তবু বাকী অন্ধকার একদিন এসে উপস্থিত হতেও পারে।
No comments:
Post a Comment