Saturday, March 10, 2018

খোরাক

বইটি আগাগোড়া চষে ফেলেও কাংখিত খোরাক না পেয়ে হতাশ হয়ে অতৃপ্তির ঢেকুর তুললো সে।

বুকশেলফের প্রতিটি বইয়ের সাথে পরিচয় ঘটেছে তার। তবে এককালে যে কোন বইয়ের দশ পাতা চষে যে আনন্দ পাওয়া যেতো, আজকাল কোনটির একশো দেড়শো পাতা চষেও সেই আনন্দ নেই। বেশুমার পরিশ্রম হয় তবু বই থেকে আনন্দ পাওয়া দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

একসময় নিউজপ্রিন্টেও ভাল ভাল বই ছাপা হতো, সেগুলো হজমে বেশ আরাম ছিল। মনে পড়ে যায় কোন এক সুদূরকালের রূপকথার গল্প। তখন সবাই মিলে ঝিনুক পুস্তিকা থেকে প্রকাশিত রবীন্দ্র রচনাবলীর প্রথম দুই খণ্ড কী আনন্দের সাথে গিলেছিল মহানন্দে।

এখনকার যেনতেন বইগুলোও শক্তমক্ত কাগজে ছাপা। মলাট যেমন কঠিন পুরু, তার উপর লেমিনেটিং করা। এতসব ভেদ করে একটা বইয়ের ভেতরে প্রবেশ করা কী সহজ কাজ? ভেতরে ঢুকেও শান্তি কোথায়, হোয়াইট প্রিন্ট ছাড়িয়ে অফসেট কাগজ পেরিয়ে এখন কার্টিজ পেপারেও বই ছাপা হচ্ছে।

মানুষের প্রযুক্তির উন্নতি বটে! কিন্তু আমাদের তো সেই পুরোনো দাঁত নিয়েই এখনো খেয়ে যেতে হচ্ছে!

মনে মনে গজগজ করতে করতে ২০ ফেব্রুয়ারী কেনা এক ঝাঁক নতুন উপন্যাসের ভাঁজ থেকে বের হয়ে এলো উইপোকাটি।

No comments: