এদেশে ইয়াহিয়া খানকে যতটা জোরালোভাবে দানব রাক্ষসের সাথে তুলনা করা হয় জুলফিকার
আলী ভুট্টোকে ততটা জোরালোভাবে করা হয় না কেন যেন। অথচ এই নরাধম নরকের কীট অমানুষের বাচ্চাটাই বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের হত্যা ধর্ষণ ধ্বংসযজ্ঞের
জন্য দায়ী। এই ক্ষমতালিপ্সু ইতরের কারণেই বাংলাদেশে ১৯৭১ নামের একটি রক্তাক্ত বছর দেখেছে ইতিহাস। মানুষবেশী রাজনৈতিক কোট পরা এই ইতর হারামজাদা মরার আগেও কখনো একবার সামান্যতম
দুঃখপ্রকাশ করেনি তার ইতরামির জন্য। এই নরাধম ইতরটা যাদের উস্কে দিয়ে বাংলাদেশের মাটি রক্তাক্ত করেছিল সেই সামরিক
বাহিনীর পদাঘাতে ক্ষমতাচ্যুতি এবং ফাঁসিতে লটকে মরার পরেও তার অপরাধকে
ক্ষমা করা যায় না।
১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভা থেকে চুড়ান্ত ঔদ্ধত্য দেখিয়ে ফেরার আগেই পাকিস্তানের মৃত্যু হয়ে পরপারে পৌঁছে গেছে। পঁচিশে মার্চেই অবিভক্ত পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটির মৃত্যু ঘটে গিয়েছিল। তবু এই বেজন্মা ইতরের বাচ্চাটা বৃটিশ টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাতকারে নিজেকে দুই পাকিস্তানের স্বপ্নে ডুবিয়ে রেখেছিল। সাক্ষাতকারের মধ্যে জানোয়ারটার চেহারার অভিব্যক্তিটা দর্শনীয়।
হায় রে নরাধম নির্বোধ, তোর জন্য যে মর্মান্তিক পরিণতি অপেক্ষা করছিল সেটা তোর উপযুক্ত পুরস্কারই ছিল।
[ ভুট্টো নামক ইতরটাকে প্রাপ্য গালি দেবার ক্ষেত্রে কিছুটা শব্দ সংকট হয়েছে। কুকুর শুকর জাতীয় প্রাণীবাচক গালিগুলো তাকে সম্মানিত এবং ওই প্রাণীগুলোকে অপমানিত করা হয় বলে তা ব্যবহার করা হলো না]
No comments:
Post a Comment