যে গানের প্রথম লাইন এরকম - I'll put flowers at your feet and I will
sing to you so sweet, সে গানের প্রকৃতি সম্পর্কে অনুমান করা কঠিন। মনে
হতে পারে এই নিবেদনটা নেহাতই প্রণয়ঘটিত। কয়েকদিন আগে জোয়ান বায়েজ-এ মগ্ন
হবার পর থেকে এই গানটি অসংখ্যবার শুনেছি। এটা কী শুধু একটা গান! এমনও গান
হয়! এত আকুলতা দিয়ে কেউ গাইতে পারে? এমন অশ্রু ভেজা কন্ঠ আমি আর একটিও কী
শুনেছি?
জোয়ানের আরো কিছু গানের মতো এই গান লেখার পেছনেও ছোট্ট একটি ইতিহাস আছে। সেটা জানলে গানটি আরো বেশী উপভোগ্য হয়।
এটি কতখানি গান আর কতখানি কবিতা তা জানি না। কিন্তু এটা জানি এটি বন্ধুর কাছে লেখা একটি মানবিক আবেদনপূর্ণ চিঠি। জোয়ান তাঁর দূরে সরে যাওয়া প্রিয় বন্ধুকে আহবান করছেন সমকালীন পৃথিবীতে চলমান এক বর্বর যুদ্ধ বাস্তবতার বিরুদ্ধে শান্তির দাবীসমৃদ্ধ সঙ্গীতময় আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবার জন্য। বন্ধুতার যুগলবন্দী একটা সময়ে দুজনে একসাথে অনেক গান গেয়েছে, হাতে হাত রেখে পথে হেঁটেছে, কনসার্ট করেছে, অ্যালবাম বের করেছে, নাগরিক অধিকারের জন্য সোচ্চার আন্দোলন করেছে। তারপর হঠাৎ কী কারণে এই একজন সবকিছু বাদ দিয়ে ঘরে ঢুকে দরোজা বন্ধ করে দিল। সঙ্গীত জগতের সাথে, সমাজের সাথে, বন্ধুদের সাথে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর বিচ্ছিন্ন।
১৯৬৬ থেকে ১৯৭২ পর্যন্ত দীর্ঘ ছয় বছর প্রায় জনবিচ্ছিন্ন অবস্থায় কাটানো জোয়ান বায়েজের সেই বন্ধুটির নাম বব ডিলান। কোন কারণে ওই সময়টাতে নিজেকে একদম গুটিয়ে নিয়েছিলেন সবকিছু থেকে। এই সময়কালে মাত্র ছোট্ট একটি অ্যালবাম বেরিয়েছিল ববির, আর কিছুই ছিল না।
সারা বিশ্বে তখন ষাট দশকের অস্থিরতা,
স্নায়ুযুদ্ধের তিক্ততা চরমে, ভিয়েতনাম যুদ্ধের নির্মমতা চুড়ান্তে। হাজারে
হাজারে মানুষ মরছে অসম এক যুদ্ধের পরিণতিতে। সারা বিশ্বে প্রতিবাদ উঠেছে।
যুদ্ধের প্রধান যোগানদার আমেরিকাতেও হাজার হাজার মানুষের যুদ্ধ বিরোধী
বিক্ষোভ। সেই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে কবি সাহিত্যিক শিল্পী অনেকেই।
যুদ্ধবিরোধী মিছিলের এক প্রতিবাদী কন্ঠের নাম জোয়ান বায়েজ। আন্দোলন করতে
গিয়ে জেলও খেটেছিলেন ১৯৬৭ সালে।
ববির সাথে জোয়ানের পরিচয় ১৯৬১ সালে। ধরতে গেলে মুখচোরা ববিকে জোয়ানই টেনে এনেছিল সঙ্গীতের জগতে। তার আগে ববিকে তেমন করে কেউ চিনতো না। দুজন একসাথে বন্ধুতায় আবদ্ধ ছিল ১৯৬৫ পর্যন্ত। তারপর হয়তো সম্পর্ক ক্লান্তি কিংবা ভুল বোঝাবুঝির কারণে দুজনের মধ্যে বাড়তে শুরু করে দূরত্ব। সেই অবস্থাতে ১৯৬৬ সালে এক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বব ডিলান মারাত্মকভাবে আহত হলেন। সেই দুর্ঘটনাটি একটু রহস্যময়। কিন্তু দুর্ঘটনার পরেই তিনি স্বেচ্ছানির্বাসনে চলে গেলেন। কেন সেই 'দুর্ঘটনা'টি ঘটলো, সেই গল্প অন্য সময়ে।
তবু সেই নির্বাসনকালের মধ্যেও একদিন তাঁকে আমরা পাই। ১ আগষ্ট ১৯৭১ সালে ম্যাডিসন স্কয়ারের বাংলাদেশ কনসার্টে। সদ্য ভেঙ্গে যাওয়া বিটলসের বন্ধু জর্জ হ্যারিসনের ডাকে বাংলাদেশ কনসার্টে এসেছিলেন তিনি। রবিশংকরের সাথে মিলে জর্জ যখন কনসার্টের আয়োজন করছিলেন, তখন বব ডিলানের নামও ছিল তালিকায়। কিন্তু জনবিচ্ছিন্ন ববি কনসার্টে আসবেন কিনা সেই অনিশ্চয়তায় ভুগছিল সবাই সবাই, প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেছে, মঞ্চে গাইছেন একের পর এক পপ সঙ্গীতের দিকপাল, তবু ববির দেখা নেই।
যখন হ্যারিসনের পালা এলো, তিনি গিটারের পাশে আটকানো শিল্পীর তালিকাটির দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুঁচকে ববের নামটির দিকে তাকিয়েছিলেন, তখন হঠাৎ দেখা গেল হারমোনিকা আর গীটার হাতে নার্ভাস ভঙ্গীতে মঞ্চে যখন উঠে আসছেন সবার প্রিয় ববি। কী অদ্ভুত, সেই আসরে বব ডিলান তাঁর বিখ্যাত পাঁচ পাঁচটি গান গেয়ে মাতিয়ে ফেললেন আসর।
কাছাকাছি সময়ে তাঁর বন্ধু জোয়ান বায়েজও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য লেখা অদ্ভুত সুন্দর সেই গান 'স্টোরি অব বাংলাদেশ' গানটি লিখে ফেলেছেন। গানটি পরে 'সং অব বাংলাদেশ নামে তাঁর Come from the Shadows অ্যালবামে যুক্ত হয়। ম্যাডিসন স্কয়ারের বাংলাদেশ কনসার্টে জোয়ান বায়েজকে ভুলবশতঃ(?) রাখা না হলেও তিনি মানবতার স্বপক্ষে তাঁর চিরাচরিত দায়িত্বটি পালন করে গেছেন।
বাংলাদেশের যুদ্ধ শেষ হলো। আমরা স্বাধীন একটি পতাকা আর মানচিত্র পেলাম। কিন্তু ভিয়েতনামের মুক্তি মেলেনি তখনো। আমেরিকার নাপাম বোমার আঘাতে শত শত ভিয়েতনামী নারী পুরুষ শিশু নির্বিচারে মারা যাচ্ছিল। সেই যুদ্ধে আমেরিকার অংশ নেবার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছিল ১৯৬৫ সাল থেকেই।
১৯৭২ সালে এসে জোয়ান যুদ্ধ বিরোধী আন্দোলনে প্রিয় বন্ধুকে মিস করতে শুরু করছিলেন। ববির ভক্তকূল যেভাবে মিস করছিলেন, তারো চেয়ে বেশী। বব ডিলানের ভক্তেরা তাদের প্রিয় ববির বাড়ি পর্যন্ত ঘেরাও করতে শুরু করলেও তিনি তা না করে যুদ্ধ বিরোধী শান্তির মিছিলে ভিয়েতনামের অসহায় মানুষের পক্ষে, আমেরিকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবার জন্য ববিকে ডাকার জন্য একটি চিঠি লিখলেন। সেই চিঠির ভাষা অনুপম শব্দের এক কবিতায় রূপ নিল এবং কবিতাটি সুর পেয়ে পরিণত হলো মানবিকতার আহবান সমৃদ্ধ অপূর্ব এক ভেজা কান্নায়। এই গানের আহবানে যে প্রেমের প্রকাশ, সেই প্রেমটি ছিল অসহায় মানুষের জন্য, মানবতার জন্য। বিবেকের দুয়ার খুলে প্রিয় বন্ধুকে সামনে এসে দাঁড়ানোর আহবান।
কান পেতে শুনেছো তুমি কখনো কোন নির্জন রাতে, ওরা কাঁদছে, ওরা ডাকছে, অসহায় শিশুরা মারা যাচ্ছে, তুমি কী তাদের কান্না শুনতে পাচ্ছো ববি? আমি তোমার পায়ে গোলাপ দেবো, তোমার জন্য গাইবো গান। তবু তুমি নেমে আসো, আমাদের নিয়ে চলো মুক্তির মিছিলে।
ববির সাথে জোয়ানের পরিচয় ১৯৬১ সালে। ধরতে গেলে মুখচোরা ববিকে জোয়ানই টেনে এনেছিল সঙ্গীতের জগতে। তার আগে ববিকে তেমন করে কেউ চিনতো না। দুজন একসাথে বন্ধুতায় আবদ্ধ ছিল ১৯৬৫ পর্যন্ত। তারপর হয়তো সম্পর্ক ক্লান্তি কিংবা ভুল বোঝাবুঝির কারণে দুজনের মধ্যে বাড়তে শুরু করে দূরত্ব। সেই অবস্থাতে ১৯৬৬ সালে এক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বব ডিলান মারাত্মকভাবে আহত হলেন। সেই দুর্ঘটনাটি একটু রহস্যময়। কিন্তু দুর্ঘটনার পরেই তিনি স্বেচ্ছানির্বাসনে চলে গেলেন। কেন সেই 'দুর্ঘটনা'টি ঘটলো, সেই গল্প অন্য সময়ে।
তবু সেই নির্বাসনকালের মধ্যেও একদিন তাঁকে আমরা পাই। ১ আগষ্ট ১৯৭১ সালে ম্যাডিসন স্কয়ারের বাংলাদেশ কনসার্টে। সদ্য ভেঙ্গে যাওয়া বিটলসের বন্ধু জর্জ হ্যারিসনের ডাকে বাংলাদেশ কনসার্টে এসেছিলেন তিনি। রবিশংকরের সাথে মিলে জর্জ যখন কনসার্টের আয়োজন করছিলেন, তখন বব ডিলানের নামও ছিল তালিকায়। কিন্তু জনবিচ্ছিন্ন ববি কনসার্টে আসবেন কিনা সেই অনিশ্চয়তায় ভুগছিল সবাই সবাই, প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেছে, মঞ্চে গাইছেন একের পর এক পপ সঙ্গীতের দিকপাল, তবু ববির দেখা নেই।
যখন হ্যারিসনের পালা এলো, তিনি গিটারের পাশে আটকানো শিল্পীর তালিকাটির দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুঁচকে ববের নামটির দিকে তাকিয়েছিলেন, তখন হঠাৎ দেখা গেল হারমোনিকা আর গীটার হাতে নার্ভাস ভঙ্গীতে মঞ্চে যখন উঠে আসছেন সবার প্রিয় ববি। কী অদ্ভুত, সেই আসরে বব ডিলান তাঁর বিখ্যাত পাঁচ পাঁচটি গান গেয়ে মাতিয়ে ফেললেন আসর।
কাছাকাছি সময়ে তাঁর বন্ধু জোয়ান বায়েজও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য লেখা অদ্ভুত সুন্দর সেই গান 'স্টোরি অব বাংলাদেশ' গানটি লিখে ফেলেছেন। গানটি পরে 'সং অব বাংলাদেশ নামে তাঁর Come from the Shadows অ্যালবামে যুক্ত হয়। ম্যাডিসন স্কয়ারের বাংলাদেশ কনসার্টে জোয়ান বায়েজকে ভুলবশতঃ(?) রাখা না হলেও তিনি মানবতার স্বপক্ষে তাঁর চিরাচরিত দায়িত্বটি পালন করে গেছেন।
বাংলাদেশের যুদ্ধ শেষ হলো। আমরা স্বাধীন একটি পতাকা আর মানচিত্র পেলাম। কিন্তু ভিয়েতনামের মুক্তি মেলেনি তখনো। আমেরিকার নাপাম বোমার আঘাতে শত শত ভিয়েতনামী নারী পুরুষ শিশু নির্বিচারে মারা যাচ্ছিল। সেই যুদ্ধে আমেরিকার অংশ নেবার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছিল ১৯৬৫ সাল থেকেই।
১৯৭২ সালে এসে জোয়ান যুদ্ধ বিরোধী আন্দোলনে প্রিয় বন্ধুকে মিস করতে শুরু করছিলেন। ববির ভক্তকূল যেভাবে মিস করছিলেন, তারো চেয়ে বেশী। বব ডিলানের ভক্তেরা তাদের প্রিয় ববির বাড়ি পর্যন্ত ঘেরাও করতে শুরু করলেও তিনি তা না করে যুদ্ধ বিরোধী শান্তির মিছিলে ভিয়েতনামের অসহায় মানুষের পক্ষে, আমেরিকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবার জন্য ববিকে ডাকার জন্য একটি চিঠি লিখলেন। সেই চিঠির ভাষা অনুপম শব্দের এক কবিতায় রূপ নিল এবং কবিতাটি সুর পেয়ে পরিণত হলো মানবিকতার আহবান সমৃদ্ধ অপূর্ব এক ভেজা কান্নায়। এই গানের আহবানে যে প্রেমের প্রকাশ, সেই প্রেমটি ছিল অসহায় মানুষের জন্য, মানবতার জন্য। বিবেকের দুয়ার খুলে প্রিয় বন্ধুকে সামনে এসে দাঁড়ানোর আহবান।
কান পেতে শুনেছো তুমি কখনো কোন নির্জন রাতে, ওরা কাঁদছে, ওরা ডাকছে, অসহায় শিশুরা মারা যাচ্ছে, তুমি কী তাদের কান্না শুনতে পাচ্ছো ববি? আমি তোমার পায়ে গোলাপ দেবো, তোমার জন্য গাইবো গান। তবু তুমি নেমে আসো, আমাদের নিয়ে চলো মুক্তির মিছিলে।
এই অংশটি ঠিক অনুবাদ নয়,
কিন্তু জোয়ান এমন কথাই বলতে চেয়েছিলেন তাঁর চিঠিতে। সুরের ভাঁজে তাঁর সেই
আকুলতা মানুষের মুক্তির জন্য, স্বাধীনতার জন্য, মানবাধিকারের জন্য। সেই
অসাধারণ কবিতা কিংবা গানটি-
I'll put flowers at your feet and I will sing to you so sweet
And hope my words will carry home to your heart
You left us marching on the road and said how heavy was the load
The years were young, the struggle barely had its start
Do you hear the voices in the night, Bobby?
They're crying for you
See the children in the morning light, Bobby
They're dying
No one could say it like you said it, we'd only try and just forget it
You stood alone upon the mountain till it was sinking
And in a frenzy we tried to reach you
With looks and letters we would beseech you
Never knowing what, where or how you were thinking
Do you hear the voices in the night, Bobby?
They're crying for you
See the children in the morning light, Bobby
They're dying
Perhaps the pictures in the Times could no longer be put in rhymes
When all the eyes of starving children are wide open
You cast aside the cursed crown and put your magic into a sound
That made me think your heart was aching or even broken
But if God hears my complaint He will forgive you
And so will I, with all respect, I'll just relive you
And likewise, you must understand these things we give you
Like these flowers at your door and scribbled notes about the war
We're only saying the time is short and there is work to do
And we're still marching in the streets with little victories and big defeats
But there is joy and there is hope and there's a place for you
And you have heard the voices in the night, Bobby
They're crying for you
See the children in the morning light, Bobby
They're dying
.............................. .............................. ...........
TO BOBBY (Words and Music by Joan Baez)
© 1972 Chandos Music (ASCAP)
And hope my words will carry home to your heart
You left us marching on the road and said how heavy was the load
The years were young, the struggle barely had its start
Do you hear the voices in the night, Bobby?
They're crying for you
See the children in the morning light, Bobby
They're dying
No one could say it like you said it, we'd only try and just forget it
You stood alone upon the mountain till it was sinking
And in a frenzy we tried to reach you
With looks and letters we would beseech you
Never knowing what, where or how you were thinking
Do you hear the voices in the night, Bobby?
They're crying for you
See the children in the morning light, Bobby
They're dying
Perhaps the pictures in the Times could no longer be put in rhymes
When all the eyes of starving children are wide open
You cast aside the cursed crown and put your magic into a sound
That made me think your heart was aching or even broken
But if God hears my complaint He will forgive you
And so will I, with all respect, I'll just relive you
And likewise, you must understand these things we give you
Like these flowers at your door and scribbled notes about the war
We're only saying the time is short and there is work to do
And we're still marching in the streets with little victories and big defeats
But there is joy and there is hope and there's a place for you
And you have heard the voices in the night, Bobby
They're crying for you
See the children in the morning light, Bobby
They're dying
..............................
TO BOBBY (Words and Music by Joan Baez)
© 1972 Chandos Music (ASCAP)
জোয়ানের
কন্ঠ এতটা করুণ সুরে আর কখনো বাজেনি বোধহয়। একটা আহবান কতোটা প্রাণস্পর্শী
হতে পারে তা এই গানটি না শুনলে বোঝা যাবে না। শুনে অবাক লাগতে পারে যে ববি
এমন একটি প্রাণস্পর্শী আহবানেও সাড়া দেননি। বরং তিনি এসব ডাকাডাকিতে
বিরক্তই হয়েছিলেন বলে পরবর্তীকালে তাঁর আত্মজীবনীর সুত্রে জানা গেছে। তার
কারণটা তিনি জানেন, সময় জানে। সময় মানুষকে নিষ্ঠুর হতে বাধ্য করে কখনো
কখনো।
কিন্তু জোয়ান বায়েজ থেমে যাননি। তিনি সরাসরি যুদ্ধ কবলিত ভিয়েতনামে উড়াল দেন আরো কয়েকজন শান্তিকর্মীর সাথে যার মধ্যে ছিলেন ন্যুরেমবার্গ আদালতের প্রসিকিউটর এবং কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক টেলফোর্ড টেলর। Committee for Solidarity with the American People এর আমন্ত্রণে ১৯৭২ সালের ডিসেম্বরের ১৮ তারিখ হ্যানয় পৌঁছান তিনি। ১৮ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২ দিন তিনি বোমা মাথায় করে হ্যানয়ে অবস্থান করেন আর যুদ্ধের ধ্বংসলীলা দেখতে থাকেন ঘুরে ঘুরে। পরে জানা গেছে তাঁর অবস্থানকালের ১২ দিনেই আমেরিকা বি-৫২ বোমারু বিমান প্রায় ১ লক্ষ টন বোমা নিক্ষেপ করেছিল হ্যানয় ও হাইফং শহরে যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৬ বছরে ইংল্যাণ্ডের মোট বোমাবর্ষনেরও চেয়েও বেশী। পরের ঘটনা আমাদের জানা। ১৯৭৩ সালে আমেরিকা লজ্জাজনক পরাজয় বরণ করে ফিরে এলো ভিয়েতনাম থেকে।
ববিও গানে ফিরে এসেছিল তার কিছুকাল পর। জোয়ানের সাথে একসাথে এক মঞ্চে গেয়েছেন আবারো। গাইলেও সেই সম্পর্কের ফাটল আর জোড়া লাগেনি। আরো বহু বছর পর (৪৪ বছর পরে ২০০৯ সালে) ববি তার প্রিয় জোয়ানির (Joanie বলে ডাকতেন তাঁকে) কাছে জনসমক্ষে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছিলেন সম্পর্ক ভেঙ্গে দেবার জন্য।
কিন্তু জোয়ান বায়েজ থেমে যাননি। তিনি সরাসরি যুদ্ধ কবলিত ভিয়েতনামে উড়াল দেন আরো কয়েকজন শান্তিকর্মীর সাথে যার মধ্যে ছিলেন ন্যুরেমবার্গ আদালতের প্রসিকিউটর এবং কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক টেলফোর্ড টেলর। Committee for Solidarity with the American People এর আমন্ত্রণে ১৯৭২ সালের ডিসেম্বরের ১৮ তারিখ হ্যানয় পৌঁছান তিনি। ১৮ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২ দিন তিনি বোমা মাথায় করে হ্যানয়ে অবস্থান করেন আর যুদ্ধের ধ্বংসলীলা দেখতে থাকেন ঘুরে ঘুরে। পরে জানা গেছে তাঁর অবস্থানকালের ১২ দিনেই আমেরিকা বি-৫২ বোমারু বিমান প্রায় ১ লক্ষ টন বোমা নিক্ষেপ করেছিল হ্যানয় ও হাইফং শহরে যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৬ বছরে ইংল্যাণ্ডের মোট বোমাবর্ষনেরও চেয়েও বেশী। পরের ঘটনা আমাদের জানা। ১৯৭৩ সালে আমেরিকা লজ্জাজনক পরাজয় বরণ করে ফিরে এলো ভিয়েতনাম থেকে।
ববিও গানে ফিরে এসেছিল তার কিছুকাল পর। জোয়ানের সাথে একসাথে এক মঞ্চে গেয়েছেন আবারো। গাইলেও সেই সম্পর্কের ফাটল আর জোড়া লাগেনি। আরো বহু বছর পর (৪৪ বছর পরে ২০০৯ সালে) ববি তার প্রিয় জোয়ানির (Joanie বলে ডাকতেন তাঁকে) কাছে জনসমক্ষে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছিলেন সম্পর্ক ভেঙ্গে দেবার জন্য।
ম্যান, অনেক দেরী করে ফেলেছেন!
-----------------------------------------------------------------------
তথ্যসুত্র:
1. Joanbaez.com
2. Baez, Joan (1987). And A Voice To Sing With
3. "1967: Joan Baez arrested in Vietnam protest". BBC News. October 16, 1967
4. Joan Baez in Hanoi: 12 Days Under the Bombs By Tim Cahill, Rolling Stone Magazine, February 1, 1973
5. 'Joan Baez gets her apology' By Peter Howell, The Star, Sep. 21, 2009
6. Wikipedia- Joan Baez and Bob Dylan
No comments:
Post a Comment