প্রকৃতির একটা চরিত্র সার্বজনীন। এই যে বিশাল মহাকাশ, সেখানে কোটি কোটি গ্রহ নক্ষত্র নীহারিকা। রাতের আকাশে খালি চোখে যতটা দেখা যায় তার চেয়ে বহুকোটিগুন বেশী নক্ষত্র আছে জগত জুড়ে। সবকিছুই ছুটছে। নির্দিষ্ট একটা গতিতে, নির্দিষ্ট একটা বলয়ে। উপগ্রহ, গ্রহ, নক্ষত্র, নীহারিকা সবাই ঘুরছে। উপগ্রহ ঘুরছে গ্রহকে ঘিরে, গ্রহ ঘুরছে নক্ষত্রকে ঘিরে, নক্ষত্র ঘুরছে নীহারিকা ঘিরে, আবার নীহারিকাও ঘুরছে আরো বিশাল বলয় নিয়ে।
এই যে ঘুরন্তিস, তার একটি নিয়ম আছে। ছোট বড়কে ঘিরে ঘুরবে। ছোটকে ঘিরে বড়টা কখনোই ঘুরবে না। যেমন পৃথিবীকে ঘিরে চাঁদ ঘুরছে তেমন বৃহস্পতিকে ঘিরে প্রদক্ষিণ করছে তার উপগ্রহ। পৃথিবীর একটাই চাঁদ, কিন্তু বৃহস্পতির একাধিক চাঁদ। পৃথিবীর নিয়ম আর বৃহস্পতির চন্দ্রোদয়ের নিয়মে পার্থক্য আছে। আবার সৌরজগতে যে রুটিন, অন্য একটি নক্ষত্রে সেই রুটিন হবে না।
যদি কখনো পৃথিবীর চাঁদ বৃহস্পতির সংস্পর্শে আসে সে আর পৃথিবীর কাছে ফিরতে পারবে না। মহাজাগতিক নিয়মে বড় গ্রহের আকর্ষণ অনেক বেশী। পৃথিবীর চাঁদ নির্দ্বিধায় বৃহস্পতির কাছে চলে যাবে। এতকাল যে চাঁদ পৃথিবীর নিয়মে চলেছে, সে এখন এখন বৃহস্পতির নিয়মে চলবে। চাঁদকে যদি ওখানে বলা হয় তুমি পৃথিবীর নিয়মে চলো, তখন সে নির্ঘাত ক্ষেপে গিয়ে বলবে দূরে গিয়ে মর।
চাঁদকে দোষ দেয়া যায় না, বৃহস্পতি পৃথিবীর চেয়ে বারো হাজার গুন বড়। তার আকর্ষণ ক্ষমতাও সেই রকম মারাত্মক। পৃথিবীর নিয়ম চাঁদের মনে থাকার কথাও না। তখন সে বৃহস্পতির হয়ে কথা বলবে। আবার সূর্যের চেয়ে বড় কোন নক্ষত্রের সাথে যদি বৃহস্পতির দেখা হয়ে যায়, তখন সে লাফ দিয়ে ওই নক্ষত্রের কাছে চলে যাবে। সূর্যের এত কালের আকর্ষণের মায়া কাটাতে তার একবিন্দুও দ্বিধা হবে না। হবার কথা নয়। সবই মহাকর্ষের ব্যাপার। পুরো বিশ্বজগত জুড়ে এই ঘটনা। সবকিছুই ঘুরছে কিছু না কিছুকে প্রদক্ষিণ করে। সেই গ্রহ নক্ষত্র নীহারিকা কিংবা অনুপরমানু থেকে ইলেক্ট্রন প্রোটন নিউট্রন সবই।
এই যে বিশ্বজাগতিক শক্তি সবকিছুর উৎস যে এক, তাতে কোন সন্দেহ নেই। ধর্মে বিশ্বাসীরা বলে এই সবকিছুর উৎস বিশ্ববিধাতা। আর বিজ্ঞান বিশ্বাসীরা বলে বিগ ব্যাং। আর সুবিধাবাদিরা বলে বিশ্ববিধাতা বিগব্যাং দিয়ে বিশ্বসৃষ্টি করেছে।
পৃথিবীতে মানুষ বাদে সবকিছুই একটা নিয়মের অধীনে চলে। একমাত্র মানুষই কোন নিয়ম মানে না, যেমন খুশী চলতে পারে, যেমন খুশী বলতে পারে, এই বিশৃংখলাকে কোথাও মানুষ গণতন্ত্র বলে, কোথাও স্বাধীনতা বলে, কোথাও মানবাধিকারও বলে। একমাত্র মানুষের কাছেই আছে নিয়ম ভাঙার অজুহাতের ভাণ্ড। এই মানুষ শ্রেষ্ঠজীব না হয়ে যায় কোথা!
এই যে ঘুরন্তিস, তার একটি নিয়ম আছে। ছোট বড়কে ঘিরে ঘুরবে। ছোটকে ঘিরে বড়টা কখনোই ঘুরবে না। যেমন পৃথিবীকে ঘিরে চাঁদ ঘুরছে তেমন বৃহস্পতিকে ঘিরে প্রদক্ষিণ করছে তার উপগ্রহ। পৃথিবীর একটাই চাঁদ, কিন্তু বৃহস্পতির একাধিক চাঁদ। পৃথিবীর নিয়ম আর বৃহস্পতির চন্দ্রোদয়ের নিয়মে পার্থক্য আছে। আবার সৌরজগতে যে রুটিন, অন্য একটি নক্ষত্রে সেই রুটিন হবে না।
যদি কখনো পৃথিবীর চাঁদ বৃহস্পতির সংস্পর্শে আসে সে আর পৃথিবীর কাছে ফিরতে পারবে না। মহাজাগতিক নিয়মে বড় গ্রহের আকর্ষণ অনেক বেশী। পৃথিবীর চাঁদ নির্দ্বিধায় বৃহস্পতির কাছে চলে যাবে। এতকাল যে চাঁদ পৃথিবীর নিয়মে চলেছে, সে এখন এখন বৃহস্পতির নিয়মে চলবে। চাঁদকে যদি ওখানে বলা হয় তুমি পৃথিবীর নিয়মে চলো, তখন সে নির্ঘাত ক্ষেপে গিয়ে বলবে দূরে গিয়ে মর।
চাঁদকে দোষ দেয়া যায় না, বৃহস্পতি পৃথিবীর চেয়ে বারো হাজার গুন বড়। তার আকর্ষণ ক্ষমতাও সেই রকম মারাত্মক। পৃথিবীর নিয়ম চাঁদের মনে থাকার কথাও না। তখন সে বৃহস্পতির হয়ে কথা বলবে। আবার সূর্যের চেয়ে বড় কোন নক্ষত্রের সাথে যদি বৃহস্পতির দেখা হয়ে যায়, তখন সে লাফ দিয়ে ওই নক্ষত্রের কাছে চলে যাবে। সূর্যের এত কালের আকর্ষণের মায়া কাটাতে তার একবিন্দুও দ্বিধা হবে না। হবার কথা নয়। সবই মহাকর্ষের ব্যাপার। পুরো বিশ্বজগত জুড়ে এই ঘটনা। সবকিছুই ঘুরছে কিছু না কিছুকে প্রদক্ষিণ করে। সেই গ্রহ নক্ষত্র নীহারিকা কিংবা অনুপরমানু থেকে ইলেক্ট্রন প্রোটন নিউট্রন সবই।
এই যে বিশ্বজাগতিক শক্তি সবকিছুর উৎস যে এক, তাতে কোন সন্দেহ নেই। ধর্মে বিশ্বাসীরা বলে এই সবকিছুর উৎস বিশ্ববিধাতা। আর বিজ্ঞান বিশ্বাসীরা বলে বিগ ব্যাং। আর সুবিধাবাদিরা বলে বিশ্ববিধাতা বিগব্যাং দিয়ে বিশ্বসৃষ্টি করেছে।
পৃথিবীতে মানুষ বাদে সবকিছুই একটা নিয়মের অধীনে চলে। একমাত্র মানুষই কোন নিয়ম মানে না, যেমন খুশী চলতে পারে, যেমন খুশী বলতে পারে, এই বিশৃংখলাকে কোথাও মানুষ গণতন্ত্র বলে, কোথাও স্বাধীনতা বলে, কোথাও মানবাধিকারও বলে। একমাত্র মানুষের কাছেই আছে নিয়ম ভাঙার অজুহাতের ভাণ্ড। এই মানুষ শ্রেষ্ঠজীব না হয়ে যায় কোথা!
No comments:
Post a Comment