১.
তুমি কি অদৃশ্য ঈশ্বর? তোমার হাতের যাদুতে মানবহৃদয় নিয়ত খাবি খায়,
দিকপাল ভুলে ঘোরের ছলছাতুরীতে আনন্দে মত্ত হয়,
কখনো ঘোর কেটে গেলে আক্ষেপের অনলে দগ্ধ হয়!
তুমি কোন অদৃশ্য ঈশ্বর?
মানব মনকে কেন বিভ্রান্ত করো তুমি?
২.
তুমি কি সময় ঠাকুর?
তোমার কাছে পরাজিত সকল ইন্দ্রিয় ঈশ্বর
তুমি হেসো না ভঙ্গুর মানবমন দুর্বলতায়
ঈশ্বরের ঢের নীচে সে পড়ে থাকে অবহেলায়।
৩.
পালিত পশুকে তুমি খড়গের নীচে দাঁড় করিয়ে
ক্রুর বিনোদন নাও
পালন দেবতার নিত্য রুটিনে তুমি ব্যারিকেড বসাও।
মানুষ আটকে থাকে নিজেরই পাতা জালে।
৪.
গঠন প্রক্রিয়ার ঘোরপ্যাচে ইঞ্জিন মন ভারসাম্য হারায়
মালিক জানে না তার কোন কারিগরের হাতের ছোঁয়ায়
বদলে যায় গতিপথ।
সময় বসে আছে রথের ঘোড়ার লাগাম হাতে।
৫.
নির্বিবাদ ঘনিষ্ঠতায়
পৃথিবী ওজন হারায়
গ্রহে গ্রহে তখন লেগেছে গ্রহন
শূণ্যে করে আলিঙ্গন।
৬.
সম্পাদ্যের ক্রিয়া উপপাদ্যে
উপসংহার খুজে বেড়ায়
জ্যামিতির অদৃশ্য ছক
ভাসতে থাকে হাওয়ায় হাওয়ায়।
৭.
ভাগাড় তৈরী,
হুমড়ি খাও।
৮.
হিমালয় ছেড়ে বরফ গলা নদী
সাগর মোহনায় পৌঁছানোর আগে
বয়ে আনে অজস্র পলি জঞ্জাল
বঙ্গোপসাগরের অম্লত্ব তাতে
বিন্দুমাত্র ক্ষতিগ্রস্থ হয় না।
৯.
তুমিও থেকো
এক পশলা বৃষ্টির মতো
পরিশেষে অপেক্ষায়
কাঁচামাটির ঘ্রান।
১০.
নেই রাজ্যে,
অলীক মানুষ,
সাজায় সংসার।
নিয়তির দোলনা
ছন্দ হারিয়ে
এপার ওপার।
No comments:
Post a Comment