খাঁচায় আবদ্ধ মানুষ পাখির ডানার ছটফট নিয়ে ঘুরে মরছে। একেকটা মানুষ একেকটা দুঃসময় অতিক্রম করছে। একটু নিঃশ্বাস নেবার জন্য বাতাস থেকে অক্সিজেন ধার করতে গিয়ে কত মানুষ হাঁসফাস করছে।
২.
প্রত্যেক মানুষের একটা নিজস্ব গুহা আছে। সেই গুহার মধ্যে মানুষ বাস করে। নিজের চিন্তাভাবনাগুলো জমা রাখে। সারাদিন বাইরে ঘুরে ফিরে আবার সেই গুহাতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। কেউ কেউ গুহা থেকে বেরিয়ে পৃথিবীর রূপরস গন্ধ দেখে। আবার কেউ আছে গুহা থেকে বের হবে না বলে বদ্ধ পরিকর হয়ে আছে।
৩.
শেষ বয়স নিয়ে ভেবে লাভ নেই, শেষ বয়স মানে ৭০+ নয়। যে কোন সময়ই শেষ বয়স নেমে আসতে পারে মাথার ওপর। যখন করার কিছু থাকে না, তখন কিছুই থাকবে না। যে মরে যায় সে আসলে বেঁচে যায়। তাকে নিয়ে আহাজারি করে কাজ নেই। যে বেঁচে থাকে সেই আসলে মরে যায়। প্রতিদিন মরে। মরতে মরতে চিরমৃত্যু হবার পরই সে বেঁচে যায়।
৪.
প্রায় ৩০ বছর আগে আমি একবার গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কল্পনা করেছিলাম আমার এমন কোন দূরারোগ্য অসুখ হবে যা পৃথিবীর কোন ডাক্তার ধরতে পারবে না। সেই রহস্যময় অসুখে আমার মৃত্যু হবে। সেই মৃত্যুটা আমার বয়স ৩০ হবার আগেই ঘটবে। আমার মাথায় আবুল হোসেন ভর করেছিল সেই বয়স থেকেই। অথচ তার পর আরো বিশ বছর কেটে গেছে। এখনো বেঁচে আছি। কিন্তু দূরারোগ্য ব্যাপারটা এখনো মুছে যায়নি।
৫.
সুবিধাবাদী মানুষদের নিয়ে গল্প লেখার একটা সুবিধা হলো সেখানে প্লট খুঁজতে দূরে যেতে হয় না। আমার অধিকাংশ গল্পের প্লট আমার নিজেকে নিয়ে। অন্যকে নিয়ে লিখতে গেলেও আমার লেখা ঘুরতে ঘুরতে আমাকেই খুঁজে নেয়। পৃথিবীর যাবতীয় নেতিবাচক ধারণা আমাকে প্রদক্ষিণ করতে থাকে। সৃষ্টিতে থাকে বেদনা, ধ্বংসে থাকে আনন্দ। আমি পৃথিবীর সকল দুর্যোগে আনন্দিত হই। অথচ আমার বিবৃতি পড়ে আমাকে শান্তিবাজ বলে আখ্যা দিতে থাকে বোদ্ধা সমাজ।
৬.
সত্য ঘটনা নিয়ে গল্প লেখার মধ্যে তেমন কোন শৈল্পিক কৃতিত্ব নেই যতটা আছে মিথ্যা ঘটনা নিয়ে সত্যের চেহারায় একটা গল্পকে উপস্থাপন করার মধ্যে। মিথ্যা গল্পগুলোই পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় গল্প।
৭.
প্রতিদিন যে জীবন যাপন করি তার ভেতরেই অনেক গল্প জমে থাকে। চোখের সামনেই জন্ম হয় অনেক গল্প। এক পলকের গল্প নিয়েও মুগ্ধ হওয়া যায়। দেখার চোখ থাকতে হয়। খোঁজার মত মন, অনুভব করার মতো হৃদয় এবং উপলব্ধির সততা থাকতে হয়। আমার চোখের সামনে সেরকম অনেক গল্পের অক্ষর, শব্দ, দাঁড়ি, কমা ভেসে যায়। আমি দেখতে থাকি, কিন্তু ছুঁতে পারি না।
৪.
প্রায় ৩০ বছর আগে আমি একবার গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কল্পনা করেছিলাম আমার এমন কোন দূরারোগ্য অসুখ হবে যা পৃথিবীর কোন ডাক্তার ধরতে পারবে না। সেই রহস্যময় অসুখে আমার মৃত্যু হবে। সেই মৃত্যুটা আমার বয়স ৩০ হবার আগেই ঘটবে। আমার মাথায় আবুল হোসেন ভর করেছিল সেই বয়স থেকেই। অথচ তার পর আরো বিশ বছর কেটে গেছে। এখনো বেঁচে আছি। কিন্তু দূরারোগ্য ব্যাপারটা এখনো মুছে যায়নি।
৫.
সুবিধাবাদী মানুষদের নিয়ে গল্প লেখার একটা সুবিধা হলো সেখানে প্লট খুঁজতে দূরে যেতে হয় না। আমার অধিকাংশ গল্পের প্লট আমার নিজেকে নিয়ে। অন্যকে নিয়ে লিখতে গেলেও আমার লেখা ঘুরতে ঘুরতে আমাকেই খুঁজে নেয়। পৃথিবীর যাবতীয় নেতিবাচক ধারণা আমাকে প্রদক্ষিণ করতে থাকে। সৃষ্টিতে থাকে বেদনা, ধ্বংসে থাকে আনন্দ। আমি পৃথিবীর সকল দুর্যোগে আনন্দিত হই। অথচ আমার বিবৃতি পড়ে আমাকে শান্তিবাজ বলে আখ্যা দিতে থাকে বোদ্ধা সমাজ।
৬.
সত্য ঘটনা নিয়ে গল্প লেখার মধ্যে তেমন কোন শৈল্পিক কৃতিত্ব নেই যতটা আছে মিথ্যা ঘটনা নিয়ে সত্যের চেহারায় একটা গল্পকে উপস্থাপন করার মধ্যে। মিথ্যা গল্পগুলোই পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় গল্প।
৭.
প্রতিদিন যে জীবন যাপন করি তার ভেতরেই অনেক গল্প জমে থাকে। চোখের সামনেই জন্ম হয় অনেক গল্প। এক পলকের গল্প নিয়েও মুগ্ধ হওয়া যায়। দেখার চোখ থাকতে হয়। খোঁজার মত মন, অনুভব করার মতো হৃদয় এবং উপলব্ধির সততা থাকতে হয়। আমার চোখের সামনে সেরকম অনেক গল্পের অক্ষর, শব্দ, দাঁড়ি, কমা ভেসে যায়। আমি দেখতে থাকি, কিন্তু ছুঁতে পারি না।
৮. প্রতিটি নতুন আবিষ্কার একটা নতুন আনন্দের জগত। ইতিহাসের পাতা উল্টে প্রতিনিয়ত সেই আনন্দ উন্মোচনের চেষ্টা করে যাওয়া আমার প্রতিদিনের প্রিয় একটি কাজ।
No comments:
Post a Comment