অবসরে পুরোনো পত্রিকা ঘাঁটতে গিয়ে দুটো বিষয়ের সংবাদ নজরে পড়লো। সংবাদ দুটোর ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে নিজের খাতায় জমা রাখা।
সংবাদ দুটো ১৯৭২ সালের ১৩ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রীসভার বৈঠকের দুটি উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত নিয়ে। সিদ্ধান্ত দুটো ছিল জাতীয় পতাকা এবং জাতীয় সঙ্গীত বিষয়ে।
প্রথম সিদ্ধান্ত ছিল জাতীয় পতাকা থেকে হলুদ মানচিত্রটি বাদ দেয়া হবে। কেননা সাধারণ মানুষের পক্ষে মানচিত্র আঁকা পতাকা বানানো কষ্টকর। তাই সিদ্ধান্ত হলো মানচিত্র বাদ দিয়ে শুধু লাল সবুজের পতাকাই বাংলাদেশের আকাশে উড়বে। যৌক্তিক সিদ্ধান্ত ছিল নিঃসন্দেহে।
দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত ছিল জাতীয় সঙ্গীত বিষয়ে। জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'আমার সোনার বাংলা'র প্রথম দশ লাইনকে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহন করা হয়। আমার সোনার বাংলার বর্তমান সংস্করণটি রবীন্দ্রনাথের আদি সুর থেকে একটু ভিন্ন।
১৯৪৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এইচ এম ভি প্রথম 'আমার সোনার বাংলা' গানের রেকর্ড প্রকাশ করে সুচিত্রা মিত্রের কন্ঠে। কিন্তু সুচিত্র মিত্র গাইবার সময় একটু ভিন্ন সুরে গেয়েছিলেন শান্তিদেব ঘোষের তৈরী স্বরলিপি অনুসারে। সেই সুরটিই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল পরবর্তীকালে। আমাদের শিল্পীরা সুচিত্রা মিত্রকেই অনুসরণ করেছিলেন। যুদ্ধের সময় মুক্তিসংগ্রামী শিল্পী সংস্থা বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে যে সুরে 'সোনার বাংলা' গেয়েছিলেন, সেই সুরেই রেকর্ডে গাওয়া হয়। সুচিত্রা মিত্রের গাওয়া সুরের অনুসরণে মুক্তিযুদ্ধের সময় গাওয়া সুরটি ধরে রাখার জন্য তা রেকর্ডে ধারণ করা হয়।
মন্ত্রীসভার বৈঠকে বঙ্গবন্ধু শোনেন যে, স্বরবিতানের ছাপানো মূল সুরের সঙ্গে আমাদের শিল্পীদের গাওয়া সুরের মিল নেই। তখন তিনি বলেছিলেন, 'যে সুর গেয়ে এদেশ স্বাধীন হয়েছে, সে সুরেই আমাদের জাতীয় সংগীত গাওয়া হবে, সেটিই জাতীয় সংগীতের সুর'। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুও সুচিত্রা মিত্রের গাওয়া সুরকেই বেছে নিলেন।
প্রথম সিদ্ধান্ত ছিল জাতীয় পতাকা থেকে হলুদ মানচিত্রটি বাদ দেয়া হবে। কেননা সাধারণ মানুষের পক্ষে মানচিত্র আঁকা পতাকা বানানো কষ্টকর। তাই সিদ্ধান্ত হলো মানচিত্র বাদ দিয়ে শুধু লাল সবুজের পতাকাই বাংলাদেশের আকাশে উড়বে। যৌক্তিক সিদ্ধান্ত ছিল নিঃসন্দেহে।
দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত ছিল জাতীয় সঙ্গীত বিষয়ে। জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'আমার সোনার বাংলা'র প্রথম দশ লাইনকে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহন করা হয়। আমার সোনার বাংলার বর্তমান সংস্করণটি রবীন্দ্রনাথের আদি সুর থেকে একটু ভিন্ন।
১৯৪৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এইচ এম ভি প্রথম 'আমার সোনার বাংলা' গানের রেকর্ড প্রকাশ করে সুচিত্রা মিত্রের কন্ঠে। কিন্তু সুচিত্র মিত্র গাইবার সময় একটু ভিন্ন সুরে গেয়েছিলেন শান্তিদেব ঘোষের তৈরী স্বরলিপি অনুসারে। সেই সুরটিই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল পরবর্তীকালে। আমাদের শিল্পীরা সুচিত্রা মিত্রকেই অনুসরণ করেছিলেন। যুদ্ধের সময় মুক্তিসংগ্রামী শিল্পী সংস্থা বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে যে সুরে 'সোনার বাংলা' গেয়েছিলেন, সেই সুরেই রেকর্ডে গাওয়া হয়। সুচিত্রা মিত্রের গাওয়া সুরের অনুসরণে মুক্তিযুদ্ধের সময় গাওয়া সুরটি ধরে রাখার জন্য তা রেকর্ডে ধারণ করা হয়।
মন্ত্রীসভার বৈঠকে বঙ্গবন্ধু শোনেন যে, স্বরবিতানের ছাপানো মূল সুরের সঙ্গে আমাদের শিল্পীদের গাওয়া সুরের মিল নেই। তখন তিনি বলেছিলেন, 'যে সুর গেয়ে এদেশ স্বাধীন হয়েছে, সে সুরেই আমাদের জাতীয় সংগীত গাওয়া হবে, সেটিই জাতীয় সংগীতের সুর'। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুও সুচিত্রা মিত্রের গাওয়া সুরকেই বেছে নিলেন।
বিষয়টি চুড়ান্ত করার জন্য একটি দলকে শান্তিনিকেতনে পাঠানো হয়। সেই দলে ছিলেন শান্তিনিকেতনের প্রাক্তন ছাত্র রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী আবদুল আহাদ, আতিকুল ইসলাম এবং আফসারী খানম। বিশ্বভারতীর মিউজিক বোর্ডের সভায় উপস্থিত হয়ে তারা জানালেন, 'আমার সোনার বাংলা গানটি স্বরলিপি বইয়ে যেভাবে ছাপা আছে, সেটা আমরা গাই না। সুচিত্রা মিত্র যে রেকর্ডটি করেছিলেন বাংলাদেশের দরকার সেই সুরটির স্বরলিপির অনুমোদিত কপি।
শান্তিদেব ঘোষ যিনি রেকর্ডে সুচিত্রা মিত্রের ট্রেনার ছিলেন, সভায় তিনিও ছিলেন। আলোচনা শেষে বিশ্বভারতী বাংলাদেশের প্রস্তাবে সম্মত হলো। জানানো হলো স্বরলিপি তৈরি করে বাংলাদেশের সরকারকে কিছুদিনের মধ্যে পাঠিয়ে দেবে। সেই সিদ্ধান্ত অনুসারে ১৯৭২ সালের ২ ফেব্রুয়ারী বিশ্বভারতী কতৃপক্ষ বাংলাদেশ সরকারকে আমার সোনার বাংলার কপিরাইট প্রদান করে।
সেদিন থেকে 'আমার সোনার বাংলা' আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের হলো।
শান্তিদেব ঘোষ যিনি রেকর্ডে সুচিত্রা মিত্রের ট্রেনার ছিলেন, সভায় তিনিও ছিলেন। আলোচনা শেষে বিশ্বভারতী বাংলাদেশের প্রস্তাবে সম্মত হলো। জানানো হলো স্বরলিপি তৈরি করে বাংলাদেশের সরকারকে কিছুদিনের মধ্যে পাঠিয়ে দেবে। সেই সিদ্ধান্ত অনুসারে ১৯৭২ সালের ২ ফেব্রুয়ারী বিশ্বভারতী কতৃপক্ষ বাংলাদেশ সরকারকে আমার সোনার বাংলার কপিরাইট প্রদান করে।
সেদিন থেকে 'আমার সোনার বাংলা' আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের হলো।
No comments:
Post a Comment