১. যে দেশের অধিকাংশ স্কুল সম্পূর্ণ শিক্ষাদানে ব্যর্থ, সেদেশে শিক্ষিতের হার নিশ্চয়ই অশুদ্ধ ৷
২. দৈনিক ৬ ঘন্টার স্কুল শেষে আরো ৪-৫ ঘন্টার কোচিং, প্রাইভেট টিউটর ইত্যাদির পেছনে কেন ছুটতে হয় শিশুটিকে? ৬ ঘন্টায় কী শেখানো হয়? স্কুলের জন্য বরাদ্দ সময়টুকু যদি শিক্ষা সম্পন্ন করার জন্য যথেষ্ট না হয়
তাহলে হয় বই সংখ্যা কমাতে হবে, না হয় অপ্রয়োজনীয় পড়া বাদ দিতে হবে, এটা তুচ্ছ সাধারণ জ্ঞানটুকু
নেই তাদের হাতে শিক্ষা ব্যবস্থা কতটা নিরাপদ?
৩. স্কুল এবং কোচিং এর যুগপৎ অস্তিত্ব সবাই যখন মেনে নিয়েছে
(সরকার ও জনগণ) তখন দেখা যাক- এই দুটোর মধ্যে কে বেশী যোগ্য, কে অযোগ্য?
কোচিং এ না পড়লে যদি জিপিএ-৫ না হয় তাহলে শিক্ষাদানে কোচিং সেন্টারই
যোগ্য। সুতরাং অযোগ্যতা মেনে স্কুলগুলো বন্ধ করে দেয়া হোক এবং
শিক্ষা বাজেট কোচিং বাণিজ্যের উন্নয়নে ব্যয়িত হোক।
৪.
স্কুল সময়টা যখন নিতান্তই অপচয়, ওই সময়ে বাচ্চারা খেলাধূলা করুক। শিক্ষার
পেছনে সমস্ত সময় ব্যয় করতে গিয়ে শিশুদের জীবন থেকে আনন্দ কেন নির্বাসনে
যাবে?
৫. ব্যাগের ওজন কমাতে বলেন কিন্তু বই সংখ্যা কমাতে বলেন না।
ব্যাগের ওজন কী বাতাসে বাড়ে? কোন বয়সে কতটা বিদ্যা শেখাতে হবে সেই জ্ঞান
যাদের নেই, তারা জাতির শিক্ষাপিতা।
৬. দেশের জনসংখ্যা বাড়ে, শিক্ষা
হার বাড়ে, জিপিএ-৫ বাড়ে, কিন্তু স্কুল সংখ্যা বাড়ে না কেন? শিক্ষা শিশুর
মৌলিক অধিকার হলে ভর্তিযুদ্ধ
নামের আতংকের জন্মদাতা কে?
No comments:
Post a Comment