জীবনানন্দ দাশের মৃত্যুবার্ষিকী চলে গেল মাত্র কয়েকদিন আগে। ইচ্ছে ছিল একটা লেখা তৈরী করবো তাঁকে নিয়ে। তাঁর জীবন ও সৃষ্টিকর্ম নিয়ে আমার ভালো রকমের আগ্রহ আছে। কিন্তু ব্যক্তিগত কিছু ঝামেলার কারণে লেখা গোছাতে পারিনি। তাছাড়া এখনো পড়ার অনেক বাকী, তাই তাঁকে নিয়ে পড়াশোনা এখনো চলছে ফাঁকে ফাঁকে। পড়ছি প্রণব চৌধুরী সম্পাদিত 'জীবাননন্দ: জীবন ও সৃষ্টি'। ১৯৫৯ সালে কলকাতা থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। যেখানে বুদ্ধদেব বসু থেকে শামসুর রাহমান পর্যন্ত অনেক কবি সাহিত্যিক তাঁকে নিয়ে লিখেছেন, ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ করেছেন। ৮৮৬ পাতার বেশ স্বাস্থ্যবান বই, এক নাগাড়ে পড়ে শেষ করা কঠিন। তবে বইটিতে এমন দুর্লভ কিছু লেখা পেয়েছি জীবনানন্দ পরিবারের সদস্যদের, যা এতদিন ধরে খুঁজছিলাম। বইটার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাতে হয় বইয়ের হাটকে, যাদের কাছ থেকে আমি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বই সংগ্রহ করতে পেরেছি। জীবনানন্দ সংক্রান্ত তাবৎ বই আমি গোগ্রাসে গিলি। তাঁর কবিতা দুর্বোধ্য বলেই বোধহয় বারবার টানতে থাকে। তাঁর গল্প উপন্যাসগুলোর বেশ কিছুটা পড়া হয়ে গেছে যেখানে অনেক প্রশ্নের উত্তর মেলে আবার অনেক প্রশ্ন আরো জটিল হয়ে জড়িয়ে যায়। জীবনানন্দের উপন্যাস যতটা না সাহিত্য তার চেয়ে বেশী তাঁর জীবনযাপনের একাংশের প্রতিফলন। তাঁর জীবনটাও দুর্বোধ্য, ফলে তাঁর জীবনের অমীমাংসিত ব্যাপারগুলোও খুব টানে। অনেকগুলো প্রশ্নবোধক চিহ্ন পেছনে ফেলে জীবনানন্দ চলে গিয়েছিলেন। আরো অনেক যুগ সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজবে তাঁর পাঠকেরা।
এই লেখার বিষয় কিন্তু বই আলোচনা নয়, ভিন্ন একটি বিষয়। বইটিতে বুদ্ধদেব বসুর লেখা পড়তে গিয়ে একটা অংশে চোখ আটকে গেল।
"....জীবনে যেখানে যেখানে সুন্দরের স্পর্শ পেয়েছি সেটা যেমন স্মরণযোগ্য, তেমনি যেখানে কুৎসিতের পরাকাষ্ঠা দেখেছি তা যেন দুর্বলের মতো মার্জনীয় মনে না করি। যেন মনে রাখি, মনে রাখতে যেন ভুলে না যাই....." [বুদ্ধদেব বসু, ১৯৫৫]এই লেখার বিষয় কিন্তু বই আলোচনা নয়, ভিন্ন একটি বিষয়। বইটিতে বুদ্ধদেব বসুর লেখা পড়তে গিয়ে একটা অংশে চোখ আটকে গেল।
No comments:
Post a Comment