স্বপ্নটা খুব মর্মান্তিক ছিল বলা যাবে না। যদিও ঘটনাটি আমার মৃত্যুর সাথে সংশ্লিষ্ট। এবং খুব স্পষ্ট একটা স্বপ্ন। কোন এক আধুনিক হাসপাতালে মৃত্যুশয্যায় শুয়ে আছি। বিছানার বাম পাশে চিকিৎসা যন্ত্রপাতি টিভি মনিটর ইত্যাদিতে আমার জীবন রেখার নীলাভ ওঠানামা বহমান। বিছানার ডানপাশে বসে আছে স্ত্রীপুত্র স্বজন। আমি কথা বলছি ওদের সাথে। শেষবারের মতো সবকিছু বুঝিয়ে দিচ্ছি। আমি না থাকলে কী কী করা লাগবে, কোথায় কী রাখা আছে, আলমারীর কোন ড্রয়ারে কী রেখেছি সবকিছু নিয়ে আলোচনা চলছে।
ওরাও কথা বলছে তো বলছেই, কী বলছে মনে পড়ছে না সব। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ আমি বাম পাশের মনিটরে তাকিয়ে দেখি ওখানে জীবনরেখার ঢেউটা বদলে গিয়ে সরলরেখায় পরিণত হয়ে গেছে। মানে আমার সময় শেষ। আমি পরিবারকে ডেকে মনিটরের দিকে ইঙ্গিত করে বললাম দ্রুত কথা শেষ করতে, আর সময় নেই। আমি এবার আল বিদা।
ওরা এবার কথা থামিয়ে মনিটরের দিকে তাকিয়ে কাঁদতে শুরু করলো সবাই। কিন্তু আমি তখন একটু অবাক হয়ে ভাবছি- মনিটরের জীবন রেখাটা সোজা হয়ে গেলেও আমি এখনো সবকিছু দেখছি কী করে, শুনছি কী করে? মৃত্যুযন্ত্রণা এখনো শুরু হয়নি। সেই কঠিন যন্ত্রণা পেতে আমার কেমন লাগবে? নাকি মৃত্যুটা যন্ত্রণাবিহীন হবে শেষমেষ? মৃত্যুর অভিজ্ঞতা নিয়ে তো কেউ ফেরত আসেনি, তাহলে কে জানে আসলে ঘটনাটা কিভাবে ঘটবে?
এসব ভাবতে ভাবতে শোকাহত পরিবারের দিকে তাকিয়ে জীবনের শেষ রসিকতাটা করেই ফেললাম, আজরাইল সাহেব মনে হয় অন্য কোথাও কাজে আটকে গেছে, এদিকে আসতে দেরী হচ্ছে। সুতরাং আমরা আরো কয়েকটা এক্সট্রা মিনিট কথা বলে নিতে পারি।
সেই এক্সট্রা মিনিট কথা চলতে চলতেই ঘুম ভেঙ্গে গেল এবং জানালা দিয়ে পৃথিবীর আলো দেখতে পেয়ে বুঝলাম বেঁচে আছি! ভাগ্যিস এক্সট্রা মিনিট পেয়েছিলাম!!
ওরাও কথা বলছে তো বলছেই, কী বলছে মনে পড়ছে না সব। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ আমি বাম পাশের মনিটরে তাকিয়ে দেখি ওখানে জীবনরেখার ঢেউটা বদলে গিয়ে সরলরেখায় পরিণত হয়ে গেছে। মানে আমার সময় শেষ। আমি পরিবারকে ডেকে মনিটরের দিকে ইঙ্গিত করে বললাম দ্রুত কথা শেষ করতে, আর সময় নেই। আমি এবার আল বিদা।
ওরা এবার কথা থামিয়ে মনিটরের দিকে তাকিয়ে কাঁদতে শুরু করলো সবাই। কিন্তু আমি তখন একটু অবাক হয়ে ভাবছি- মনিটরের জীবন রেখাটা সোজা হয়ে গেলেও আমি এখনো সবকিছু দেখছি কী করে, শুনছি কী করে? মৃত্যুযন্ত্রণা এখনো শুরু হয়নি। সেই কঠিন যন্ত্রণা পেতে আমার কেমন লাগবে? নাকি মৃত্যুটা যন্ত্রণাবিহীন হবে শেষমেষ? মৃত্যুর অভিজ্ঞতা নিয়ে তো কেউ ফেরত আসেনি, তাহলে কে জানে আসলে ঘটনাটা কিভাবে ঘটবে?
এসব ভাবতে ভাবতে শোকাহত পরিবারের দিকে তাকিয়ে জীবনের শেষ রসিকতাটা করেই ফেললাম, আজরাইল সাহেব মনে হয় অন্য কোথাও কাজে আটকে গেছে, এদিকে আসতে দেরী হচ্ছে। সুতরাং আমরা আরো কয়েকটা এক্সট্রা মিনিট কথা বলে নিতে পারি।
সেই এক্সট্রা মিনিট কথা চলতে চলতেই ঘুম ভেঙ্গে গেল এবং জানালা দিয়ে পৃথিবীর আলো দেখতে পেয়ে বুঝলাম বেঁচে আছি! ভাগ্যিস এক্সট্রা মিনিট পেয়েছিলাম!!
No comments:
Post a Comment