কয়েক জোড়া ছুটন্ত পায়ের ছবি। চেহারা দিলাম না, দিলেও কেউ চিনবেন না। তিনটি শিশু, একজন মা। মায়ের কোলে আরেকটি শিশু, অন্যহাতে টিনের একটি বাক্স। সেই বাক্সে সর্বস্ব বলতে যা বোঝায় তা আছে কিনা জানি না। তবে ছুটন্ত দৃশ্যেই নগ্নভাবে প্রকাশিত- ওরা ওই সর্বস্ব নিয়ে আগেও সর্বহারাই ছিল।
আমি সর্বহারা নই, ওরাও আমার দলের নয়। কিন্তু সেদিন ওরা আর আমরা এক পথে ছুটতে বাধ্য হয়েছিলাম, একই গতিতে, এমনকি ওদের চেয়ে বেশী গতিতেও। কেননা হাত ধরে থাকা ওই নগ্ন শিশুগুলোর মতো আমারও প্রাণ ছিল অন্যের বন্দুকের ট্রিগারে। আমাদের সবার একমাত্র সম্পদ হয়ে গিয়েছিল আমাদের পৈত্রিক প্রাণটা। আমিও তাই প্রাণপনে ছুটেছি ওদের সাথে পাল্লা দিয়ে।
নয় মাসে প্রায় এক কোটি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছিল। ত্রিশ লাখ মানুষ প্রাণছাড়া হয়েছিল। আর কে কী হারিয়েছিল সে প্রশ্ন এখন থাক। কিন্তু সাড়ে চার দশক পরে এসে এই ছবিটা আমাকে খানিকটা থমকে দিল কেন? শরনার্থী জীবন থেকে ফিরে আমি একটি স্বাধীন দেশ-পতাকা-মানচিত্রের সাথে পেয়েছি আরো কিছু ঐশ্বর্য সম্পদ। অথচ ওরা ঘরে ফিরে এসেছিল কিনা জানি না। জানার উপায় ছিল না, উপায় থাকলেও জানতে চাইতাম না। ওই নগ্ন নির্জন কোমল শিশুর পায়ের পাতাগুলো রক্তাক্ত হতে হতে শেষমেষ বেঁচে ছিল কিনা, জুতো পরা মানুষগুলো তা কখনোই খোঁজ করেনা।
[ছবিটি একাত্তরের অজানা এক চিত্র গ্রাহকের ভিডিও চিত্র থেকে নেয়া]আমি সর্বহারা নই, ওরাও আমার দলের নয়। কিন্তু সেদিন ওরা আর আমরা এক পথে ছুটতে বাধ্য হয়েছিলাম, একই গতিতে, এমনকি ওদের চেয়ে বেশী গতিতেও। কেননা হাত ধরে থাকা ওই নগ্ন শিশুগুলোর মতো আমারও প্রাণ ছিল অন্যের বন্দুকের ট্রিগারে। আমাদের সবার একমাত্র সম্পদ হয়ে গিয়েছিল আমাদের পৈত্রিক প্রাণটা। আমিও তাই প্রাণপনে ছুটেছি ওদের সাথে পাল্লা দিয়ে।
নয় মাসে প্রায় এক কোটি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছিল। ত্রিশ লাখ মানুষ প্রাণছাড়া হয়েছিল। আর কে কী হারিয়েছিল সে প্রশ্ন এখন থাক। কিন্তু সাড়ে চার দশক পরে এসে এই ছবিটা আমাকে খানিকটা থমকে দিল কেন? শরনার্থী জীবন থেকে ফিরে আমি একটি স্বাধীন দেশ-পতাকা-মানচিত্রের সাথে পেয়েছি আরো কিছু ঐশ্বর্য সম্পদ। অথচ ওরা ঘরে ফিরে এসেছিল কিনা জানি না। জানার উপায় ছিল না, উপায় থাকলেও জানতে চাইতাম না। ওই নগ্ন নির্জন কোমল শিশুর পায়ের পাতাগুলো রক্তাক্ত হতে হতে শেষমেষ বেঁচে ছিল কিনা, জুতো পরা মানুষগুলো তা কখনোই খোঁজ করেনা।
No comments:
Post a Comment