১.
দানবের ভয়ে মানবেরা যখন গৃহকোনে নির্বাসিত, সংখ্যালঘুর ভয়ে যেখানে সংখ্যাগুরু ভীত থাকে, আস্থাহীনতার সমস্যা যখন রাজনীতি, সমাজ এমনকি ব্যক্তিজীবনেও, দুর্জন বিদ্বান হবার পর পরিত্যাজ্য হয়, কীটদষ্ট ফল কিংবা কাঁটাওয়ালা ফুলে মধু থাকলেও তাই....। না আমি একমত নই, একমত নই, তোমাদের কারো সাথেই একমত নই যখন তোমরা বলো- মানুষের চেয়ে বড় আর কোন জীব নেই। কী ভীষণ আত্মপ্রবঞ্চণা, কী নিদারুণ মিথ্যায় নিয়ত বসবাস। মানুষ তোমাকে আমি এতকাল ভুল বুঝে এসেছি। মানুষ তুমি ইতর প্রাণী!
২.
অনেকগুলো মানবীয় গল্প এখন নিষিদ্ধ তালিকায় উঠে গেছে। গল্পগুলো হৃদয় মগজ পেরিয়ে শিরা উপশিরা বেয়ে হাতের আঙুলের ডগায় এসে থেমে গেছে। কী বোর্ডের যে বোতামে চাপ দিলে অক্ষরগুলো শব্দে পরিণত হয় শব্দগুলো বাক্যে, বাক্যগুলো একেকটা প্যারায় ভাগ হয়ে গল্পের আকার তৈরী করে সেই প্রক্রিয়াটা থমকে গেছে সূচনাতেই। গল্পটি যে শিরোনামে বের হয়ে আসতে পারতো, সেই শিরোনামটিও ধূসর মেঘে ঢেকে আড়াল হয়ে গেছে। গল্পগুলোর জন্য আমার দুঃখ হতে হতেও হয় না। গল্পগুলোর অপরিণামদর্শী যাত্রা থেমে যাওয়াতে বেঁচে গেল অনেক কটা নির্দোষ প্রাণ। শৃংখলিত প্রাণের বেঁচেবর্তে থাকার অধিকার গল্পের জন্মোৎসবের চেয়েও মহান। গল্পগুলো থামিয়ে দিতে আমাকে কোন দীর্ঘশ্বাসের ধাক্কা পোহাতে হয়নি। আমি জানতাম কিছু অপ্রকাশিত সত্য এই পরিণতি বহন করে। কিছু গল্প চিরকালই অপ্রকাশিত থাকে। কিছু ঘটনা রটনা হতে গিয়ে নিজেকে অপমান করে। বিকৃত সত্য নিষ্ঠুর মিথ্যের চেয়েও কুৎসিত। থেমে যাওয়া উৎসবের মৃত্যুতে বেঁচে গেল কিছু অপরিণত অপবাদ।
৩.
২২ বছরের নিজভূমিবাস অবসানের পর যখন আত্মোপলব্ধি এসে চেপে ধরে বলে- এবার ফিরে যা, ফিরে যা, আর কখনো আসবি না এখানে, তখন মনে হয়, হায়... ফুরায়েছে বেলা, সময় কেটেছে হেলাফেলায়, আরো ২২টি বছর আমি কোথায় পাই, কত কি বাকী রয়ে গেছে, জীবন এত ছোট কেনে?
.................
No comments:
Post a Comment