১.
প্রচণ্ড উত্তাপে দিনগুলো তড়পাচ্ছে। চৈত্রের শেষ ভাগে বাতাস উত্তাল হয়, এবার তেমন কিছু দেখা যায়নি। বসন্ত শেষ হয়ে গেল কোনরকম হাওয়ার মাতন ছাড়াই। বৈশাখে বাঙালী খুব উৎসবে মাতে। শহুরে মধ্যবিত্ত ঘরে থাকে না। এই বিরাট জনসংখ্যার চাপ আমাদের রাস্তাগুলো সহ্য করতে পারে না। পথঘাট স্থবির হয়ে থাকে কোথাও কোথাও। ডিসি হিল আর সিআরবিতে উৎসবের আমেজ। আশপাশের কয়েক কিলোমিটারে লাল সাদা পোষাকে মাতোয়ারা নারী পুরুষ। এই অসহ্য গরমকে তুচ্ছ করে বাঙালী ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে। এই উৎসাহ দশ বছর আগেও খুব বেশী ছিল না। এখন হঠাৎ করে যেন বেড়ে গেল। পহেলা বৈশাখে আমার আনন্দ নেই গত সতের বছর। এই দিনে আমরা ঘর থেকে বের হই না তেমন। বড়জোর গ্রামে যাই। বাবাকে দেখে আসি। এই টুকুই আমার কার্যক্রম। এবার অফিসে কাটিয়েছি সারাদিন। অফিস ফেরার পথে হেঁটে হেঁটে মানুষের আনন্দিত মুখ দেখতে দেখতে ভাবছিলাম, যদি এই সময়টা গ্রীষ্ম না হয়ে হেমন্ত হতো। আনন্দটা আরো অনেক উপভোগ্য হতো। আমি একবার লিখেছিলাম, নববর্ষের সময়টা বদলে ফাল্গুনে বা অঘ্রানে নিয়ে যেতে। আমার ক্ষমতা থাকলে তাই করতাম। তোমার থাকলে কী তাই করতে?
২.প্রচণ্ড উত্তাপে দিনগুলো তড়পাচ্ছে। চৈত্রের শেষ ভাগে বাতাস উত্তাল হয়, এবার তেমন কিছু দেখা যায়নি। বসন্ত শেষ হয়ে গেল কোনরকম হাওয়ার মাতন ছাড়াই। বৈশাখে বাঙালী খুব উৎসবে মাতে। শহুরে মধ্যবিত্ত ঘরে থাকে না। এই বিরাট জনসংখ্যার চাপ আমাদের রাস্তাগুলো সহ্য করতে পারে না। পথঘাট স্থবির হয়ে থাকে কোথাও কোথাও। ডিসি হিল আর সিআরবিতে উৎসবের আমেজ। আশপাশের কয়েক কিলোমিটারে লাল সাদা পোষাকে মাতোয়ারা নারী পুরুষ। এই অসহ্য গরমকে তুচ্ছ করে বাঙালী ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে। এই উৎসাহ দশ বছর আগেও খুব বেশী ছিল না। এখন হঠাৎ করে যেন বেড়ে গেল। পহেলা বৈশাখে আমার আনন্দ নেই গত সতের বছর। এই দিনে আমরা ঘর থেকে বের হই না তেমন। বড়জোর গ্রামে যাই। বাবাকে দেখে আসি। এই টুকুই আমার কার্যক্রম। এবার অফিসে কাটিয়েছি সারাদিন। অফিস ফেরার পথে হেঁটে হেঁটে মানুষের আনন্দিত মুখ দেখতে দেখতে ভাবছিলাম, যদি এই সময়টা গ্রীষ্ম না হয়ে হেমন্ত হতো। আনন্দটা আরো অনেক উপভোগ্য হতো। আমি একবার লিখেছিলাম, নববর্ষের সময়টা বদলে ফাল্গুনে বা অঘ্রানে নিয়ে যেতে। আমার ক্ষমতা থাকলে তাই করতাম। তোমার থাকলে কী তাই করতে?
পড়াশোনা বন্ধ হয়ে আছে। প্রায় একমাস। আবারো শুরু করতে হবে। Into The Wild নামালাম। এই ছবিটা ভালো হবে বলে বিশ্বাস। কিন্তু আড়াই ঘন্টা নিজস্ব সময় কি হবে? বই পড়া আর সিনেমা দেখার জন্য একান্ত সময় লাগে। আজকাল যা খুব দুর্লভ হয়ে গেছে। জমে যাচ্ছে অনেক না পড়া বই। শুধু সময়ের আকাল না। মননেরও আকাল পড়েছে। বই হাতে নিয়ে আধঘন্টা বসে থাকার পরও একটা পাতাও পড়া হয় না। কেন যেন বই পড়ার জন্য আলাদা একটা মুডের দরকার হয়। মুড বিষয়টা ছেলেবেলায় ছিল না। বুড়ো হতে হতে মানুষ অনেক কিছুর উপর নির্ভরশীল হয়। আমি কি সত্যি বুড়োত্বের পথে এগিয়ে গেলাম? কিন্তু মনের বয়সতো এখনো ২৩।
No comments:
Post a Comment