Monday, September 30, 2024
লেভান্টের দানব
ভূমধ্যসাগরের পূর্ব উপকূলে যেখানে তুরস্ক, লেবানন, সিরিয়া, লেবানন, ইসরায়েল, প্যালেস্টাইনের অবস্থান, সেই এলাকাকে সম্মিলিতভাবে লেভান্ট অঞ্চল বলা হতো। সেটা ছিল পৃথিবীর প্রাচীনতম মানব সভ্যতার কেন্দ্রভূমি। মানবজাতির প্রধান খাদ্যশস্যের প্রাচীন উৎসভূমিও ছিল ওই অঞ্চল। কয়েকশো বছর আগে সেই এলাকা ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র। অটোমান সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে থাকা সেই অঞ্চল দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্যে সুবিধা করতে না পেরেই কলম্বাস, ভাস্কো দা গামাকে পুরো দুনিয়া চষে বিকল্প রাস্তা বের করতে হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সেই সুখী সমৃদ্ধ অঞ্চলে ইসরায়েল নামের একটা বিষফোঁড়া বপন করলো ইউরোপ-আমেরিকার সম্মিলিত শক্তি। চারপাশের আরব দেশের মাঝখানে একটা হাইব্রীড রাষ্ট্র। সেই রাষ্ট্র পুরো লেভান্ট এবং আরব অঞ্চলকে অশান্ত করে রেখেছে গত ৫০ বছর ধরে। এই বিষফোঁড়া যদি পৃথিবী ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়ায় তাতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া দানবীয় তাণ্ডব গাজা ছাড়িয়ে লেবানন ইয়েমেন পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। এটা ইরান তুরস্কসহ আরো অনেক দেশকে যুদ্ধে জড়িয়ে ফেললে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠবে। আর মানবজাতির হাতে যে পরিমাণ বিধ্বংসী অস্ত্র আছে তাতে এই গ্রহের কোনো অংশ রক্ষা পাবে বলে মনে হয় না। যেখানে সরাসরি যুদ্ধ হবে না, সেখানেও মানুষ কাতারে কাতারে মরতে থাকবে দুর্ভিক্ষ আর মহামারীতে। বিষাক্ত বায়ুতে পৃথিবীর প্রাণ প্রকৃতিও অবশিষ্ট থাকবে না। বৃটেন-আমেরিকার পোষ্য এই দানব দুদিন আগে লেবানন আক্রমণ করে ধ্বংসের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু করেছে। নেতানিয়াহু নামের এই দানবকে থামাতে না পারলে ইউরোপ আমেরিকার শান্তিপূর্ণ জীবনও অক্ষত থাকবে না। দেরি হয়ে যাবার আগে তাকে কেউ থামাবে?
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment