ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর থেকে একটা শব্দ খুব বেশি ব্যবহার হচ্ছে। ফ্যাসিবাদ। গত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী দুঃশাসনকে বোঝাতে এই শব্দটা ব্যবহার শুরু হয়। কিন্তু সপ্তাহখানেক বা তার বেশিসময় ধরে খেয়াল করছি শব্দটা অপব্যবহার শুরু হয়েছে। যারা শব্দটার অর্থ বোঝে না, প্রয়োগ বোঝে না তারাও মুখস্থ শব্দটা ব্যবহার করছে। নিজের মতামতের বাইরে কিছু পেলেই তাকেই ফ্যাসিবাদ বলা হচ্ছে। যার ফলে এই শব্দটার আসল অর্থটা হারিয়ে যাবে। আওয়ামী লীগের আমলে যেভাবে রাজাকার শব্দটা যত্রতত্র ব্যবহার করা হতো এখন ফ্যাসিবাদ শব্দটিও সেই পথে যাত্রা শুরু করেছে।
আন্দোলনের সময় বলা হয়েছিল এই বিপ্লবের স্বপ্ন ছিল নতুন কিছু উপহার দেবে। পুরোনো ভুল পন্থাগুলো ঝেড়ে ফেলে নতুন ভাষায় কথা বলবে, নতুন প্রজন্ম বিচক্ষণতার পরিচয় দেবে, সেজন্য অপ্রাপ্তবয়স্ক হলেও সরকারের শীর্ষপদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ছাত্র প্রতিনিধিদের। তারা কোনো রাজনৈতিক পথ ও মতের অনুসারী হবার কথা নয়। কিন্তু সেটা হচ্ছে না।
যা ঘটছে তাতে মনে হচ্ছে পৃথিবীর বৃহত্তম রাজনৈতিক প্রতারণার ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে এখানে। এই নাটকের মঞ্চ হিসেবে বাংলাদেশের এই রেকর্ড কেউ ভাঙ্গতে পারবে মনে হয় না। দুই মাস আগে কেউ কল্পনাও করেনি মুক্তিযুদ্ধ শব্দটাকে ফ্যাসিবাদ শব্দার্থে রূপান্তরিত করার দুঃসাহস কেউ দেখাতে পারবে। এখন সেটাই দেখা যাচ্ছে চারদিকে। সাধারণ মানুষকে এত বোকা মনে করা ঠিক না।
No comments:
Post a Comment