১.
অনেকদিন পর ঢাকা গিয়ে এতটা সময় কাটালাম। বহুবছর পর। চাকরীজীবনের গত বিশ বছরে তো নয়ই। গত বিশ বছরের ঢাকা যাওয়াটা ছিল জেলখানা থেকে পেরোলে মুক্তি পাওয়া আসামীদের মতো। বছরে ছমাসে একবার গেলেও অধিকাংশ সময়ে এয়ারপোর্ট/বাসস্টপ থেকে কর্মক্ষেত্র সেখান থেকে হোটেল কিংবা চট্টগ্রাম। এর বাইরে দুয়েকবার বইমেলা, দুয়েকজন বন্ধুর সাথে আসা যাওয়ার পথে দেখা করেছি। কিন্তু কোথাও গিয়ে পা ছড়িয়ে আলসে ঝরিয়ে কোথাও আড্ডা মারা হয়নি। ফলে ঢাকার পরিচিত অনেক দৃশ্য, অনেক রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, ইমারত বদলে গেছে আমার অজান্তেই। কতটা বদলাতে পারে একটা শহর এবার ঢাকা গিয়েই বুঝতে পারলাম। চেনাপথগুলো খুঁজে বের করতে কষ্ট হয়ে গেল। অনভ্যাসে একা কোথাও যেতে পারি না। কথা ছিল সময় নিয়ে ঢাকা গেলে পুরোনো মুখগুলোকে বের করে ইচ্ছে মতো আড্ডা দেবো। অনেক দিন না দেখা বন্ধু স্বজনদের বাসায় যাবো। কিন্তু হলো না। চারদিন নিজের রুটিনে নিজেই আটকে ছিলাম। যে কাজে গিয়েছি সেই কাজে এমন একটা ঝামেলা লাগলো মুডই নষ্ট হয়ে গেল। আর ঠিক সেরকম মুড না হলে আমি কারো সাথে কথা বলে আড্ডা দিয়ে যুত পাই না। আমার একটা বড় ধরণের সীমাবদ্ধতা এটা। ওই চার দিনে মুষ্টিমেয় খুব ঘনিষ্ট অফলাইন বা অনলাইন দুয়েকজন বন্ধু ছাড়া কারো সাথেই যোগাযোগ ছিল না। ঢাকার পরিচিত কাউকে ডাকতে ইচ্ছে করে নি। কারো বাসায় যেতে ইচ্ছে করেনি। নিজের কাজের ঝামেলা ছাড়াও একটা অনাকাংখিত দুর্ঘটনায়ও মনটা বেজার হয়ে পড়েছিল। পুরোনো একটা ভুলের বড় খেসারত দিলাম। তবুও বলবো অনেক ভালো আছি এখনো। নেপালে যা ঘটেছে সেরকম কিছু এদেশে ঘটলে আমাদের কী অবস্থা হবে কেউ জানে না। এখনো বাকী আছে অনেক দুঃসময়ের। এখনো দেখিনি চুড়ান্ত পতন। প্রকৃতি আমাদের জন্য আরো শাস্তি নিয়ে অপেক্ষা করছে? গরীব দেশের উপর যেন প্রকৃতির আক্রোশ একটু বেশীই।
২.অনেকদিন পর ঢাকা গিয়ে এতটা সময় কাটালাম। বহুবছর পর। চাকরীজীবনের গত বিশ বছরে তো নয়ই। গত বিশ বছরের ঢাকা যাওয়াটা ছিল জেলখানা থেকে পেরোলে মুক্তি পাওয়া আসামীদের মতো। বছরে ছমাসে একবার গেলেও অধিকাংশ সময়ে এয়ারপোর্ট/বাসস্টপ থেকে কর্মক্ষেত্র সেখান থেকে হোটেল কিংবা চট্টগ্রাম। এর বাইরে দুয়েকবার বইমেলা, দুয়েকজন বন্ধুর সাথে আসা যাওয়ার পথে দেখা করেছি। কিন্তু কোথাও গিয়ে পা ছড়িয়ে আলসে ঝরিয়ে কোথাও আড্ডা মারা হয়নি। ফলে ঢাকার পরিচিত অনেক দৃশ্য, অনেক রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, ইমারত বদলে গেছে আমার অজান্তেই। কতটা বদলাতে পারে একটা শহর এবার ঢাকা গিয়েই বুঝতে পারলাম। চেনাপথগুলো খুঁজে বের করতে কষ্ট হয়ে গেল। অনভ্যাসে একা কোথাও যেতে পারি না। কথা ছিল সময় নিয়ে ঢাকা গেলে পুরোনো মুখগুলোকে বের করে ইচ্ছে মতো আড্ডা দেবো। অনেক দিন না দেখা বন্ধু স্বজনদের বাসায় যাবো। কিন্তু হলো না। চারদিন নিজের রুটিনে নিজেই আটকে ছিলাম। যে কাজে গিয়েছি সেই কাজে এমন একটা ঝামেলা লাগলো মুডই নষ্ট হয়ে গেল। আর ঠিক সেরকম মুড না হলে আমি কারো সাথে কথা বলে আড্ডা দিয়ে যুত পাই না। আমার একটা বড় ধরণের সীমাবদ্ধতা এটা। ওই চার দিনে মুষ্টিমেয় খুব ঘনিষ্ট অফলাইন বা অনলাইন দুয়েকজন বন্ধু ছাড়া কারো সাথেই যোগাযোগ ছিল না। ঢাকার পরিচিত কাউকে ডাকতে ইচ্ছে করে নি। কারো বাসায় যেতে ইচ্ছে করেনি। নিজের কাজের ঝামেলা ছাড়াও একটা অনাকাংখিত দুর্ঘটনায়ও মনটা বেজার হয়ে পড়েছিল। পুরোনো একটা ভুলের বড় খেসারত দিলাম। তবুও বলবো অনেক ভালো আছি এখনো। নেপালে যা ঘটেছে সেরকম কিছু এদেশে ঘটলে আমাদের কী অবস্থা হবে কেউ জানে না। এখনো বাকী আছে অনেক দুঃসময়ের। এখনো দেখিনি চুড়ান্ত পতন। প্রকৃতি আমাদের জন্য আরো শাস্তি নিয়ে অপেক্ষা করছে? গরীব দেশের উপর যেন প্রকৃতির আক্রোশ একটু বেশীই।
No comments:
Post a Comment