Friday, April 3, 2015

চৈত্রের মাঝামাঝি

১.
চৈত্র মাসের মধ্যভাগ। অন্যন্য বছর এরকম সময়ে ভ্যাপসা গরম থাকে, উৎকট একটা পরিবেশে শহর গ্রাম সর্বত্র দমবন্ধ একটা পরিবেশ তৈরী হয়ে থাকে। অনেকদিন পর এবছর তার ব্যতিক্রম ঘটিয়ে পুরোনো দিনের চৈতালী হাওয়া ফিরিয়ে নিয়ে এলো। এসময়ে এলোমেলো  বাতাসে ধুলো উড়বে, পাতা ঝরবে, দিনশেষে আকাশ কালো করে ঝড়বৃষ্টি হবে ঘন্টাখানেক, এই নিয়মটা এবছর আবারো দেখলাম। ভালো লাগলো বৃষ্টির ঘ্রাণে নস্টালজিক হয়ে যেতে।

আজ সকাল থেকেই সূর্যের দেখা নেই, বাতাসে বৃষ্টির ঘ্রাণ, রাতেও ঝরেছে, সকালে একটু বিরতি দিয়ে আবারো ঝরলো। ছুটির দিনে বৃষ্টির মতো আনন্দদায়ক বিষয় আর কিছু নেই যদি অন্য সকল মৌলিক চাহিদার যোগান ঠিক থাকে। এই বৃষ্টি থেমে যাবে কিছুক্ষন পর, রোদ উঠবে দুপুরের আগেই, তবু দিনের বাকী অংশ মায়াময় বাতাস বইতে থাকবে।

২.
ব্যস্ততা বাড়েনি তবু সময় কমে গেছে। ব্যাপারটা অদ্ভুত। কাজের সময় কমিয়ে পড়াশোনার জন্য দীর্ঘতম সময় বরাদ্দ রেখেও মনে হচ্ছে কিছুই আগাচ্ছে না। অন্ততঃ লেখালেখিটা কমে গেছে আশংকাজনক হারে। অসমাপ্ত লেখা পড়ে আছে অনেকগুলো। খুচরা কাজে প্রচুর সময় অপচয় হচ্ছে। যখন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত চাকরী করতাম তখন প্রচুর লেখালেখি করতাম, প্রচুর সিনেমা দেখতাম। প্রতিদিন না হলেও দুদিন পর একটা সিনেমা দেখা হতো কমপক্ষে। এখন গত এক মাসে দুটো সিনেমা দেখিনি। এমনকি নেটে আসার সময় হয় না প্রতিদিন। চ্যাটাচেটি তো ভুলেই বসেছি। টাইম ম্যানেজমেন্ট নিয়ে লাগতে হবে মনে হচ্ছে। হাতে সময় সত্যি কম, জমে আছে মেলা কাজ।

৩.
তারপর একদিন মনে পড়বে ফেলে আসা কাজের চেয়ে আরো প্রয়োজনীয় কোন বিষয়। একটা বৃক্ষ, একটা বাগান, ঝরাপাতার কান্না, একদিন সবকিছুই গল্প হয়ে যায়-


আমার ধূসর দুই চোখে চিরসবুজের গাঢ় হাতছানি

তার নাম তুমি;

আমার স্মৃতির অববাহিকায় একটি স্বপ্নের প্রিয় নদী

তুমি নিরবধি।

[মহাদেব সাহা]

ব্যস! এবার স্মৃতি ভেজে খাও। চোখে চশমার পাওয়ার বাড়াও। নতুন চশমা কেনো, নতুন ফ্রেমে দেখো জীবনকে।

No comments: