ধীরগতির ইন্টারনেট খুব সহজেই ধৈর্যচ্যুতি ঘটায় আমার। মেজাজ টং হয়ে যায়। মস্তিষ্ক কতটা ইন্টারনেট প্রভাবিত হলে নেট স্পীডের কারণে কোন একটা সাইট খুলতে দেরী হলে ল্যাপিটাকে তুলে আছাড় দিতে ইচ্ছে করে। তখন খুব আপনা মানুষও কাছে এসে দাঁড়ালে বিনা কারনে ঝাড়ি খায়। নেটের খারাপ অবস্থায় আমার আশেপাশে কারো থাকা নিরাপদ না।
আমি ধীরগতির ইন্টারনেটে অভ্যস্ত না। স্পীডের চাহিদাটা সময়ের সাথে বেড়েছে। ইন্টারনেটের আদিযুগে ডাউনলোড স্পীডের গড় হার ছিল ২কেবির মতো। তখন কেউ ছবি আর ডকফাইলের বেশী কিছু ডাউনলোড করার কথা ভাবতো না। একটা গান ডাউনলোড করা তো স্বপ্নের মতো ব্যাপার। মুভি ডাউনলোড কেউ স্বপ্নেও কল্পনা করতো না। আমি সেই আধা কিলোবাইট থেকে শুরু করে দশ মেগাবাইটে উঠেছি। চুড়ান্ত ভালো স্পীডে দুমিনিটে দেড় ঘন্টার মুভি নামিয়ে ফেলা ডালভাত হয়ে গিয়েছিল। অফিসের কর্পোরেট ব্যাণ্ডউইথে সর্বোচ্চ বাইট আমার দখলে থাকতো। সেখান থেকে যখন আবার Banglalion এর ১ মেগা স্পীডে ফিরে আসলাম তখন প্রত্যাশার মিটার আপনাতেই কমিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু ১ মেগার কানেকশানে যখন ২০কিলো স্পীডও পাইনা, এমনকি শূন্যেও নেমে আসে, তখন মেজাজ ঠিক রাখা খুব কঠিন হয়ে দাড়ায়। আমার ধারণা ইন্টারনেট কোম্পানীগুলো পাবলিকের সাথে ব্যাণ্ডউইথ প্রতারণা করছে। এই ব্যাপারে যখন কোন অভিযোগ করা হয় তখন সুদর্শনা কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভ মধু কন্ঠে যা বলবে তাতে মনে হবে যত দোষ আমার ল্যাপটপের আর আমার বাসার লোকেশানের। সেই কারণেই আমি কাংখিত স্পীড পাচ্ছি না। কিন্তু দুদিন আগেও যে আমি ১০০কিলোতে মুভি নামাইতে পারছি সেটা তিনি কিছুতেই বিবেচনা করবেন না। আমি বাংলালায়নের কথা বললাম, তার মানে এই না যে বাকীগুলাও সাধু। মোবাইল কোম্পানীগুলোর প্রতারণা নিয়ে তো রীতিমতো একটা মহাভারত রচনা করা যাবে। সেদিকে গেলাম না আপাতত। কিন্তু ইন্টারনেট বিরক্তি থেকে কয়েকটা লাইন না লিখে পারলাম না। ইন্টারনেট গত দুই দশকে আমাদের অনেকের অক্সিজেনের মতো হয়ে গেছে। এটা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকলে নিজেকে দম আটকানো মানুষ মনে হয়।
আমি ধীরগতির ইন্টারনেটে অভ্যস্ত না। স্পীডের চাহিদাটা সময়ের সাথে বেড়েছে। ইন্টারনেটের আদিযুগে ডাউনলোড স্পীডের গড় হার ছিল ২কেবির মতো। তখন কেউ ছবি আর ডকফাইলের বেশী কিছু ডাউনলোড করার কথা ভাবতো না। একটা গান ডাউনলোড করা তো স্বপ্নের মতো ব্যাপার। মুভি ডাউনলোড কেউ স্বপ্নেও কল্পনা করতো না। আমি সেই আধা কিলোবাইট থেকে শুরু করে দশ মেগাবাইটে উঠেছি। চুড়ান্ত ভালো স্পীডে দুমিনিটে দেড় ঘন্টার মুভি নামিয়ে ফেলা ডালভাত হয়ে গিয়েছিল। অফিসের কর্পোরেট ব্যাণ্ডউইথে সর্বোচ্চ বাইট আমার দখলে থাকতো। সেখান থেকে যখন আবার Banglalion এর ১ মেগা স্পীডে ফিরে আসলাম তখন প্রত্যাশার মিটার আপনাতেই কমিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু ১ মেগার কানেকশানে যখন ২০কিলো স্পীডও পাইনা, এমনকি শূন্যেও নেমে আসে, তখন মেজাজ ঠিক রাখা খুব কঠিন হয়ে দাড়ায়। আমার ধারণা ইন্টারনেট কোম্পানীগুলো পাবলিকের সাথে ব্যাণ্ডউইথ প্রতারণা করছে। এই ব্যাপারে যখন কোন অভিযোগ করা হয় তখন সুদর্শনা কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভ মধু কন্ঠে যা বলবে তাতে মনে হবে যত দোষ আমার ল্যাপটপের আর আমার বাসার লোকেশানের। সেই কারণেই আমি কাংখিত স্পীড পাচ্ছি না। কিন্তু দুদিন আগেও যে আমি ১০০কিলোতে মুভি নামাইতে পারছি সেটা তিনি কিছুতেই বিবেচনা করবেন না। আমি বাংলালায়নের কথা বললাম, তার মানে এই না যে বাকীগুলাও সাধু। মোবাইল কোম্পানীগুলোর প্রতারণা নিয়ে তো রীতিমতো একটা মহাভারত রচনা করা যাবে। সেদিকে গেলাম না আপাতত। কিন্তু ইন্টারনেট বিরক্তি থেকে কয়েকটা লাইন না লিখে পারলাম না। ইন্টারনেট গত দুই দশকে আমাদের অনেকের অক্সিজেনের মতো হয়ে গেছে। এটা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকলে নিজেকে দম আটকানো মানুষ মনে হয়।
No comments:
Post a Comment