শূণ্যতাবোধ ব্যাপারটা কিরকম? মস্তিষ্কে যখন রক্তসরবরাহ কমে যায় সেটাকে বলে, নাকি ফুসফুসে অক্সিজেনের সংকট দেখা দিলে? মানসিক শূণ্যতাবোধের কোন জৈবিক কারণ আছে? অকস্ম্যৎ কোন দুসংবাদে কিংবা প্রচন্ড হতাশা থেকে এই শূণ্যতাবোধের জন্ম হতে পারে। মানসিক চাপ বা ডিপ্রেশান থেকেও।
প্রেম ভালোবাসার ক্ষেত্রে শূণ্যতাবোধটা আসে রোমান্টিক সময়ের হঠাৎ মৃত্যু ঘটলে। তখন ব্যক্তিভেদে একেকজন একেক আচরণ করে। মেয়েটা ঘরে দোর দিয়ে একা একা বালিশ ভিজিয়ে কাঁদে,আড়াইবেলা খিদে নেই বলে না খেয়ে থাকে, দুদিন পর বান্ধবীদের আড্ডায় গিয়ে কষ্ট ভুলে যায়। বান্ধবীর নতুন কেনা মোবাইল দেখে খিলখিল হাসিতে মেতে ওঠে।
আর ওদিকে ছেলেটা সিগারেটে আগুন দিয়ে রাস্তায় রাস্তায় বেহুদা ঘুরে,এই জীবন লইয়া কি করিব ভাবতে থাকে, হাটতে হাটতে মোড়ের দোকানে কাবাবের গন্ধ পেলে খিদে চনমনিয়ে উঠে। তারপর আগে পেটপুজো, তারপর প্রেম ভালোবাসা, এই চিন্তা নিয়ে ভরপেট তন্দুরি কাবাব খেয়ে রাস্তায় বেরুতেই পৃথিবীটা সুন্দর দেখায়। একটা রিকশা ডেকে বাসায় ফিরতে ফিরতে বৃষ্টিভেজা তাজা বাতাসে ঘ্রান নিতে নিতে ভাববে, আহ, মেয়েটা বুঝলো না, কাবাবটা ওকে নিয়েই খাবার কথা ছিল।
প্রেম ভালোবাসায় কেউ কারো জন্য বেশীদিন শূণ্য থাকে না।
কিন্তু যে পিতামাতা সন্তান হারায়। সন্তানকে টিফিনবক্স হাতে স্কুলে পাঠিয়ে বাসায় তার প্রিয় মাছভাজা প্লেটে সাজিয়ে অপেক্ষারত মা যখন কলিংবেলের শব্দ শুনে দরোজা খুলে অচেনা একজনের কাছে শোনে, তার সন্তান স্কুল থেকে ফেরার পথে ট্রাকচাপা পড়ে এখন হাসপাতালের মর্গে, তখন তার কেমন শূণ্যতাবোধের সৃষ্টি হয়? এই শূণ্যতাবোধ কখনো শেষ হবে না।
No comments:
Post a Comment