বাংলাদেশের দুরারোগ্য রাজনৈতিক ব্যধি আবারো চাড়া দিয়েছে। ভুল করার জন্যই আমরা নির্বাচিত করেছি গণতান্ত্রিক সরকারকে। ভুল করা গণতন্ত্রের স্বাভাবিক আচার। রাজনীতিবিদগন যুগযুগ ধরে ভুল আচরণ করে যাবে, আর দারিদ্রকে আমাদের নিয়তি বলে মেনে নেবো। বাংলাদেশের জন্মের পর থেকে ৪০ বছরে নিরংকুশ স্বস্তিকর কোন বছর আমরা পাইনি। ১/১১ এর আগে যে নির্বাচন পরিকল্পনা হয়েছিল তাতে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির রাজনীতি ক্ষমতাবান হতো, কিন্তু অপ্রত্যাশিত একটা তৃতীয় পক্ষের বাগড়ার কারণে পরিকল্পনাটা সফল হলো না। যথারীতি নির্বাচন হলো, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ জয়ী হলো। একটা স্বস্তি এবং আশংকাজনক ফলাফল ছিল। কারণ এত বেশী আসন দেশের ইতিহাসে কোন দল পায়নি। অতি আত্মবিশ্বাস একটা দলকে চুর্ন করে দেয়। সেই সাথে দেশকেও। বর্তমানে আশংকারই বাস্তবায়ন ঘটছে। আওয়ামীলীগ একের পর এক আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশকে সংঘাতের মুখোমুখি দাড় করিয়ে দিচ্ছে। আমরা এই দুষ্ট চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে পারলাম না। গত বিশ বছরের গনতন্ত্রের ইতিহাসে একই চিত্র ঘুরে ফিরে আসছেই।
-জঙ্গী মৌলবাদী রাজনীতির উত্থান ঘটেছে দেশে। আগাছার মতো বাড়ছে জঙ্গীবাদী ধর্মীয় সংগঠনগুলো।
-যুদ্ধাপরাধীর বিচার আদৌ হবে কিনা তা নিয়ে ঘোর সংশয় দেখা যাচ্ছে। সরকার অপ্রয়োজনীয় ইস্যুতে দেশকে উত্তপ্ত করছে
-অর্থনীতির সার্বিক অবস্থা আংশকাজনক। আইনশৃংখলা, দ্রব্যমূল্য এবং মুদ্রাস্ফীতি প্রতিযোগিতামূলক উর্ধগতিতে আছে।
-গণতন্ত্র নামক সোনার হরিন বাংলাদেশ কখনোই দেখেনি। আমাদের কাছে গণতন্ত্র অন্ধের হস্তিদর্শনের মতো।
No comments:
Post a Comment