রাতে ঘুমোবার আগে একবার ঘরের বাইরে যেতে হয়। ধূমপান প্রাণঘাতী জেনেও শ্বেত ফিল্টারের একটা তামাক শলাকা দুই ঠোঁটে চেপে রেখে একটা দিয়াশলাই কাঠির মাথা দিয়ে তার ঘরের পার্শ্বদেয়ালে আঘাত করতে হয়। সেই ছোট্ট বিষ্ফোরণের শিখা থেকেই বিশুষ্ক তামাক শলাকা যোগাড় করে নেয় প্রয়োজনীয় আগুন।
সিগারেটের কমলা আগুন থেকে আহরিত ধোঁয়া বুকের খাঁচা হয়ে অন্ধকার আকাশে উড়ে যাবার আগে নিকোটিনের দাগ বসিয়ে দেয় ফুসফুসের কোথাও। সেই দাগ কখনো মুছবে না।
তবু সেই ধোঁয়া রেখাকে আকাশমুখী দেখার জন্য আমাকে প্রত্যেক সন্ধ্যায় একবার আগুন দিতে হয় তামাক শলাকায়। কারণ সেই আকাশমুখী ধোঁয়ার ভেতর আমি কারো নিমগ্ন ছায়া খুঁজে পাই। সেই ছায়াতে নিমজ্জিত হয়ে থাকি কিছুক্ষণ। বিদ্যমান সকল রহস্যের মায়াজাল সরিয়ে, অনধিকারের সীমানা পেরিয়ে ওই সময়ে সে কেবল আমার হয়ে যায়। আমি তাহাতে আশ্রয় নেই, সে আমাতে আশ্রয় পায়।
সিগারেটে আমার নেশা নেই, আমার নেশা তাহাতে। আমি তাহাকে অনুভব করার জন্যই আগুন জ্বালাই, ধোঁয়া ওড়াই।
মানুষ জানে আমার ফুসফুস পুড়ে যাচ্ছে।
আমি জানি পুড়ছে আমার হৃদয়।
কেবল..... সে কিছুই জানে না।
No comments:
Post a Comment