...............................................
'বাড়িওয়ালা' প্রতিদিন ১৫-২০ বার কলিং বেল টিপে খোঁজ খবর করে কি কি লাগবে আমাদের। শুনে বেশ ভালো লাগছে, তাই না? ভালো লাগারই কথা। এবার দেখি বাড়িঅলা কি কি জিনিস জিজ্ঞেস করে-
.
১. আমাদের লাকড়ি লাগবে কিনা (বাড়িওয়ালার একটা লাকড়ির দোকান আছে)
২. আমাদের কারো ডায়রিয়া/আমাশয়/জ্বর/ সর্দি হয়েছে কিনা (বাড়িওয়ালার ওষুধের দোকান আছে)
৩. আমাদের ফল ফুলের গাছ লাগবে কিনা (বাড়িওয়ালার একটা নার্সারী আছে)
৪. আমাদের টেলিভিশন/ ফ্রিজ/ ওভেন লাগবে কিনা (বাড়িওয়ালার ইলেকট্রনিকসের দোকান আছে)
৫. আমরা গাড়ি/মোটরসাইকেল কিনবো কিনা (বাড়িওয়ালার গাড়ির দোকান আছে)
৬. আমরা বিদেশ ভ্রমণে বেরুবো কিনা (বাড়িওয়ালার ট্রাভেল এজেন্সি আছে)
৭. আমরা ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা গরু/ছাগল জবাই করবো কিনা (বাড়িওয়ালার বাঁধা হুজুর/কসাই আছে)
৮. আমরা নাইট ক্লাবে গিয়ে ফুর্তি করবো কিনা (বাড়িওয়ালার ডিসকো ক্লাবের লাইসেন্স আছে)
৯. আমাদের কাতুকুতু দিয়ে হাসানো লাগবে কিনা (বাড়িওয়ালার কৌতুকশিল্পী আছে)
১০. আমাদের কেউ মারা গেছে কিনা, কান্না করার লোক লাগবে কিনা (বাড়িওয়ালার সর্বকর্মের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট আছে)
.
প্রশ্নগুলো খুব অদ্ভুত এবং অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়? হতে পারে। তবে এই 'বাড়িওয়ালা'রা এরকম অদ্ভুত প্রশ্নই করছে। শুধু তাই না আরো আছে মূল্যছাড়/মূল্যকম/ফিসফাস/টুকটাক/বিশেষ সুযোগ/বিশেষ অফার। প্রতিদিন প্রতি ঘন্টায় ঘুরে ফিরে একই প্রশ্ন বারবার, দিনের পর দিন, মাসের পর মাস। এই প্রশ্নগুলো করার জন্য আমাদের কলিং বেলটা কিছু সময় অন্তর অন্তর বাজতে থাকে। এখন তিতিবিরক্ত হয়ে এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে যে কলিং বেল বাজলেও অনেক সময় জিজ্ঞেস করি না 'কে'। দরোজাও খুলি না। বেল বাজুক, আমি চোখ বুজে থাকি। অতিথি এসে ফিরে যায় রেগেমেগে। আত্মীয় বন্ধুর সাথে সম্পর্ক হুমকির মুখে।
.
এই অদ্ভুত বাড়িওয়ালাটির নাম জানতে চান?
.
যে কোন একটা মোবাইল কোম্পানীর নাম বসিয়ে নেন 'বাড়িওয়ালা'র জায়গায়, কলিং বেলের জায়গায় 'রিংটোন'। উত্তর পেয়ে যাবেন। প্রতিটা মোবাইল কোম্পানী থেকে দিনে কতবার অনাহুত অটোমেটেড কল- মেসেজের উৎপাত সহ্য করতে হয় আমাদের? আমার বয়স/পেশা/রুচি/ধর্ম/রোগ/ কোন কিছু বিবেচনা না করে সারাদিন এসব অপ্রয়োজীয় কল-মেসেজ আসতে থাকবে এবং এই উৎপাত সহ্য করেই যাবো দিনের পর দিন?
মোবাইল কোম্পানীগুলোকে মাঝে মাঝে CSR প্রোগ্রাম করতে দেখি। কিন্তু কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটিতে কী মানুষকে সম্মান জানাবার বিষয়টি পড়ে না? মানুষের প্রাইভেসিকে সম্মান জানানো শেখাতে কি আইন প্রয়োগ করতে হবে মোবাইল কোম্পানীগুলোর বিরুদ্ধে? এসব অটোমেটেড কলের উপদ্রপ থেকে বাঁচতে হলে আমাদের কী করতে হবে?
'বাড়িওয়ালা' প্রতিদিন ১৫-২০ বার কলিং বেল টিপে খোঁজ খবর করে কি কি লাগবে আমাদের। শুনে বেশ ভালো লাগছে, তাই না? ভালো লাগারই কথা। এবার দেখি বাড়িঅলা কি কি জিনিস জিজ্ঞেস করে-
.
১. আমাদের লাকড়ি লাগবে কিনা (বাড়িওয়ালার একটা লাকড়ির দোকান আছে)
২. আমাদের কারো ডায়রিয়া/আমাশয়/জ্বর/ সর্দি হয়েছে কিনা (বাড়িওয়ালার ওষুধের দোকান আছে)
৩. আমাদের ফল ফুলের গাছ লাগবে কিনা (বাড়িওয়ালার একটা নার্সারী আছে)
৪. আমাদের টেলিভিশন/ ফ্রিজ/ ওভেন লাগবে কিনা (বাড়িওয়ালার ইলেকট্রনিকসের দোকান আছে)
৫. আমরা গাড়ি/মোটরসাইকেল কিনবো কিনা (বাড়িওয়ালার গাড়ির দোকান আছে)
৬. আমরা বিদেশ ভ্রমণে বেরুবো কিনা (বাড়িওয়ালার ট্রাভেল এজেন্সি আছে)
৭. আমরা ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা গরু/ছাগল জবাই করবো কিনা (বাড়িওয়ালার বাঁধা হুজুর/কসাই আছে)
৮. আমরা নাইট ক্লাবে গিয়ে ফুর্তি করবো কিনা (বাড়িওয়ালার ডিসকো ক্লাবের লাইসেন্স আছে)
৯. আমাদের কাতুকুতু দিয়ে হাসানো লাগবে কিনা (বাড়িওয়ালার কৌতুকশিল্পী আছে)
১০. আমাদের কেউ মারা গেছে কিনা, কান্না করার লোক লাগবে কিনা (বাড়িওয়ালার সর্বকর্মের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট আছে)
.
প্রশ্নগুলো খুব অদ্ভুত এবং অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়? হতে পারে। তবে এই 'বাড়িওয়ালা'রা এরকম অদ্ভুত প্রশ্নই করছে। শুধু তাই না আরো আছে মূল্যছাড়/মূল্যকম/ফিসফাস/টুকটাক/বিশেষ সুযোগ/বিশেষ অফার। প্রতিদিন প্রতি ঘন্টায় ঘুরে ফিরে একই প্রশ্ন বারবার, দিনের পর দিন, মাসের পর মাস। এই প্রশ্নগুলো করার জন্য আমাদের কলিং বেলটা কিছু সময় অন্তর অন্তর বাজতে থাকে। এখন তিতিবিরক্ত হয়ে এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে যে কলিং বেল বাজলেও অনেক সময় জিজ্ঞেস করি না 'কে'। দরোজাও খুলি না। বেল বাজুক, আমি চোখ বুজে থাকি। অতিথি এসে ফিরে যায় রেগেমেগে। আত্মীয় বন্ধুর সাথে সম্পর্ক হুমকির মুখে।
.
এই অদ্ভুত বাড়িওয়ালাটির নাম জানতে চান?
.
যে কোন একটা মোবাইল কোম্পানীর নাম বসিয়ে নেন 'বাড়িওয়ালা'র জায়গায়, কলিং বেলের জায়গায় 'রিংটোন'। উত্তর পেয়ে যাবেন। প্রতিটা মোবাইল কোম্পানী থেকে দিনে কতবার অনাহুত অটোমেটেড কল- মেসেজের উৎপাত সহ্য করতে হয় আমাদের? আমার বয়স/পেশা/রুচি/ধর্ম/রোগ/ কোন কিছু বিবেচনা না করে সারাদিন এসব অপ্রয়োজীয় কল-মেসেজ আসতে থাকবে এবং এই উৎপাত সহ্য করেই যাবো দিনের পর দিন?
মোবাইল কোম্পানীগুলোকে মাঝে মাঝে CSR প্রোগ্রাম করতে দেখি। কিন্তু কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটিতে কী মানুষকে সম্মান জানাবার বিষয়টি পড়ে না? মানুষের প্রাইভেসিকে সম্মান জানানো শেখাতে কি আইন প্রয়োগ করতে হবে মোবাইল কোম্পানীগুলোর বিরুদ্ধে? এসব অটোমেটেড কলের উপদ্রপ থেকে বাঁচতে হলে আমাদের কী করতে হবে?
No comments:
Post a Comment