Tuesday, July 22, 2014

ফতমে ডং গসসো খেনো?

আকাশে মেঘটেঘ দেখলে মনটা একটু উদাস হয়। বাঙালী মনের ধরণটাই এরকম। একটু দুঃখ দুঃখ ভাব নিয়ে মেঘ দেখবে, বৃষ্টির গান শুনবে, স্মৃতিচারণ করবে। এই দুঃখবোধ আসলে সত্যিকারের কোন দুঃখ না। সুখী জীবনের কোন একটা অংশ দুঃখের এই প্রকাশ। জীবনকে যারা উপভোগ করে তারাই এই দুঃখ বিলাস করে। সত্যিকারের যন্ত্রণা নিয়ে যারা দিন কাটায় তাদের এই বিলাসীতার অবকাশ একেবারেই নেই। মাঝে মাঝে ভালো সময়ে আমিও এই দুঃখবিলাসে জড়াই। বৃষ্টির ছাঁটের মধ্যে অচেনা কোন স্মৃতির কান্না খুঁজি, খুঁড়ে খুঁড়ে বেদনা বের করি সুখের অতল থেকে। কারণ আমি নিজেও আদি অকৃত্রিম বাঙালী।

আজ সকালের মেঘলা আকাশ, ঝড়ো হাওয়া, জানালার কাঁচে আছড়ে পড়া বৃষ্টি দেখতে দেখতে উদাস হয়ে ভাবছিলাম আজ দিনটা খারাপ না। এখনো কোন দুঃসংবাদ পীড়িত করেনি। ফেসবুকে বন্ধুদের কয়েকটা টোকা দিয়ে চোখে পড়লো একটা মজার লেখা। এটা ইতিমধ্যে অনেকের পড়া হয়েছে ফেসবুকে। আমি তবু কপি করে রাখার লোভটা সংববরন করতে পারলাম না।

চাটগাইয়া প্রেমালাপ

আশিকঃ Hi, খি গত্তেসো?
তানিয়াঃ বাত কাচ্চি।
আশিকঃ ওবাইজ্জাখোদা! লুজা লাকোনি থুমি?...
তানিয়াঃ নাহ।
আশিকঃ খেনো?
তানিয়াঃ আম্মু মানা গসসে। আমার ফরীক্ষা ছলতেসে তো, ফুরাদিন লুজা তাকলে মন দিয়ে ফত্তে ফারবো না। সেজইন্ন সবগুলা লাকতে অবেনা। শুক্কুরবারে লাকতে বলসে।
আশিকঃ আচ্চা... খি দিয়ে বাত কাচ্চো?
তানিয়াঃ ডাইন আত দিয়ে।
হি হি হি...
আশিকঃ আল্লা! আমি মনে গসসি মুক দিয়ে কাচ্চো। হো হো হো...
তানিয়াঃ থুমি বেসি বান্দর অই গেসো। থুমাকে মাইর দিতে অবে।
আশিকঃ দ না! আমি খি থুমাকে দরে লাকসি?
তানিয়াঃ হুমম... বাত কানা শেষ।
আশিকঃ বালো। খালকে খি ফরীক্কা থুমাদের?
তানিয়াঃ ইংলিশ ফতম ফত্র।
আশিকঃ ঠেনসটা বালো গরে ফড়বা। ফুরো ইংলিশ সাবজেক্ট ঠেনসের উফর।ঠেনস যথ বালো ফারবা ইংলেজিত থথ বেশি লম্বর ফাবা।
তানিয়াঃ ওবুক! থুমি তো বৌত কিসু ঝানো!
আশিকঃ হুমম...আমি ইংলিশে অনাস গত্তেসি তো...
তানিয়াঃ ওমারে! থুমি বেশি ফাখাফাখি গরো।
আশিকঃ ফাখাফাখি না গরলে মাইয়া ফঠাতে ফারবো নাথো।
তানিয়াঃ হইসে আর বেড বেড গত্তে অবে না। লুজা তেকে মানুষ এথ খতা খেমনে বলে! মারেম্মা!
আশিকঃ খে বেড বেড গত্তেসে? আমি না থুমি? ফল হন্ডেয়ার!
তানিয়াঃ থুমি ফল!
আশিকঃ তাপ্পর হাবে একন!
তানিয়াঃ থুমি কাবে!
আশিকঃ আমি কাবো না। লুজা তাকসি।
তানিয়াঃ হা হা হা... বান্দর।
আশিকঃ থানিয়া...থুমাকে একটা খতা বলবো।
তানিয়াঃ বলো।
আশিকঃ থুমার সুকগুলো কুব ঠানা ঠানা । আমার মনে খয়, সারাদিন থাকাই তাকি।
তানিয়াঃ যাহ্! আমার শরম লাগতেসে! থুমি লুজা তেকে এগুলো কি সুরু গসসো?
আশিকঃ চ্যরি...আচ্চা একটা খতা বলি?
তানিয়াঃ একন বলসো না একটা!
আশিকঃ হিটা না, আলেকটা।
তানিয়াঃ ও.খে। বলো।
আশিকঃ আমি থুমাকে অনেক বালোবাশি। থুমার মথামথ কি? থুমি খি আমাখে বালোবাশো?
তানিয়াঃ আমার খাজ আসে। কুদা হাফেজ। ফরে কতা হবে। বাই।
আশিকঃ আমার ফশ্নের উত্তর দি যাও!
তানিয়াঃ খিসের ফশ্ন?আমি খিসু শুনি নাই। ফরে কতা অবে, বাই।
আশিকঃ ফরে আর কথা অবে না। আমি আজখে তেকে আমার পেসবুকের একাউন্ট ডিট্টেবেট গরে দিব।
তানিয়াঃ দাওগা। আমাখে বলতেসো খেনো?
আশিকঃ আচ্চা, বাই। বালো তেকো। কুদাফেজ।
তানিয়াঃ এই শুনো! এথ ফাট দেকাও কেন?
আশিকঃ খে দেকাসসেদে ফাট? আমি না থুমি?
তানিয়াঃ থুমি একটু বেশি মাতো। খতা খম বলবে।
আশিকঃ হুমম... আমি আর খতাই বলবো না। থুমি খি আমার ফশ্নের উত্তরটা দিবে?
তানিয়াঃ হুমম...
আশিকঃ হুমম... খি? হ্যাঁ নাখি না?
তানিয়াঃ হ্যাঁ... আমিও থুমাকে বালুবাশি।
আশিকঃ থুমিও বাজী... এত লং গত্তে জানো যে!
ফতমে ডং গসসো খেনো?

......................................................................................................

হাসির গল্প কি? হাসতে হাসতে তবু চেয়ার থেকে পড়ে যাচ্ছি কেন।

2 comments:

Life is Fun said...

লেখাটা আমার। ২০১৪ এর রোজার মাঝামাঝিতে আমার ফেসবুক পেজ 'গোধূলি কথা'তে 'ফেসবুক পেম ইন ছিটাং' শিরোনামে প্রথম পোষ্ট করি এটা। এরপর কপি পেস্টের দুনিয়ায়, আমার লেখাটি অভিবাবকহীন কালেক্টেড লেখায় রূপান্তরিত হয়ে গেল।

নীড় সন্ধানী said...

আপনার অরিজিনাল পোস্টের ফেসবুক লিংকটা দিয়ে দিন। এডিট করে সুত্র উল্লেখ করে যুক্ত করে দেয়া যাবে পোস্টে। ফেসবুকে এটা সুত্রহীন পোস্ট হিসেবেই প্রচারিত হচ্ছে বলে কালেকটেড হিসেবেই দেয়া।