Thursday, September 27, 2012
তোমাকে সেদিনের শাড়িতে
রবিবার ২৩ মার্চ
-তুমি সেদিন একটা সাদা জামদানী পরেছিলে
-সাদা নয়, ঘিয়ে
-ঈদের শাড়িতে তোমাকে অপরূপা লাগছিল
-তুমি তাকাওনি বেশীক্ষণ
-আমি তোমাকে একান্তে চেয়েছিলাম
-বলোনিতো!
-একদিন বলেছিলাম
-কবে?
-আরো একদিন তুমি শাড়ি পরেছিলে রাস্তায় দেখা আমার সাথে
-তুমি আমাকে দেখতে এসেছিলে?
-আমি তোমাকে নিয়ে যেতে এসেছিলাম, শাড়িতে তুমি অপরূপা ছিলে
-আমার ভীষণ লজ্জা লাগছিল শাড়িতে
-তুমি জানতে না কতটা আলো ছড়িয়েছিলে তুমি সেই বিকেলে, আমি তোমাকে দেখতে চেয়েছিলাম আরো কিছুক্ষণ
-বলেছিলে, তবু আমি শাড়ি বদলাতে চলে গিয়েছিলাম
-সেই অপূর্ব শাড়ির রূপ আমি আর কখনো দেখিনি
-তুমি এত বছরে কখনোই কিছু বলোনি পরে
-সেদিনই বলেছিলাম, আরো একটু থাকতে যদি শাড়িটা পরে
-সেদিন আমি সসংকোচে জড়িয়ে যাচ্ছিলাম
-তোমাকে সেই শাড়িতে আরেকটু দেখতে না পাওয়ার আক্ষেপ আমার সারাজীবনও যাবে না।
-এত কিছু মনে থাকে কেন এত বছরেও!
-কিছু কথা খোদাই করা থাকে স্মৃতির দেয়ালে।
মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ
-কাশবরন শাড়িতে যখন তোমাকে পৃথিবীশ্রেষ্ঠা দেখাচ্ছিল, তুমি আমাকে সেই দৃশ্য দেখা থেকে বঞ্চিত করলে
-আমি তখন পথের মাঝে, কোথায় দাঁড়াবো?
-তুমি আমার পাশে, আমার ছায়ায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারতে না?
বৃহস্পতিবার ২৭শে মার্চ
-সেদিনের শাড়িতে তোমাকে অপরূপা লেগেছিল
-আমি আয়না দেখিনি সেদিন
-তুমি কার জন্য সেজেছিলে আমি জানি না
-আমি আমার জন্য সেজেছিলাম, তোমার সামনে পড়ে গিয়েছিলাম হঠাৎ
-আমি তোমার মতো শাড়িতে এত সুন্দর আর কোন রমনী দেখিনি
-তোমাকে পাইনি বলে আমি শাড়ি পরাই ছেড়ে দিয়েছি!
-কী চমৎকার লাগে এরকম মিথ্যেগুলো শুনতে!!
শুক্রবার ২৮শে মার্চ
-সেদিনের শাড়িতে তোমাকে দেখার তীব্র তৃষ্ণা জেগে উঠেছিল,আরো কিছুক্ষণ শাড়িতে তুমি থাকতে পারতে। বাঁক ঘুরতেই তোমার মুখোমুখি, নিরালা গলির শেষ প্রান্তে তোমাদের বাড়ি, তুমি নিমন্ত্রণ সেরে বাড়ি ফিরছিলে আর আমি তোমাকে দেখার জন্য যাচ্ছিলাম। আমি নিশ্চিত তুমি জানতে না আমি কেবল তোমাকে দেখার জন্যই ওই বাড়ির সিড়িতে পা রাখতাম। শাড়িতে তোমাকে অপরূপা দেখাচ্ছিল। আমি তোমাকে অমন শাড়িতে আগে কখনো দেখিনি। তুমি রূপ লুকোচুরি করতে, কখনোই সাজতে না আমার জন্য। তোমার সুন্দর দেখার জন্য এতটা তৃষ্ণার্ত ছিলাম আমি, তুমি খেয়ালই করতে না। সেদিনের শাড়িতে মুগ্ধতা ছড়িয়ে যখন আমি তোমাকে দেখছিলাম তুমি লজ্জায় মরে গেলে। তাড়াতাড়ি নিজের ঘরে গিয়ে শাড়িটা বদলে সাধারণ হয়ে এলে। আমি তখন শাড়িতে তোমাকে দেখার তৃষ্ণায় তখন মরে যাচ্ছি। মুখ ফুটে বলা হয়নি কিছু। তুমি জানলে না তেইশের যুবক উনিশের তরুণীর জন্য কতখানি প্রেম জমা করে রেখেছিল গোপন খাঁচায়।
-প্রতিদিন প্রতিদিন একই কথা। শুনতে তবু কি যে ভালো লাগছে! বলো, আবার কি শাড়ি পরে দাঁড়াবো এসে?
-এখন সেই শাড়ি নেই, সেই সময় নেই, সেই তুমি নেই, সেই আমি নেই, কি হবে এখন এসে দাঁড়িয়ে?
-তবু তোমার বুকের ভেতরে দুই যুগ ভাঁজ করে রাখা শাড়িটা দিয়ে আমাকে একবার জড়িয়ে নেবে না?
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment