Tuesday, June 5, 2012

তৃতীয় মাত্রা

১.
আমরা যেসব মানুষকে পছন্দ করি, তাদের প্রায় সবকিছু মেনে নেই। এমনকি সে অন্যায় করলে তাতেও আপত্তি করি না। আবার সেই মানুষের উপর আমাদের একটা প্রত্যাশাও তৈরী হয়ে যায়। প্রত্যাশিত গুনাবলী তার মধ্যে আছে কিনা জানি না তবু আশা করে বসি সে আমার প্রত্যাশামতো আচরণ করবে। যদি মনে মনে করা প্রত্যাশার সাথে মিল পাওয়া না যায় তখনই ধাক্কা লাগে।

২.
আমার পছন্দের মানুষকেও ঘৃনা করি সময়ে সময়ে ভুল আচরণের কারণে। খুব প্রিয় বন্ধু/বান্ধবী যখন রাগের সময় বলে বসে আই হেট ইউ, তখনকার জন্য সেটা সত্য। আবার যখন মেজাজ ঠান্ডা হয় তখন হেইট থাকে না তার মনে, কিন্তু হেইট করা বন্ধুর কলিজায় ওটা দগদগে ঘা করে দিয়ে গেছে। তাই স্বাভাবিক সময়ে কেবল সরি না বলে আলগা কিছু ভালোবাসার মলম প্রয়োগ করা উচিত যাতে সেই ক্ষত কিছুটা হলেও চাপা পড়ে।

৩.
বিশ্বাস ও সন্দেহ দুটোই বিপরীত ধারণা। এরা একে অন্যকে যখন তখন খুন করতে পারদর্শী। তাই এই দুয়ের সহাবস্থান সম্পর্কের জন্য নিরাপদ নয়।

৪.
সম্পর্ক মানে প্রেম নয়, সম্পর্ক মানে বন্ধুতা নয়, সম্পর্ক মানে আত্মীয়তা নয়। এই তিনটাই সম্পর্কের আওতাভুক্ত কিন্তু প্রত্যেকটির ভিত্তিমূল আলাদা। যদি ভিত্তিটা মজবুত থাকে তবে সন্দেহের তীরবিদ্ধ হয়েও সম্পর্ক অবিচল থাকতে পারে।

৫.
সীমাবদ্ধতা বেশীরভাগ সক্ষম মানুষের অসহায়ত্ব।

৬.
নাই বলেই আমি বুঝি থাকাটা কতো আনন্দের।

৭.
তৃতীয় মাত্রাটা নতুন আবিষ্কার। এটা নতুন একটা জগত তৈরী করে। ওই জগতে নিরুপদ্রপে অন্য একটা জীবন যাপন করা যায়। যে জীবন প্রথম দ্বিতীয় মাত্রার মানুষের পক্ষে অসম্ভব, তৃতীয় জীবনে তা খুব সহজ।

No comments: