ভার্সিটি থেকে ফিরে ঘুমিয়েছিল রাকিব। ট্রেন জার্নিটা এত ক্লান্তিকর যে শহরে পৌঁছাতে পৌঁছাতে শরীরটা ভেঙ্গে পড়ে। সোয়া দুটোয় বটতলীতে পৌঁছায় ট্রেন। বাসায় ফিরে রিকশা কিংবা বাসে। গোসল সেরে খেতে বসতে বসতে তিনটা পার হয়ে যায়। খেয়ে বিছানায় গড়িয়ে পড়লেই চোখের পাতা দুটো ভারী হয়ে আসে। দুপুরের এই ঘুমটা রাতের চেয়েও গভীর। মড়ার মতো ঘুমায় সে।
এই গাঢ় গভীর ঘুমটাও ভেঙে যায় আমিনউদ্দিনের কন্ঠ শুনে। আমিনউদ্দিন সাহেব রূপার চাচা। রুপার বাবা রাকিবের বাবার বন্ধু। চরম ঘনিষ্ঠ বন্ধু। দুই পরিবারের মধ্যে যাতায়াতের ঘনিষ্ঠতা আত্মীয়ের চেয়েও বেশী ছিল। রূপাদের সব ঘনিষ্ট আত্মীয়ের যাতায়াত ছিল রাকিবদের বাসায়, তেমননি রাকিবদের সব ঘনিষ্টজনের যাতায়াত রূপাদের বাসায়। রূপা এবার ইন্টার দেবে। রাকিব ভার্সিটিতে সেকেন্ড ইয়ারে। তিন বছর ধরে সেকেন্ড ইয়ারে পড়ছে রাকীব সেশান জটের কারণে। শিবির একটা খুন করলে ভার্সিটি দেড় বছর বন্ধ থাকে নব্বই সালে। তাই নব্বই সালে সেকেন্ড ইয়ারে পড়লেও বিরান্নব্বই সালে এসেও সে সেকেন্ড ইয়ারে। এটা নিয়ে রূপা প্রায়ই ঠাট্টা করে রাকিবের সাথে।
এরকম কাছাকাছি বয়সের দুটো তরুন তরুনীর মধ্যে দুমাসের মধ্যেই প্রেম ঘটে যায়। কিন্তু রূপার সাথে সেরকম কিছু দেখেনি পাড়াপড়শিরা। ওদের সন্দেহও করেনি কেউ কখনো। করার কথাও না। ওরা কখনো লুকিয়ে চুরিয়ে দেখা করেনি। যা আড্ডা হয় সবার সাথেই। রাকিব নিজেও কখনো ভাবেনি সেরকম কোন ব্যাপার। তবে রূপার সাথে কথা বলতে ওর ভালো লাগে। ওদের বাসায় গেলে রূপার সাথেই ওর বেশী আড্ডা হয়। রুপারা পাঁচ ভাইবোন। কিন্তু রাকিবের নিকটবর্তী বয়সের আছে তিন বছরের জুনিয়র রূপা। সেই কারণেই বন্ধুত্বটা এই দুজনের মধ্যেই গড়ে উঠেছে।
ওরা কেমন বন্ধু একটা উদাহরণ দেই।
রাকিব ওদের বাসায় গেলে প্রথমে খালাম্মার সাথে কথা বলবে। কুশলাদি আলাপের কিছু সময় পর রূপার ছোট ভাইবোনগুলো আসবে, অনুযোগ করবে - 'রাকিব ভাই এবার অনেকদিন পর এলেন। আজকে অনেকক্ষণ থাকতে হবে'। তারও অনেক পর নিজের ঘর থেকে উষ্কো চুলের পরীর মতো বেরিয়ে আসবে রূপা। এসে খানিকটা হতাশ ভঙ্গিতে বলবে, ও আপনি? কখন এলেন? পাকা অভিনেত্রী! যেন অন্য কারো আসার কথা। রাকিব মৃদু হেসে বলবে, এই তো এখন। ঘুমোচ্ছিলে নাকি? রূপা সংক্ষিপ্ত জবাব দেবে, হু। আর কোন কথা নাই। মুখ ধুতে চলে যাবে সে।
এরপর নাস্তা আসবে। খালাম্মা জোর করে খাওয়াবে। সে না না করেও অনেকখানি খেয়ে ফেলবে। রূপাদের টেবিলে অনেক মজাদার খাবার সজ্জিত থাকে সবসময়। রাকিবের কখনোই আপত্তি থাকে না এই বাসায় খাওয়াদাওয়ায়। নিজের ঘর মনে করেই খায় সে। নাস্তা খেয়ে রাকিব বারান্দার দিকে চলে যাবে।
বারান্দায় ছোট্ট একটা বাগান আছে। বসার একটা আরাম চেয়ার আছে ওখানে। রাকিব ওখানে বসবে। চায়ের কাপ নিয়ে খানিক পর রূপা এসে বলবে, 'আপনার চা রয়ে গেছে তো'। কাপ নিয়ে রাকিব চুমুক দেবে। দীর্ঘসময় নিয়ে চা খাবে রাকিব। আর রুপা একপাশে দাঁড়িয়ে বাগানের সাম্প্রতিক অগ্রগতির বিবরন দেবে। কোন গাছে কতটা ফুল ধরলো, কাচামরিচের ঝাল কোনটা বেশী, পুঁই লতাটা কেমন করে বাড়ছে ইত্যাদি নানান বাগান বিষয়ক ধারা বিবরন। প্রত্যেকবার এই রূটিন। রাকিবের চা শেষ হয়ে গেলেও বাগান বর্ননা চলতেই থাকে। রাকিব প্রবল উৎসাহ নিয়ে এই সব বর্ননা শুনবে।
উদ্ভিদ নিয়ে দুজনের এই মাতামাতিকে ঘরের সবাই নির্দোষ বলে জানে তাই সবাই নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত হয়ে ওদের দিকে তেমন মনযোগ দেয় না। আলাপের ঘন্টা গড়িয়ে সন্ধ্যা পার হয়ে গেলেও রাকিবের ক্লান্তি আসে না শুনতে। রূপারও আসে না বলাতে। তবু একসময় উঠতে হয়। রূপা তখন জোর করবে খেয়ে যেতে। রাকিব রাজী হবে না। তারপর বিদায় নিয়ে চলে আসবে। বিদায় নেবার সময় রূপা দরোজা ধরে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবে। সিড়ি দিয়ে রাকিবের অদৃশ্য হওয়া অবধি চেয়ে থাকবে।
মনে হতে পারে এখানে কোন একটা সম্পর্কের উৎপত্তি হয়েছে দুজনের মধ্যে। আসলে তা নয়। বছরের পর বছর ওরা এরকমই। এটাকে কেউ অন্য চোখে দেখেনি। ওরা নিজেরাও এটাকে নির্দোষ হিসেবে দেখে। তাই নির্ভয়ে দিনের পর দিন কাটিয়ে দেয়।
রূপার চাচাটা বেদম বকবক করে। তাই আজকে রূপার চাচা আমিনউদ্দিনের কন্ঠে যখন রাকিবের ঘুম ভাঙলো তখন সে বিরক্তই হয়েছিল। ঘাপটি মেরে পড়ে থাকলো সে। যেন আমিনউদ্দিন তাকে ডেকে না পাঠায়। কিন্তু ঘাপটি মারা অবস্থায়ও কান খাড়া হয়ে গেল যখন তার মুখে শুনতে পেল রুপার নাম। রাকিবের মাকে আমিনউদ্দিন অভিযোগ করছে, "দেখেন কান্ড, রূপাটাকে একা ফেলে সবাই দাওয়াতে গেছে সাতকানিয়া। ফিরতে রাত হবে। বাসায় মেয়েটা একা জ্বরে ভুগছে। আমাকে ফোন করে কান্না করছে একটু আগে। আমি নিজে অসুস্থ, যেতে পারলাম না, দেখি মান্নানকে পাঠাবো একটা ডাক্তার নিয়ে............" রাকিব আর শুয়ে থাকতে পারলো না। তড়াক করে উঠলো।
অন্যন্যদিন আমিনউদ্দিনকে তার বিরক্ত লাগলেও আজকে তাকে কেমন আপন লাগলো। ড্রইং রুমে গিয়ে আমিনউদ্দিনকে সালাম দিয়ে সোফায় বসলো। ভাবলো রূপার আরো কোন সংবাদ বের করা যায় কিনা। গত দুমাস ওদিকে যাওয়া হয়নি। রুপার বাবার সাথে কি একটা ঝামেলা হয়েছে রাকিবের বাবার। দুমাস ধরে কথাবার্তা বন্ধ ওদের সাথে। আসা যাওয়াও। দুই বন্ধুর মধ্যে কোন ঝামেলা হলে যাতায়াত বন্ধ থাকে কিছুদিন। এখনো চলছে সেই বিরতিকাল। এরকম বিরতিকাল কখনো এক বছরও হয়ে যায়।
তবে এক বছরের বেশী বিরতিকাল চলে না। কারণ ঈদ আসলে আবারো আসা যাওয়া শুরু হয় ঈদের দিন থেকে। ঈদের দিন দুপুরবেলা রূপা অবশ্যই রাকিবদের বাসায় এসে ঘুরে যাবে, সে সময় রাকিব বাসায় থাকবে না। সন্ধ্যের পর রাকিব অবশ্যই রূপার বাসায় যাবে। সে সময় রূপা বাসায় থাকবে এবং ওরা দুজন ঘন্টা ধরে আড্ডা দেবে। এরপর বরফ গলে যাবে দুই পরিবারের। বলা যায় ওরা দুজন দুই পরিবারের সেতুবন্ধন।
টেলিফোনে সংবাদ নেয়া যায়? রূপাদের বাসার টেলিফোন নাম্বারটা ওর ঠোঁটস্থ। কিন্তু কখনো করেনা টেলিফোন। ওর বাবা ধরে যদি? রূপার বাবা গম্ভীর মানুষ। তাকে একটু ভয়ই পায় রাকিব। কিন্তু আজকে রূপা একা, আজকে করবে? সিদ্ধান্ত নেয়া হয় না। আমিনউদ্দিনের কথা অন্য বিষয়ে ঘুরে গেলে ওর আগ্রহ হারিয়ে যায়।
রুমে ফিরে নিজে নিজে একটা সিদ্ধান্ত নেয়। আজকে সব সংকোচ ঝেড়ে রূপাকে দেখতে যাবেই সে। কাউকে বলবে না। চুপচাপ বেরিয়ে গেল ঘর থেকে।
রূপাদের বাসা শহরের অন্যপ্রান্তে। একটা বাসে চড়ে পৌঁছে যায় ওদের বাসার কাছে। গলিপথ পায়ে হেঁটে যখন চার তলার সিড়ি ভেঙ্গে যখন ওদের বাসার দরোজায় পৌঁছে, তখন ওর হঠাৎ দ্বিধায় পেয়ে বসে। রূপা কি দরোজা খুলবে? এই বয়সের একজন তরুণকে সে যতই আপন লোক হয়, একজন একাকী তরুনী একা ঘরে বিশ্বাস করে ঢোকাতে সংকোচ করে। একটা নির্জন ঘরে একা কখনো ছিল না ওরা। কি করবে এখন? কলিং বেলে চাপ দেবে? সিড়িতে বাতি নেই বলে কলিং বেলের অবস্থানটা আন্দাজে ধরলো। দ্বিধা ঝেড়ে কলিং বেলে চাপ দিল।
একবার, দুবার। কোন সাড়া নেই, পাঁচ মিনিট কেটে যায়। কি হলো ফিট হয়ে পড়ে যায়নি তো? ভয়ে ছ্যাঁত করে উঠলো বুক। কাউকে বলে আসেনি এদিকে। রূপা দরোজা খুলছে না- এই খবরটা যদি ফোন করে দেয় কাউকে, ওরা কি ভাববে? কেন চুপি চুপি চোরের মতো রূপাকে দেখতে এসেছিল সে। ভাবতে ভাবতে ভেতরে একটা পদশব্দ পাওয়া গেল, একটা নারীকন্ঠ জানতে চাইছে, কে?
-আমি
-আমি কে?
-আমি রাকিব
-আপনি? কী ব্যাপার?
"কী ব্যাপার" কথাটা বুকে খুব আঘাত হানলো। রূপা ওকে চিনেও দরোজা খোলার বদলে বলছে, 'কী ব্যাপার'? এমন বদলে গেল সে? মাত্র দুমাসের দুরত্বেই?
-তোমার অসুখের খবর পেয়ে আসলাম। কেমন আছো তুমি?
-আমার অসুখ কে বললো আপনাকে?
-আমিনউদ্দিন চাচা গিয়েছিল বাসায়
খুব অপমান লাগছে রাকিবের দরোজার এপার-ওপার করে কথা বলতে। রূপা তাকে এতটা অপমান করবে কখনো ভাবেনি। যে মেয়ে ওর জন্য দরোজা বন্ধই করতে পারতো না, আজ সে দরোজাই খুলছে না, বাইরে দাড় করিয়ে রেখেছে অন্ধকারে অবাঞ্চিত অতিথির মতো। হায় পৃথিবী। বুকের ভেতরটা কেমন ভারী লাগলো ওর।
-খোঁজ নেয়ার জন্য ধন্যবাদ। আমি এখন ভালো আছি, আপনি বাসায় যান
এটা শুনে সে প্রতিজ্ঞা করলো জীবনে আর কখনো এই বাসায় আসবে না। ওকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিল রূপা??? সে বলতে পারলো না, ভেতরে আসি? কি করে বলবে? ও তো অনাহুত এ বাসায়। আর কখনো দেখা করবে না ওর সাথে। কিছুতেই না। ফিরে যাবার জন্য ঘুরে দাড়ালো সে। রুপা আবারো বললো,
-রাকিব ভাই
-হু
-আপনি কী বোকা?
-কেন
-বাইরে এত বড় একটা তালা দেখছেন না?
-তালা? তালা কেন? অন্ধকারে কিছু দেখছি না।
-ওরা তালা মেরে গেছে যাতে কেউ বিরক্ত না করে। আমি ঘুমাচ্ছিলাম। ডাক্তার বলছে বেশী করে ঘুমাতে। আপনাকে তাই ভেতরে ঢোকাতে পারছি না। কিছু মনে করবেন না।
রাকিব হাত দিয়ে দেখলো সত্যি তালা মারা। ওর বুক থেকে দুই মনী একটা পাথর নেমে গেল যেন। একটু আগের করা প্রতিজ্ঞাগুলো বাদ দিল। রূপা এত বদলাতে পারে না, অবিশ্বাস করা পাপ ওকে।
-আমি কিছু মনে করিনি। ঠিক আছে তুমি ঘুমাও আমি যাই।
নীচে নেমে এল রাকিব। ওদের বাসার পাশেই বিশাল একটা প্রান্তর। সেই প্রান্তরের শেষে একটা রেল লাইন। রাকিব হাটতে হাটতে সেই রেল লাইনে গিয়ে বসে। এখান থেকে রূপাদের বারান্দা দেখা যায়। রূপাকে এক পলক দেখার জন্য রাকিবের মধ্যে কেমন একটা তৃষ্ণা জেগে ওঠে। রূপা যদি বারান্দায় বা জানালায় এসে দাড়ায়। যদি বলে আসতো আমি এদিকে থাকবো তুমি বারান্দায় এসো, তাহলে কি আসতো সে? এ ধরনের কথা মরে গেলেও বলতে পারবে না রাকিব। ওর সাথে সেরকম কোন সম্পর্ক নেই ওর। তবু সে কেন যে রেললাইনের ধারে বসে রূপার জন্য অপেক্ষা করে নিজেই জানে না। কিন্তু রূপা একবারো এলো না বারান্দায়। দেখলো না কেউ ওর অপেক্ষায় আছে ওখানে। সাড়ে আটটার দিকে রূপার বাবা মা ফিরে আসার পর সে উঠলো।
আরো মাস খানেক পর অসুখে পড়ে মোটা কম্বল গায়ে ঘুমোচ্ছিল রাকিব। হঠাৎ জেগে দেখে খাটের পায়ের দিকে দাড়িয়ে আছে রূপা। মুখে জেগে আছে অপরূপা সেই হাসি। বললো,
-আমি উঠলাম, আর আপনি পড়লেন? কাজটা কি ঠিক হলো? সেদিন আমাকে দেখতে গিয়ে অমন পালিয়ে আসলেন কেন? আরেকটু অপেক্ষা করলে কি পায়ে শেকড় গজিয়ে যেতো? অসুস্থ একটা মানুষকে ফেলে পাষাণের মতো চলে আসতে পারলেন আপনি?
-শশশশশ......চুপ
-চুপ কেন?
-চুপপপ করো প্লীজ। কেউ জানে না সেদিন তোমাকে দেখতে গেছি আমি।
-অ
তারপর দুজনেই চুপ। নীরবতা রাজত্ব করতে থাকে ঘরে। রাকিব কিছুতেই বলতে পারলো না, আমি পালিয়ে আসিনি আমি আরো দুঘন্টা বসেছিলাম তোমার জানালায় চোখ রেখে। বেকুবের মতো রেললাইনের ধারে বসে মশার কামড় খেয়েছি ঝাড়া দুঘন্টা। কারো জন্য এতটা আকুল হওয়া লজ্জার কথা। যেন তুমি কতোটা ব্যাকুল না জেনে আমি কতটা আকুল তা বলতে পারছি না।
এবং
এবং
এবং আরো বোকামীর ইতিহাস যুক্ত হলো ক্রমে।
তারপর........এরকম না বলা কথার তালিকা দীর্ঘতর হতে হতে একদিন আমিনউদ্দিন চাচা খবর নিয়ে আসে রূপার বিয়ে ঠিক হয়েছে কলাতলির রফিক সওদাগরের মেজ পুত্রের সাথে।
সংবাদটা শুনে রাকিব কোন ভাবান্তর দেখায় না। দেখাবার কথাও না। রূপার সাথে ওর কিছু ছিল না। যা ছিল ওই বাগানের সাথে। বাগানের ফুল সবজীর গাছগুলোর সাথে আগের মতো আর আড্ডা হবে না। সুযোগ পেলেই ওদের কাছে ছুটে যাওয়া হবে না। ওদের সুখ দুঃখ নিয়ে আর কেউ ভাববে না। রূপার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে এটা নিয়ে বিষন্ন হবার বদলে তাই বাগানের গাছগুলোর সঙ্গী হারাবার বেদনায় কাতর হয়ে গেল রাকিব। রূপার বিয়ের দিন বাগানের জন্য সেই কাতরতার প্রকাশ ঘটলো প্রবল কাপুনি সহকারে একটা জ্বরের মধ্য দিয়ে।
রূপার ফুলশয্যার রাত কখন পার হয়ে গেছে সে টেরই পেল না দীর্ঘ জ্বরযাত্রায়। ডাক্তার বলেছে বেশী করে শাকসবজি খেতে। শরীর থেকে প্রচুর ভিটামিন মিনারেল বেরিয়ে গেছে পূর্ন করতে হবে। রাকিব স্বপ্নে দেখলো সারিবদ্ধ টবে শুকিয়ে আছে সজীব বাগান। তবু রূপাদের গলিটা পেরুতে গিয়ে এখনো তার বুকে ছলাৎ করে ঢেউ ওঠে।
No comments:
Post a Comment