আমি বরাবরই জনহিতৈষী মানুষ। সারাজীবন স্বপ্ন দেখেছি কিভাবে মানুষের জন্য কাজ করবো। ছাত্রজীবন থেকে স্বপ্ন দেখতে দেখতে কর্মজীবনের মধ্যাহ্নে প্রবেশ করেছি তবু জনহিতকর কর্মে নিয়োজিত হবার সুযোগ পাইনি। গ্রামে গেলে গরীব মানুষের ক্লিষ্ট মুখের দিকে তাকিয়ে বুকটা হু হু করে ওঠে। কিন্তু শেখ মুজিবের মতো গায়ের চাদরটা খুলে শীতার্ত মানুষটার গায়ে পরিয়ে দিতে পারি না। আসলে আমার চাদরই নেই। গ্রামে গেলে লেদার জ্যাকেট পরি শীত বেশী বলে। ওটা খুলে দেয়া যায় না। ভাবি, আগামী শীতে ওর জন্য একটা চাদর কিনে দেবো। অথবা জাকাতের সময় কিছু টাকা বাড়িয়ে দেবো। অতঃপর শহরে ফিরে যাবার পর এসব ভাবনা ভুলে যেতে অসুবিধা হয় না।
বছরে ছমাসে যখনই গ্রামে যাই ঘুরে ঘুরে দেখি জরাজীর্ন স্কুল, মসজিদ, এতিমখানা, ভবঘুরে মানুষ। এত দীনহীন চেহারা দেখে বুকটা ফেটে যায় করুণায়। আমার একবার গ্রামে আসার খরচ দিয়ে এদের পাঁচজনের সাতদিনের খাবার হয়ে যায়। আমি গাড়িতে উঠে বসে ভাবি, 'হেথায় তুরে এক্কেবারে মানাইছে না গো, এই গরীব দেশে দামী গাড়ি চড়িস কেন তুই'। এই গরীব দেশে এত দামী গাড়িতে চড়া উচিত না আমার। তবু শান্ত্বনা দেই নিজেকে, এই গাড়ির মালিক তো আমি না। রুটি রুজির জন্য খোদা যে জীবিকা দিয়েছেন সেই জীবিকার মালিকের গাড়ি। অপরাধবোধ খানিকটা লোপ পায়। ফিরে আসার আগে মুঠো মুঠো ভাঙতি টাকা ছড়িয়ে আসি দরিদ্র মানুষগুলোর জন্য। একবেলা কিছু কিনে খাক ওরা।
ব্যাপারটা প্রায়ই ভাবায় আমাকে। এত দরিদ্র মানুষ। এদের জন্য কিছু করা যায় না? অন্তত নিজের গ্রামে? ভাবতে ভাবতে কয়েক বছর কেটে যায়। অনেক জায়গায় লেখালেখি করেছি। কেউ কেউ আশ্বাস দেয়। ক্ষীন আশ্বাস। মন ভরে না। বিদেশী অনেক দাতা প্রতিষ্ঠানের কাছে লেখা হলো। সম্ভবতঃ বাংলাদেশ থেকে এরকম আরো হাজারো আবেদন গেছে। মেইলগুলোর কোন জবাব আসে না, স্প্যামবট হয়তো দেখামাত্র বাক্সের বাইরে ফেলে দেয়।
অবশেষে একদিন ক্রোড়পতি ক্লাবের বন্ধুস্থানীয় মেম্বারদের কাছে তোলা হলো বিষয়টি। ওখানে আমার মতো জনহিতৈষী লোক আরো আছে। কিন্তু পকেট ঝাড়ার চেয়ে কলম ঝেড়ে জনহিত করার ব্যাপারে ওদের আগ্রহ বেশী। তবু ছেঁকে এমন তিনজনকে পাওয়া গেল উদার, অলস, হালকা ধার্মিক এবং অগাধ বিত্তের মানুষ। ওদের টাকা আছে সময় নেই, মন আছে শ্রম দেবার ইচ্ছে নেই। প্রতি রাতে এক বোতল রেড বা ব্ল্যাক লেবেল লাগে কিন্তু শুক্রবারে জুমার নামাজে হাজির থাকে। ঠিক এরকম লোককে খুঁজছিলাম। ব্ল্যাক লেবেলের বোতলটা খালি হতেই বাইরে চলে এলাম তিনজনকে নিয়ে। তিনজনই বেসামাল অবস্থা। তরল সময়ে কথা বলে আরাম আছে।
-কি বুঝলা সালেক?
-বুঝলাম সময় চলে যাচ্ছে কিন্তু আমরা মত্ত আছি জাগতিক কাজে
-টাকাপয়সা কি কবরে নিবা?
-তা কেন নেবো, ছেলে মেয়ে ভোগ করবে?
-ছেলেমেয়ে তোমাকে বেহেশতে নেবে?
-তা নেবে কেন, তার জন্য খোদাতালা আছে
-খোদাতালার জন্য কি করছো?
-সব........অ্যাঁ, এটা কি বললা, খোদাতালা কতো বড় মানুষ, তার জন্য কি করবো
-খোদাতালা মানুষ না বেকুব, তিনি সৃষ্টিকর্তা
-ও সরি খোদাতালা, মাই মিসটেক
-তোমার জন্য তো কঠিন আজাব অপেক্ষা করতেছে
-তুমি কেমনে জানো?
-তোমার বাড়ির সামনে সেদিন একটা অনাথ শিশু সাহায্যের জন্য সারাদিন দাঁড়িয়েছিল, তুমি একবার জানলা খুলে তাকাওনি
-তুমি দেখলা কিভাবে?
-আমি বাড়ি ফেরার সময় দেখলাম, দাঁড়ালাম, জিগালাম। ছেলেটা বললো তোমাদের বাড়িতে নাকি খানাপিনার আসর ছিল। দারোয়ান বলছিল বিকালে আসিস। সে বিকাল পর্যন্ত দাঁড়ানো, কিন্তু শেষমেষ খানা নয় খেদানিই জুটছে। সেই দুঃখে কাঁদছিল, আমি তারে বাড়ি এনে খাওয়ায়ে দাওয়ায়ে রেখে দিছি, সে আমার বাগানের মালির সাথে কাজ করে।
-কী বলছো আবুল, আমি তো এর কিছুই জানতাম না। দাঁড়াও আজকেই দারোয়ান ব্যাটাকে শায়েস্তা করবো।
-বেকুবের মতো কথা বলো না। শোনো মিয়া জগতে এরকম অবিচার আছে বলে খোদাতালা পাপপূন্য বেহেশত দোজখ দিয়া দিছে। দুনিয়ার সবাই তো আর ফেরেশতা না। পাপও হবে পূন্যও হবে। পাপকাজ যখন বেশী করবা তখন পূণ্যকাজে ব্যয় করে হিসেবটা ঠিক রাখবা।
-কি সব আজগুবি কও। জীবনে কোন মাওলানার মুখে এরকম কথা শুনি নাই।
-শুনবা কেমনে, জুম্মার নামাজে যাও সোয়া একটায় খুতবা শুরুর পর। বয়ান শুনবা কই থেকে
-কথা ঠিক, আগে গেলে ঝিমানি আসে, লজ্জার ব্যাপার মসজিদে ঘুমিয়ে পড়া।
-শোনো, তুমি তো মনে হয় জাকাতও ঠিকমতো দাও না।
-কে বলে দেই না, গেল ঈদেও তো এক লাখটাকার শাড়ি লুঙ্গি টাকা দিয়া আসছি গ্রামে গিয়ে। কোন গরীব বাদ যায় নাই।
-তোমার ব্যাংকে জমার পরিমান কতো?
-তা দিয়া তোমার কাম কি
-সেইটা ধরেই তো জাকাতের হিসাব। সেই হিসাবে তোমার জাকাত যদি এক লাখ হয় তাইলে ঠিক আছে, যদি তার চেয়ে বেশী থাকে, তার মানে তুমি জাকাত কম দাও। তখন হিসাব হবে কেয়ামতের ময়দানে তোমার আর তোমার খোদাতালার মধ্যে।
-হায় খোদা, আমি তো অত হিসাব করি নাই
-করো নাই, এখন করো। তোমাদের মতো অর্থপিশাচদের জন্য খোদাতালা কিছু নিয়ম দিয়ে গেছে। সেই নিয়ম পালন করলে আকাম করেও বেহেশতে হুরপরীদের বাতাস খাইতারবা। আর নইলে সেই টাকা সাপ হয়ে তোমারে কামড়াইতে থাকবে কেয়ামতের আগপর্যন্ত। কেয়ামত তো পরশুদিন না, আরো কয়েক লাখ বছর আছে। হিসাব কইরা লও মনে মনে।
সেদিনের আলাপের জের নেশা কেটে যাবার পরও মাথায় ঘুরছে ওদের তিনজনের মধ্যে। দোজখের ভয় এখনো আছে লোকজনের মধ্যে। এটা খুব ভালো লাগছে।
সিদ্ধান্ত হলো সখিপুরে একটা বৃদ্ধাশ্রম গড়ে তোলা হবে জনহিতৈষী সংস্থা হিসেবে। প্রস্তাবের খসড়া বানিয়ে একদিন ছুটির দিনে চারজনে বসে হিতৈষী সংঘের নাম সদস্য ইত্যাদি ঠিক করলাম। ওরা তিনজনে বছরে বারো লাখ টাকা দিতে পারবে বললো। এই ফান্ডের বড় উৎস হলো জাকাত। তিনজনেরই প্রতিবছর বিশাল অংকের জাকাত দিতে হয়। হিসেব মতো জাকাত আসে জনপ্রতি পাঁচ লাখের উপর কিন্তু এত টাকার শাড়ি লুঙ্গি বিতরণের ঝামেলার কারণে কখনোই জাকাতের টাকা পুরো দিতে পারে না। ফলে গত এক যুগে ওদের বকেয়া জাকাত হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা। এই টাকা কবরের সাপ হয়ে ছোবল দেবে শোনার পর শিউরে উঠলো তিনজনে।
আসলে আমি ছাড়া আর কেউ গ্রামে গিয়ে জাকাত বিলি করে না। আমি প্রতিবার গিয়ে কিছু খুচরা শাড়ি লুঙ্গি আর দশ টাকার বান্ডিল ওড়াই। তাতেই প্রভূত সুনাম। আমরা চারজনই একমত হলাম জাকাতের বকেয়া টাকাটা জনহিতকর প্রকল্পে ব্যয় করলে কবর আর কেয়ামতের ময়দান দুটোই নিরাপদ।
রাতে বাসায় এসে ঘুম হলো না আমার। জীবনে প্রথম এত বড় একটা কাজে হাত দিয়েছি। আল্লাহর কাছে হাজার শোকর দেশে এখনো মহৎ লোকেরা বাস করে। আমি নিজের বকেয়া জাকাতের হিসেব করতে ভুলে গিয়েছিলাম। আমার জাকাত কত আসে আমি নিজেও জানি না। চাকরীজিবি মানুষ, চাকরীর টাকায় সংসার চালাই। লাখ টাকা মাইনের চাকুরী করেও মাস শেষে দেখা যায় হিসেবের খাতায় আমি আরো জাকাত পাওনা হই। স্ত্রীর কল্যানে আমার কোন জমা টাকা নাই। মনে মনে কৃতজ্ঞতাবোধ করি রোশনারার প্রতি। সে না থাকলে আমার আজ কতো লাখ টাকার জাকাত বকেয়া থেকে যেতো!
পরের সপ্তায় গ্রামে গিয়ে জমি বায়না করে এলাম। দুই বিঘা জমি পাওয়া গেছে রাস্তার কাছাকাছি। এই জমিতে গড়ে উঠবে বৃদ্ধনিবাস। দরিদ্র মানুষদের আবাস আর বিনোদন। পাশাপাশি থাকবে হাঁসমুরগীর খামার, পুকুরে মাছ চাষ হবে, সবজি উৎপাদন হবে। প্রজেক্ট সফল হলে আশেপাশে আরো জমি কেনা যাবে। নিজের ব্যাংক থেকে আড়াই লাখ টাকা দিয়ে বায়না কর্ম সম্পন্ন হলো। আরো লাগবে প্রায় সত্তর লাখ। তিন বন্ধুকে প্রকল্পের আজীবন দাতা ও পরিচালক ঘোষনা করলাম। উদ্যোক্তা হিসেবে অবশ্য জমিজমা ব্যাংক হিসেব ইত্যাদি আমার নামেই রইল। ওদেরকে সাধলাম কিছু দায়িত্ব নিতে। কিন্তু চালাক মানুষ ওরা। কেউ ঝামেলা নিতে রাজি না। সব আমার উপর দিয়ে চাপাতে চায়। আমি অর্থ শ্রম দুটোই দিচ্ছি, তবে অর্থের চেয়ে শ্রম বেশী ব্যয় করছি। জমি বায়না করার পুরো খরচই আমি দিয়েছি। আশি লাখ টাকা ব্যাংকে রেখে সত্তর লাখ দিয়ে জমিটা রেজিষ্ট্রি করে নেয়া হলো। বাকী আশি লাখ টাকা প্রকল্প ব্যয়ের জন্য। এটা কোন কোন খাতে ব্যয় হবে তা জানার জন্য তাদের মোটেও আগ্রহী না দেখে আমি আশি লাখ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট করে ফেললাম।
এক বছর অপেক্ষা করতে হলো হেনতেন করে। কারণ বছর শেষে আশি লাখ টাকার বাচ্চা দেবে। সেই টাকায় কাজ শুরু হবে। এটা আর কাউকে বলা হলো না। আশি লাখের প্রথম বছর বাচ্চা দিলে সেই টাকায় প্রকল্পের ঘরবাড়ি তোলা হলো টিন কাঠ ইটের মিশাল দিয়ে। হাঁসমুরগী মাছ সবজি ইত্যাদি দেখাশোনা করার জন্য তিন জন লোক রাখা হলো। আশ্রমে এখনো কোন বৃদ্ধ আসেনি। অসুবিধে নেই। আস্তে আস্তে জানাজানি হোক তারপর আসবে। আগে আয়ের উৎস গড়ে উঠুক। তাদের খাওয়া পরানোর জন্য নিয়মিত আয়ের দরকার আছে।
কিছুদিন বাদে আরো বিশজন দাতা যোগাড় হয়ে গেল যারা বছরে সম্মিলিতভাবে চার লাখ টাকা দান করবে। আয়ের উৎস বাড়তেই থাকে। এর মধ্যে কাস্টমার মানে বৃদ্ধ বলতে চারজনকে পাওয়া গেল যাদের দুজনকে বাড়ি থেকে জোর করে নিয়ে আসা হয়েছে ভালো খাবারদাবারের লোভ দেখিয়ে। ঘরে খাবার অভাব নেই তাদের। তবে এখানে চাকরী হিসেবে থাকতে চায়। কয়েকদিন গরু খাসী মুরগী দিয়ে খাওয়ানোর পর তাস খেলতে দেয়া হলো, বাড়িতে তাস খেলার উপায় নাই। এছাড়া টেলিভিশন গান বাজনা ধুমপানের ব্যবস্থা রাখা হলো। মন বসে গেল ওদের খুব তাড়াতাড়ি। ঘরে থাকলে বুড়ির ঘ্যানঘ্যানানিতে জান যায়। সুনাম ছড়াতে থাকলে দূরের গ্রাম থেকে এলো আরো জনা বিশেক লোক। এদের বেশীরভাগেরই ফ্রী হোটেলে আড্ডার লোভেই আসা।
দুবছর যাবার পর আমিও ভাবছি, চাকরীটা এবার ছাড়তে হবে। জনকল্যানে পুরোদস্তুর মনোযোগ দিতে হবে। প্রকল্পের রমরমা অবস্থা। অস্ট্রেলিয়ার এক দুস্ত কল্যান ট্রাস্টকে প্রকল্পের ছবি ইত্যাদি পাঠালে ওরা আগামী বছর তিন লাখ ডলার দান করবে বলে জানালো। এত কিছু দেখাশোনা করতে গেলে চাকরীতে মনযোগ বসবে না। চাকরী ছেড়ে একটা গাড়ি কিনলাম প্রকল্পের নামে। ফতুয়া পরে প্রাডো গাড়িতে চড়তে শুরু করলাম। গ্রামের রাস্তা খারাপ, ফোর হুইল না হলে চলে না।
শুরুতেই ঘোষণা দিলাম, এই প্রকল্প কোন বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে করা হয়নি। এখানে সবাইকে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করতে হবে। আমি নিজে কোন বেতন নিবো না। কিন্তু কর্মীদের সামান্য বেতন দেবো, আর ওদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা আছে প্রকল্পে। পরপর দুবছর সফলতার সাথে পার করার পর পত্রিকায় ইন্টারভিউ ছাপানো হলো একজন সফল জনহিতৈষী কলামে। টিভি ক্যামেরা এনে বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরী করা হলো। সরকারের কাছ থেকে পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করা হলো। বিদেশ থেকে আমন্ত্রন এলো কয়েকটা। বিদেশী সেমিনারে গিয়ে বক্তৃতা দিয়ে মাত করে দিলাম। সম্মানসূচক ডক্টরেট দেয়া হলো কয়েকটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সাথে ডোনেশানের চেক।
ডোনেশানের চেকগুলো ব্যাংকে জমা দিতে দিতে হিসেব করে ফেললাম প্রকল্পের ফান্ডে ইতিমধ্যে জমা হলো সাড়ে চার কোটি টাকা। আর ব্যক্তিগত একাউন্টে জমা আশি লাখ + ডোনেশানের চেক= পৌনে আট কোটি টাকা। অডিট শুরু হবার আগেই নিজের হিসেব আর প্রকল্পের হিসেব একদম আলাদা ব্যাংকে নিয়ে পাকা করে রেখে দিলাম। আট কোটি টাকা নিরুপদ্রপ হবার পর প্রকল্পে অধিক মনোযোগ দিতে পারছি।
এভাবেই জনসেবার স্বপ্নপুরণের যাত্রা শুরু হলো। নিঃসন্তান ছিলাম বলে ভয় ছিল বুড়ো বয়সে কে দেখবে। একটা দিক নিশ্চিন্ত হলো। বুড়ো বয়সে আর বৃদ্ধাশ্রমের সন্ধান করতে হবে না। নিজের আশ্রমে বুড়ো চড়িয়েই খাওয়া যাবে। আমার সাথে রোশনারার জৌলুসও বৃদ্ধি বেল বিনাশ্রম সমাজ সেবিকার খাতায় উঠে যাবার পর।
আসলে জনসেবার চেয়ে মহৎ কর্ম আর হয় না। জীবন এমনই হওয়া উচিত। জনগণের ভবিষ্যত আর নিজের ভবিষ্যতের যৌথ উন্নয়ন। সব মিলিয়েই তো জাতীয় উন্নয়ন। শুরুটা তেমন কঠিন নয়, শুধু খেয়াল রাখতে হবে আশেপাশে আছে কোন উদারমনা বিত্তবান অলস মানুষ, ধর্মে যাদের অল্প মতি আছে।
No comments:
Post a Comment