অতীতের ছাত্র আন্দোলনের সাথে ২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলনের একটা মৌলিক পার্থক্য হলো, খোলস। এই আন্দোলনটা সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলের অধীনে হয়নি। কিন্তু পেছনে একটা সক্রিয় শক্তি ছিল, সেটা কে আমরা এখনো জানি না। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হবার পর কিছু কিছু তৎপরতা দেখে স্পষ্ট হচ্ছে চিত্রটা। খোলসটা ধীরে ধীরে আলগা হচ্ছে। সরকারে ১৬ জন উপদেষ্টা। আন্দোলনকারীদের দেওয়া তালিকা থেকেই তাদের নির্বাচিত করা হয়েছে। তালিকাটা নিয়ে প্রথম দুদিন কারো আপত্তি শোনা যায়নি। কিন্তু তৃতীয় দিন থেকে মৃদুস্বরে আপত্তি শোনা যাচ্ছে কারো কারো ব্যাপারে। অচিরেই আপত্তিটা জোরদার হবে। এখান থেকে কাউকে কাউকে বাদ দেবার জন্য দাবী জানানো হবে। ঘেরাও হবে নানান দফতর। তখন মুখোশটা আরেকটু উন্মোচিত হবে।
বাংলাদেশ আরো কিছুদিন এই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাবে। যতক্ষণ পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনো একটা পক্ষ পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রণ গ্রহন করছে না ততক্ষণ এই অস্থিরতা থাকবে। এই আন্দোলন আওয়ামী বিরোধী শক্তির হাত ধরে হয়েছে, আগামীতে তাদের হাতেই ক্ষমতা থাকবে। ২০০৭ এর পরিবর্তন আওয়ামী লীগের অনুকূলে হয়েছিল, তারাই বেনেফিশিয়ারী হয়েছিল। এদেশে নিরপেক্ষতা বলে কোনো জিনিস নাই রাজনীতি কিংবা রাষ্ট্রপরিচালনায়। এই সত্যটা স্বীকার করতেই হবে।
এদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যেও সুবিবেচক নিরপেক্ষ লোকের সংখ্যা খুব কম। অধিকাংশ মানুষই কোনো না কোনোভাবে দলকানা, মতলবাজ, সুবিধাবাদী। একটু চোখ খুলে তাকালে আপনি আপনার নিজের পরিবারের মধ্যেই দেখতে পাবেন তাদের।
No comments:
Post a Comment