১.
একসময় এই এরাই এসে বলবে, আমরা তখন থেকে জানতাম এমন হবে। উনি যে দিনের পর দিন ভুল করে যাচ্ছেন। ওনাকে নিয়ে যে বাড়াবাড়ি চলছিল, আমরা তখন থেকেই দেখছিলাম। আমরা সব জানতাম আমরা সব দেখছিলাম কিন্তু আমরা কিছু বলিনি। আমরা বরং ওনাকে উস্কে দিয়েছি। মিথ্যার পসরা সাজিয়ে ওনাকে মুগ্ধ করার জন্য আমরা দিনের পর দিন কাটিয়েছি। আমরা ওনার পতনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম মনে মনে। আমাদের সাহস ছিল না প্রকাশ্যে কিছু বলার। বললে আমাদের ঘাড়ে মাথা থাকতো না। আমরা হবুচন্দ্রকে দেখছিলাম, আমরা গবুচন্দ্রকেও দেখছিলাম।
২.
যারা সরকারী চাকরী করেন, তাদের অনেক ক্ষমতা। কিন্তু অধিকাংশ চাকুরে মূলত একেকজন চাকর ছাড়া আর কিছু নয়। মননে মগজে নিরেট নির্বোধ একেকটা মানুষ। সৃজনশীলতার ধারে কাছেও নেই অধিকাংশ কর্মকর্তা কর্মচারী। আমি খুব কম কর্মকর্তাকে দেখেছি মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াতে। যত বড় অফিসারই হোক না কেন, তার উপরে আরেকজন থাকে। সেই উপরের জনকে ক্রমাগত স্যালুট স্যার ডাকতে ডাকতে প্রত্যেকের গলা শুকিয়ে যায়। আমার মাঝে মাঝে করুণা হয় এদের জন্য। যতটুকু স্যার বলতে হয় এরা তার চেয়ে কয়েকগুন বেশি বলে। দিনের পর দিন এই স্যার স্যার করতে করতে এরা একটা সময় আত্মসম্মানবোধহীন একটা প্রাণীতে পরিণত হয়।
এতগুলো নিরেট নির্বোধ লোক দেশ চালাবার দায়িত্বে থাকলে দেশের অবস্থা এর চেয়ে ভালো হবার কথা না। দেশ চালাবার কথা রাজনীতিবিদদের। কিন্তু এদেশের রাজনীতি থেকে মগজ নেই হয়ে গেছে অনেক আগেই। মগজ ছাড়া রাজনীতিবিদরা দেশের কর্তা। সেই মগজহীন নেতাদের তোয়াজ করার জন্য তৈরি আছে আরেকদল মগজহীন আমলা। মাঝখানে দুজনের মগজ দখলে নিয়ে বসে আছে ব্যবসায়ীরা। দ্বিগুন মগজের অধিকারী হয়ে ব্যবসায়ীরাই দেশটা চালিয়ে যাচ্ছে রাজনীতিবিদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে।